আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবুঝ

অবুঝ নাহিদ একটা গান শুনছিল। গানটা এরকম: “Is anybody out there? It feels like I’m talkin’ 2 myself. No one seems to know my struggle, am I the one who’s crazy?” “So why in the world do I feel so alone? Nobody but me. I’m on my own. Is there anyone out there who feels the way I feel? If there is then let me know that I’m not the only one.” এক। । "দোস্ত Life জিনিসটা কিরে?" ইমরান- "এইসব ফিলোসফি মার্কা কথাবার্তা বাদ দে। " নাহিদ- "কেন?" ইমরান- "দেখতেছিস না Facebook এ।

" নাহিদ- "তা তো দেখতেই পাচ্ছি, তোরা তো Facebook এ একরকম আর বাস্তবে আরেকরকম। " ইমরান- "কেন, তুই মনে হচ্ছে Facebook use করিস না?" নাহিদ- "করি, কিন্তু এইসব পাতানো Friend থেকে Real friend দের বেশি Care করি। " ইমরান- "আচ্ছা। তাহলে বল তোর মত ছেলে এই ধরনের কথা বলতেছে কেন?" নাহিদ- "মানুষ যখন Life এ বিরক্ত হয় তখনই এই কথা বলে। " ইমরান- "দোস্ত তোর কোন অসুখ হইছে নাকি? এইরকম কথা বলতেছিস?" নাহিদ- "আসলে তোদের সাথে ফাইজলামি ছাড়া আর কিছু করা যাবেনা।

কোথায় Friend এর মন খারাপ দূর করবি তা না......" ইমরান- "তোর যেইসব পিকুলিয়ার সমস্যা, শুনলে হাসি পায়। " নাহিদ- "হুম....বুঝলি নাতো...কেউ বোঝে না। কি আর করা...." ইমরান- "হাহা...গেলাম দোস্ত বিকালে দেখা হবে। সারে চারটায় চলে আসব। রেডি হয়ে থাকবি কিন্তু।

নাহিদ- "Okkss” স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কথা হচ্ছিল দুই অন্তরঙ্গ বন্ধুর। দুই। । এখনও কেন আসতেছেনা স্কুল থেকে বুঝতেছিনা। ইদানিং আবার পড়ালেখা করতেছেনা ছেলেটা।

কি যে হইছে? এত সুযোগ সুবিধা দেই তারপরেও লেখাপড়া করেনা। যদিও রেজাল্ট ভাল হচ্ছে। প্রায়ই মন খারাপ থাকে নাহিদের। যদিও বাসায় হালকা ঝামেলা তারপরেও আমি তো ওর কোন সমস্যা দেখিনা। আসল মনে হয়... "উফফ আর ভাল লাগেনা স্কুলে যেতে।

" "সবার স্কুলে যেতে ভাল লাগে আর তোর খারাপ লাগে?" "ভর্তি তো করাইছ একটা ফাউল স্কুলে, আমার মেন্টালিটির এখানে কেউ নাই। খুলনা থেকে আসাটাই হইছে ভুল। " "স্কুল কিছুই না, যদি তুই নিযে পড়িস। " “মা, তোমার সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ভাললাগেনা, তুমি বুঝনা, আমি গোসলে গেলাম। ” তিন।

। গল্পটার শুরু কিভাবে করব বুঝতেছিনা। শুধু Layout থাকলেই তো হয়না গল্পটাও সুন্দর হতে হয়। একটু আগে থেকে শুরু করি। নাহিদের সমস্যাটা আসলে একটু অন্যরকম।

আসলে একটু না, অনেকটাই অন্যরকম। অন্তত নাহিদের তাই ধারনা। দুই বছর আগে নাহিদ থাকত খুলনায় তার পরিবার সহ। কিন্তু তার বাবার চাকরীর কারনে সেখান থেকে চলে আসতে হয়। এখানে এসেই তার জীবন U-turn নেয়।

কারন যায়গাটা ভাল না। খুলনায় থাকতে সে একটা ভাল ছাত্র ছিল এবং অবশ্যই খুবি মেধাবী। এখানে সে একটা বাজে স্কুল এ ভর্তি হয়। প্রথম বছরটা তার মোটামুটি মানিয়ে নিতেই চলে যায়। কিন্তু সে যখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র তখন সে ১ম সাময়িক পরীক্ষায় গণিতে ফেল করে।

মূলত ঘটনা এখান থেকেই শুরু। চার। । বাইরে খুব ধুলো ঝড় হচ্ছে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। এই সময় রাজার ফোন।

“নাহিদ, আমি আসতেছি এখনি, তুই নিচে নাম। ” নাহিদ তখন বিকালে গান শুনছিল। রাজার ফোন পেয়ে সে তাড়াতাড়ি নিচে নামল। একসময় সে ভাল ব্যাডমিন্টন খেলতে পারত। খুলনায় থাকতে সে জেলা কম্পিটিশনে ২য় হয়েছিল।

