আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রূপগঞ্জের জিন্দা পার্ক রক্ষার হাজারো মানুষের গণ অনশনথ

রূপগঞ্জের জিন্দা পার্ক রক্ষার হাজারো মানুষের গণ অনশন হাজারো প্রজাতির গাছ-গাছালি পরিপূর্ণ লেক, টিলার অরণ্যে গড়া জিন্দা পার্ক সারাদেশের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার জিন্দা পার্কটি গত ৩০ বছরে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিজেদের ুদ্র ুদ্র বিনিয়োগ, মেধা আর শ্রমের সফল উদাহরণ। সম্প্রতি জিন্দা পার্কটি দখল করতে রাজউক আগামী ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১১, অবৈধ দখলদার বলে মূল উদ্যোক্তাদের উচ্ছেদ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সকাল ১১ টা থেকে আগামীকাল সকাল ১১টা পর্যন্ত জিন্দা পার্ক ধ্বংসের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বিশিষ্ঠ সাংবাদিক কামাল লৌহানীর নেতৃতে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও অগ্রপথিক পল্লী সমিতির উদ্যোগে এলাকার শতশত ছাত্র, শিক, নারী পুরুষসহ হাজার হাজার মানুষ জিন্দাপার্ক রায় গণ অনশন পালন করছে রূপগঞ্জ এর জিন্দাপার্কে। অনশন কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, নানা প্রতিকূলতায় ঢাকা মহানগরীর বিনোদনের স্থান যখন ক্রমেই সংর্কীর্ণ হয়ে আসছে।

এই সীমাবদ্ধতার মাঝেও তুলেছে এক প্রাকৃতিক প্রতিমা। সৌন্দর্য্যবর্ধক ও পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন স্থাপনাসমেত দীর্ঘ দিনের আন্তরিক যতেœর ফসল এই পার্কটি হাজারো তরুণের স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন। পাশাপাশি এটি আজ নগরবাসীর বিনোদনের অন্যতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। নামমাত্র পূঁজি নিয়ে কতিপয় যুবক তিন দশক পূর্বে সামাজিক প্রয়োজনীয়তা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের তাগিদ থেকে অগ্রপথিক পল্লী সমিতি নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। যাদের আন্তরিক উদ্যোগে তৈরি হয় বিদ্যালয়, লাইব্রেরী, খেলার মাঠ, মসজিদ, মক্তব, ঈদগাঁহ, গোরস্তান, কিনিক, কার্যালয় আর প্রয়োজনীয় ও সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন স্থাপনাসমেত অরণ্য সমন্বিত এক নিসর্গ।

যা জিন্দা পার্ক নামে অভিহিত। বক্তারা আরো বলেন, পল্লীর আর্থ-সামজিক উন্নয়নে বিভিন্ন অবদানের পাশাপাশি শিা ও সংস্কৃতি এবং বিনোদন কেন্দ্ররূপে একটি সামাজিক অবকাঠামো গড়ার প্রয়াসে দান, ক্রয় ও লিজের মাধ্যমে জমি সংগ্রহপূর্বক যাত্রা শুরু করে অগ্রপথিক পল্লী সমিতি। হাজারো সদস্যের সঞ্চয় আর অনুদানের অর্থে স্থাপিত এই পার্কের সম্পূর্ণ কার্যক্রম পরিচালিত হয় অনুকরণীয় গণতান্ত্রিক বিশেষ ব্যবস্থায়। স্বপ্ন সাধনা ও ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল এই প্রকল্পে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর বৃ রোপন করা হয়েছে। যার স্বীকৃতি স্বরূপ অগ্রপথিক পল্লী সমিতি ২০০৬ সালে বৃরোপনে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরষ্কার পায়।

সারাদেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এ জিন্দা পার্কটি ২০০৮ সালে উচ্ছেদের মাধ্যমে রাজউক বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিভিন্ন পরিবেশবার্দী সংগঠনের আন্দোলনের প্রেেিত এটি পার্ক হিসেবেই বহাল থাকে। রাজউক এর মাধ্যমে এলাকাবাসীর ঐক্যে ফাঁটল ধরিয়ে পার্কটি দখল এবং ধ্বংসের উদ্যেশ্যেই মূল উদ্যোক্তাদের অপসারণের এ ফন্দি এঁটেছে। যাদের শ্রম ও মেধায় আজকের এই জিন্দা পার্ক তাদের উচেছদের মাধ্যমে মূলত এই পার্কটির অস্তিত্বই বিলীন হবে। কারণ আমরা দেখেছি পার্ক মাঠ রায় রাজউক ইতোপূর্বে কোন দৃষ্টান্ত রাখতে পারেনি।

মূল উদ্যোক্তাদের অপসারণ করা হলে পার্কটির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা আর থাকবে না। ফলে ইকোলজি নষ্ট হবে, বিনোদনের বিপরীতে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা হবে। পূর্বাচল প্রকল্পে অনেক ভিটেমাটি হারা মানুষ এ পার্কের রণাবেণের সাথে জড়িত। ফলে বিরাট সংখ্যক মানুষের কর্মত্রে নষ্ট হবে। গণঅনশন কর্মসূচীতে অংশ নেন পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, লেখিকা মিতালী হোসেন, কবি লিলি হক, অগ্রপথিক পল্লী সমিতির (জিন্দা পার্ক) স্বপ্নদ্রষ্টা ও আহবায়ক তবারক হোসাইন কুসুম, প্রেসিডেন্ট মো: শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাজ্জাক শিকদার, আবেদ আলী মোল্লা, লিটল এনজেলস এর প্রধান শিক গোলাম হাসান, অগ্রপথিক পল্লী সমিতির সচিব আব্দুল্লাহ আল সাহিন, কমিশনার মো: জাকির হোসেন আকন্দ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো: বেলায়েত হোসেন প্রমূখ।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।