লোহার খাঁচায় দুইটি শিশু লড়াই করছে আর বাইরে পূর্ণবয়স্ক দর্শকেরা উত্তেজনায় চিৎকার করছে। এক শিশু আরেক শিশুকে লাথি, ধাক্কা, জাপটে ধরে ধরাশায়ী করছে। প্রতিপক্ষ এক শিশু চিৎকার করে কেঁদে উঠছে আর দর্শক সারির লোকেরা হাততালি দিচ্ছে। খবর বাংলানিউজের। এই ভয়াবহ দৃশ্যটি ইংল্যান্ডের প্রেস্টনে অনুষ্ঠিত কেজ ফাইটিং অনুষ্ঠানের।
রাতে বড়দের আনন্দ-উৎসবের অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এই খেলার আয়োজন করা হয় গ্রিন ল্যান্ড লেবার ক্লাবে। আয়োজক পেশাদার কেজ ফাইটার স্টিভেন নাইটিঙ্গেল।
শিশুদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই খেলার আয়োজন করা হয় গত ১০ সেপ্টেম্বর। দর্শক ছিল ২৫০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ। ফাইটে অংশ নেওয়া শিশু দুটির বয়স মাত্র ৮ ও ৯ বছর।
তাদের হাতে কোন প্যাড ছিল না, এমনকি মাথায় গার্ডও ছিল না। খেলায় বড়দের মতো ঘুষি, লাথি, হাঁটু বা কনুই দিয়ে গুঁতো দেওয়া বারণ থাকলেও খেলার সময় শেষ পর্যন্ত তা মানা হয়নি। খেলায় অংশ নেয়া কিয়ান ম্যাককিনসন (৯) গত ৯ মাস ধরে কেজ ফাইটিং করে আসছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ৮ বছর বয়সী অপর এক শিশু। তবে তার নাম জানা যায়নি।
শ্বাসরুদ্ধকর ১০ মিনিটের ওই খেলার মাঝ পর্যায়ে ৮ বছর বয়সী ছেলেটি ব্যথায় কেঁদে ফেলে। কিন্তু পরক্ষণেই ডাক্তার দেখিয়ে আবার খেলা শুরু করা হয়। ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে। ল্যানকানশায়ার পুলিশ বলেছে, তারা ঘটনার তদন্ত করবে। পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এরকম ঝুঁকিপূর্ণ কোন খেলার আয়োজন করার অনুমতি ওই ক্লাবের লাইসেন্সে নেই।
’ তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম ওইখানে রাতে মার্শাল আর্ট প্রদর্শনী হবে। কিন্তু জানতাম না যে ওই প্রদর্শনীতে শিশুরা অংশ নিচ্ছে। ’
চিকিৎসক ও শিশুদের নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা বলেছেন, ‘মাথায় কোন গার্ড না থাকার ফলে মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। ’ এই আয়োজনকে ‘অসুস্থ্য’ ও ‘অসস্তিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন তারা। সেই সঙ্গে এমন আয়োজন খুব শিগগির নিষিদ্ধ করা উচিত বলে তারা মত দিয়েছেন।
কেজ ফাইটিং এক প্রকার মিশ্র মার্শাল আর্ট। মার্শাল আর্টের বিভিন্ন কসরত সহকারে এই খেলা হয় লোহার খাঁচার মধ্যে। যুক্তরাজ্যে এই খেলা জনপ্রিয় করে তোলেন তারকা খেলোয়ার অ্যালেক্স রিড।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।