সে কখনই বিকালে বাসায় থাকত না। কিন্তু এখন তার কিছুই ভাল লাগেনা। সাত পাচ চিন্তা ভাবনা করতে পারলেই যেন তার শান্তি। নাহিদ ভাবে সে দিন দিন মেন্টাল পেশেন্ট হয়ে যাচ্ছে নাতো? “দোস্ত সাইকেলে ওঠ। ” নাহিদ- “কোথায় যাবি?” রাজা- “চল তো আগে” রাজা নাহিদকে নিয়ে গেল একটি নির্জন যায়গায়।

নাহিদ রাজার উদ্দেশ্য কিছুটা আঁচ করতে পারে। সে ইচ্ছা করলে সেখান থেকে চলে আসতে পারত কিন্তু তারও তো কিছু দু:খ ভুলতে হবে...। মাগরিবের আযানের কিছুক্ষন আগে নাহিদ বাসায় ফিরে একটা Gold Leaf খেয়ে। নাহিদ বুঝতে পারে মানুষ খারাপ হয় দুইভাবে। ১. পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে ২. অত্যন্ত দু:খের কারনে।

কারনগুলো ঠিক কিনা নাহিদ জানেনা তবে নাহিদ মনে করে তার ক্ষেত্রে ঘটেছে ২য় টা। কোথায় সে ছিল জেলার নামকরা মেধাবী ছাত্র সে কিনা ফেল করল। নাহিদের অধ:পতন মূলত এখান থেকেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু কেউ বুঝতে পারেনি। এমনকি নাহিদও না।

পাঁচ। । ৩০ ডিসেম্বর। জেএসসি রেজাল্ট এর দিন। দুপুর তিনটার সময় নাহিদ এস এম এস এর মাধ্যমে জানতে পারল যে সে Golden A+ পেয়েছে এবং জেলাতে ৪র্থ হয়েছে।

সারা জেলা বুঝতে পারল যে নাহিদ নামের নতুন ছেলেটি অন্যরকম Talent। নাহিদের মাথাটা যেন ঘুরে গেল। সে যে এক মাস কষ্ট করল একা একা এটাই কি তার ফল? না ভাগ্য? নাহিদ বেশি একটা খুশি হতে পারল না কারন সে জানে তার অন্যদিকথেকে ক্ষতি হয়ে গেছে। ছয়। ।

নাহিদের বাবা মা কে সে রোবট বলে মনে করে। নাহিদের কোনকিছুরই অভাব নেই। এ প্লাস পাওয়ার ফলে সে একটি নতুন PC পেয়েছে। নাহিদের ইন্টারনেট এবং অন্যান্য বিষয়ে অস্বাভাবিক জ্ঞান আছে, সেটা সবাই জানে। তার বাবা মা তাকে সকল সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে।

কিন্তু মেন্টাল সাপোর্ট দিচ্ছেনা। নাহিদের বাবা মা এটা বুঝে না যে সুযোগ সুবিধাই সব না। নাহিদের ভাই বোন থেকেও নেই। তারা তাদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। পারতপক্ষে মনে হবে নাহিদের সবকিছু আছে।

কিন্তু আসলে কিছুই নাই। সে বাসায় একা। সে তার স্কুলের ছাত্রদের মত না। মূলত একাকীত্ব আর খারাপ কাজ নাহিদের সঙ্গী হয়ে গেছে। বাসায় থাকলে নাহিদ এ কারনে পড়তে পারেনা।

পড়ালেখা দুই বছর সে ভালমত করেনা, হঠাৎ করে কারও পক্ষে পড়া সম্ভব? সে পিসিতে Programming শিখে আর সময় কাটায়। দিন দিন নাহিদ অনেক খারাপ কাজ করছে যার বর্ণনা দেওয়া সম্ভব না। একটা জিনিস নাহিদ বুঝতে পারছে যে সে যতই খারাপ হোক না কেন আজকের সমাজে পড়ালেখায় ভাল হলে সে একটা ভাল ছেলে। এই ধারনা নাহিদকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নাহিদ কখনই মেয়েদের দিকে Interested ছিলনা।

যদিও সে ছিল হ্যান্ডসাম এবং সব মেয়েদের কাছে Desired। সে ঠিক করেই রেখেছে যে জীবনে কোনদিন প্রেম করবে না। আর যেহুতু প্রেম করবে না সেহুতু অন্য কিছুও করবেনা। আসলে নাহিদের চিন্তাভাবনা ছিল খুব স্বচ্ছ। কিন্তু তার বন্ধুরা তা নষ্ট করে দেয়।

যেহুতু নাহিদের মূল সমস্যা একাকীত্ব সে ইমরানের সাথে Share করলে বলে “প্রেম কর। দুইদিন পর ছাইরা দিবি। সোজা হিসাব। ” নাহিদ বলে, “3rd class মার্কা ছেলেদের মত কথা বলবিনা। ” যদিও নাহিদ এই কথা বলেছিল কিন্তু সেও মাঝে মাঝে ভাবে, দেখব নাকি চেষ্টা করে? কিন্তু সাথে সাথেই চিন্তা বাদ দিয়ে দেয়।

