আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আইসিসির নতুন নিয়মাবলি

প্লিজ ডোন্ট লীভ মি বোলারের রান আউট করার সুযোগ মুলতান টেস্টে বোলিং করতে গিয়ে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উমর গুলকে সুযোগ পেয়েও রান আউট করেননি রফিক। সুযোগটা তিনি পেয়েছিলেন কারণ আগে কোনো বোলার তাঁর ডেলিভারি দেওয়ার আগে যদি দেখতেন নন-স্ট্রাইকে দাঁড়ানো ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন, তখন তাঁকে রান আউট করে দেওয়া যেত। তবে এখন থেকে এ ধরনের আউট করার নিয়মে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। বল করতে গিয়ে কোনো বোলার যদি তাঁর পেছনের পা ল্যান্ডিং করে ফেলেন, তাহলে নন-স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বোলার ডেলিভারি বন্ধ রেখে ওই ব্যাটসম্যানকে রান আউট করতে পারবেন না।

আর তার আগেই ব্যাটসম্যান ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যান, তাহলে রান আউট করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বোলার সফল হোক বা ব্যর্থ, বলটিকে গোনায় ধরা হবে না। রান আউট করার সফল বা ব্যর্থ চেষ্টার পরপরই আম্পায়ার বলটিকে ডেড ঘোষণা করবেন। টেস্ট ক্রিকেটে অতিরিক্ত সময় খেলা লাঞ্চ কিংবা চা বিরতির আগে আম্পায়ার অতিরিক্ত ১৫ মিনিট (কমপক্ষে ৪ ওভার) পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন। এটা হতে পারে যেকোনো এক দলের অধিনায়কের অনুরোধে, কিংবা আম্পায়ার যদি মনে করেন ওই সময়ের মধ্যে ম্যাচটি শেষ হয়ে যাবে, তাহলেই কেবল বাড়তি সময় খেলানো যাবে।

টেস্টে যদি লাঞ্চের বা টি’র সময় চলে আসে আর তখন কোনো দলের ৯ উইকেট পড়ে যায় তাহলে আরো সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাবেন আম্পায়াররা। অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড আম্পায়ার যদি মনে করেন যে রান নেওয়ার সময় ব্যাটসম্যান ইচ্ছে করে এমন কিছু করেছেন যাতে ফিল্ডার ক্যাচ ধরতে বা ওই ব্যাটসম্যানকে রান আউট করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাহলে ওই ব্যাটসম্যানকে তিনি আউট দিতে পারবেন। এই নিয়মটা তিন ধরনের ফরম্যাটেই প্রযোজ্য হবে। তবে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে মাঠে থাকা আম্পায়ার দরকার হলে থার্ড আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারবেন। বিঘি্নত ওয়ানডেতে মাঝের বিরতি বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনো কারণে ওয়ানডে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে গেলে দুই ইনিংসের মধ্যে বিরতির সময় ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ মিনিট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, পুরো ওভারের ওয়ানডে ম্যাচে দুই ইনিংসের মাঝের বিরতি যথারীতি ৪৫ মিনিট। ওয়ানডেতে দুই নতুন বল ফিল্ডিং করতে নামা যেকোনো দল দুটি নতুন বল নিয়ে তাদের বোলিং ইনিংস শুরু করবে। এক দিক থেকে বোলিং শেষ হলেও সে বলটি আম্পায়ারের কাছে জমা দিতে হবে। অন্য প্রান্ত থেকে আবার অন্য একটি নতুন বল দিয়ে বোলিং করা হবে। এভাবেই দুটি বল দিয়ে ২৫ ওভার করে মোট ৫০ ওভার খেলা হবে।

রানার কোনো ধরনের ক্রিকেটেই এখন আর ব্যাটসম্যানকে রানার নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না। যদি কেউ অসুস্থ কিংবা আহত হন, তাহলে সেই ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হার্ট হিসেবে মাঠের বাইরে যেতে পারবেন। ৯ উইকেট পড়ে গেলে তবে তিনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে আবার ব্যাটিংয়ে নামতে পারবেন। কোনো অসুস্থ ক্রিকেটার এক ওভারও ফিল্ডিং না করলে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ব্যাটিং করতে পারবেন না। ওয়ানডের পাওয়ার প্লে তিন ভাগে মোট ২০ ওভার পাওয়ার প্লের নিয়মটা আগের মতোই থাকছে।

তবে আগে প্রথম ১০ ওভারের পর যেকোনো দল চাইলে ইনিংসের যেকোনো সময় ব্যাটিং এবং বোলিং পাওয়ার প্লে নিতে পারত। এখন থেকে তা হবে না। ১৬ ওভারের আগে এবং ৪০ ওভারের পরে কোনো পাওয়ার প্লে নেওয়া যাবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.