আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“দিল্লী বেলি”-- এটা কোন রিভিউ না।

“দিল্লী বেলি” – এ সময়ের অত্যন্ত আলোচিত একটি মুভি। অনেকেই হয়ত দেখে থাকবেন। মুভিতে অনেক গালি আছে বলে বেশ আপত্তির মুখে পরেছে। কিছু দৃশ্য আসলেও সবার সাথে বসে দেখার মত না। যাই হোক, প্রথমেই বলে নেই মুভি টা কিভাবে হল।

কাহিনী লিখেছে অক্ষত ভর্মা। স্ক্রিপ্ট লেখার পর সে আমির খান এর সাথে দেখা করার অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুতেই কোন লাভ হচ্ছে না দেখে শেষ পর্যন্ত আমির এর বাড়ির কাজের লোক এর হাতে দিয়ে আসে। বুঝতেই পারছেন কাজের লোক এর হাতে পরলে যা হয়। ওটা পড়ে রইল ঘরের কোণায়, অনেক বাতিল করা স্ক্রিপ্ট এর সাথে।

আমির কিন্তু জানতেও পারেনি স্ক্রিপ্টটার কথা। একদিন কিরণ রাও , মানে আমির এর বউ বাড়িতে বসে বোর হচ্ছে। তো কি মনে করে সেই বাতিল ভান্ডার থেকে দিল্লী বেলির স্ক্রিপ্ট নিয়ে পরতে শুরু করে। বাড়িতে ফিরে আমির দেখে কিরণ হাসতে হাসতে মাটিতে লুটপুটি খাচ্ছে। তখনই দিল্লী বেলি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

“দিল্লী বেলি” নামটা সুনলেই কেমন জানি লাগে। আসল কাহিনী হল এটা বিদেশীদের ব্যবহৃত শব্দ। দিল্লীর রাস্তার খাবার অনেক বিখ্যাত। এই রাস্তার খাবারের লোভ সামলাতে না পারলে অনেকেরই পেট খারাপ হয়। সেই থেকে রাস্তার খাবার খেয়ে পেট খারাপ হলে তার নাম দেয়া হল “দিল্লী বেলি”।

পুরো মুভিতেই দেখা যায় একজন পেট খারাপ করে বাথরুম খুজছে। আর এই পেট খারাপ নিয়ে এ সব বিপত্তি গুল ঘটে। এটা আসলেই বানানো হয়েছে আমাদের প্রজন্মের কথা ভেবে। বিশেষ করে যারা মেস এ থাকেন বা থেকেছেন তারা অনেক সিন এর সাথে নিজেদের মিল পাবেন। বাথরুমে পানি ধরার জন্য বালতি রাখা নিয়ে গন্ডগোল, কলিং বেল বাজলে কার দরজা খোলার কথা এগুল নিয়ে সব মেসেই প্রব্লেম হয়।

আর বাড়িওয়ালা কে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করা। যাই হোক , মুভিটা খুব ভাল লেগেছে। অনেক দিন পর একটা মুভি দেখে এতটা হেসেছি। আসলে এটার প্রমো দেখেই আগ্রহী ছিলাম। গান গুলোও টিপিক্যাল হিন্দী ছিনেমার গানের মত নাহ।

ক্যামেরার কাজ খুব ভালো লেগেছে। কাহিনীর ধারাবিন্যাস জমাট। কোথাও মনে হ্য়নি চুইংগাম এর মত টানছে। মাত্র ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট এর মুভি (যেটা হিন্দী ছিনেমার জন্য অকল্পনীয়!!!!)। আসা করি আপনারা দেখে ভাল রিভিউ দিতে পারবেন।

টরেন্ট ডাউনলোড লিংক ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।