সে কিরকম হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকে সবসময়। সাত। । “কি মনে হয় নাহিদ? ফসকে গেল?” “বুঝতেছিনা। ” “কেন বুঝতেছনা আমি কি বলতে চাচ্ছি..” “আচ্ছা যাও তোমাকে accept করলাম।

” “নাহিদ? আমি স্বপ্ন দেখছি নাতো? তোমার মত ছেলে আমাকে accept করল? “তাইতো দেখতেছি। ” “নাহিদ আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। ” “আমি তোমাকে ভালবাসি কিনা জানিনা। ” এই বার্তাটি লেখার পর নাহিদ কি জানি চিন্তা করল। সে কোন পথে যাচ্ছে? তার তো প্রেম করার কথা না।

“আরে আমি তো প্রেম করতেছিনা, just dating, nothing else.” নাহিদ মদ খায়নি কিন্তু তার মাথা ঠিকমত কাজ করতেছেনা। কারন কাজ করলে সে কখনই এ কাজ করত না। আট। । “মা, আমাকে কোন মনোরোগ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাও।

” “কেন? তোর আবার কি হল?” “হইছে অনেক সমস্যা। ” “ফাইজলামি করিস না। ” “আমি সত্যি মানসিক রোগী.....” নাহিদ ভাবতেছিল সে অন্তত স্বাভাবিক ছিল। এখন হয়ে গেছে এক্কেবারে crazy। তার অন্তত ভাল ছেলে বলে যেই খেতাবটা ছিল তাও গেল।

শুধুমাত্র একাকীত্ব কাটানোর জন্য একটা খারাপ চরিত্রের মেয়ের সাথে সে relation এর অভিনয় করেছিল। নাহিদ এখন অনুতপ্ত। relation এর মাত্র ৩ দিন পরে সে বুঝতে পারে যে সে একটা বড় রকমের ভুল করে ফেলেছে। সেই মেয়ে যতই খারাপ হোক, একটা মেয়ের Life এভাবে disorder করার জন্য নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ ছেলে বলে মনে হচ্ছে নাহিদের। এইসব চিন্তাভাবনা তাকে frustration এ ভুগাচ্ছে, যা তাকে সব কাজ থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে।

তার এখন কি করার আছে? নয়। । ভাল স্কুলের ছেলে এবং মেয়েরা এই ছেলেটাকে কিছুতেই বুঝতে পারেনা। ছেলেটা ভাল আবার খারাপ, চরিত্র রহস্যময়, সবার আলোচনার পাত্র। এই ছেলের নামে কত কিছু শোনা গেছিল যে সে খারাপ হয়ে গেছে, প্রেম করে বেড়ায়, মেয়েদের উত্তক্ত করে, পরীক্ষায় ফেল করে।

কিন্তু অনেকদিন পর ছেলেটার বন্ধুরা বলছে যে সে নাকি আর আগের মত নাই। আরো শোনা গেছে সে নাকি এস এস সি তে খুবই ভাল রেজাল্ট করেছে। সে যেই মেয়ের সাথে relation করছিল তার Life এ কিছুই হয় নি। কিন্তু ছেলেটা নাকি ঢাকায় চলে যাওয়ার আগে মেয়েটার কাছে মাফ চেয়ে গেছে। ছেলেটার বন্ধু বান্ধবদের ধারনা ছেলেটা special কিছু ছিল।

দশ। । Nokia android নামের ringtone বেজে উঠল। “আব্বু, তোমার জন্য একটা সুসংবাদ আছে। ” নাহিদ- “কি?” “তুমি নটরডেম এ chance পেয়েছ।

তোমার কথামত তোমার Life এবার change হবে। তাড়াতাড়ি বাসায় আস তুমি। ” নাহিদ- “আমি এক্ষুণি আসতেছি। ” “তুমি মনে হচ্ছে খুশি হওনি?” নাহিদ- “খুশি হইনি মানে? আব্বু, আমি এখনি আসতেছি, তুমি wait কর। ” “দোস্ত সবাইকে আরেকটা বেনসন ধরাইতে বল।

” ইমরান- “কেন? তোর মুখ থেকে এই কথা?” রাজা- “আজকে সূর্য কোন দিকে উঠছে? নাকি উঠেই নাই? যে বিড়ি খাইতেই চায়না তার মুখ থেকে এই কথা? “আরে একটা জিনিস celebrate করতে হবে। ” ইমরান- “কি?” “কি? দেখ বুঝিস কিনা? Last time life kicked me in the ass, so I pulled down it’s pants and put a foot up it’s ass.” ইমরান- “গানের মাধ্যমে joss বুঝাইছস দোস্ত। ” “আমি বাসায় গেলাম। ” CNG ভাড়া করতে করতে নাহিদ তার iPod চালু করে দিল: “I’m livin’ proof nigga, It’s pretty safe to say, God giveth and god taketh away, It’ts the world wide American way.” ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।