আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্থায়ী নাগরিক হতে চান ছিটমহলবাসীরাও

সব সময় সত্য কথা বলা ৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর বাংলাদেশে আসা নিয়ে দেশের সরকারের যেমন নানা পরিকল্পনা, চিন্তা ঠিক তেমনি আশা নিরাশার মাঝে দোদুল্যমান ছিটমহলবাসীরাও। ৬৪ বছরের দুঃখ-দুর্দশা, লাঞ্চনা-বঞ্চনা থেকে পরিত্রাণের স্বপ্ন দেখছে তারা। ইতোমধ্যে দু’দেশের ১৬২টি ছিটমহলের মানুষ ৭৪ এর ইন্দিরা-মুজিব ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে কয়েক বছর থেকে আন্দোলন করে আসছে। দু'দেশেই গঠিত হয়েছে ‘ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ’। তাদের আন্দোলনও অব্যাহত ।

১৬২টি ছিটমহলের মধ্যে বাংলাদেশে ভারতীয় ছিটমহল ১১১টি যার আয়তন ১৭ হাজার একর। পিছিয়ে পরা উত্তরের ৪ জেলাতে এসব ছিটমহল। কুড়িগ্রামে ৩৬টি, লালমনিরহাটে ৫৯টি, নীলফামারীতে ৪টি ও পঞ্চগড় জেলায় ১২টি ছিটমহল। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ১০টি ছিটমহল যার আয়তন ২২৪.২৪ একর। জনসংখ্যা ১ হাজার ১১৯ জন।

ফুলবাড়ী উপজেলায় ১৯৪৩.৪৪ একর, জনসংখ্যা ৭ হাজার ১৩১ জন। এখানকার জনগণের নেই নাগরিক কোন সুবিধা, লেখাপড়ার জন্য নেই তেমন কোন বিদ্যালয়। তাই তারা মিথ্যে পরিচয় দিয়ে ভারত কিংবা বাংলাদেশে লেখাপড়া করছে। ফুলবাড়ীর দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে দেখাগেছে সবার মাঝে এই চুক্তির আনাগোনা। তারা আশা করছে তাদের এ দাবী বাস্তবায়ন হলে তারা রাষ্ট্রীয় নাগরিকের পরিচয় পাবে।

এ চুক্তির বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে দু-দেশের সরকার ছিটমহলবাসীদের গণনার কাজ ইতোমধ্যে শেষ করেছেন। এখন শুধু চুক্তি বাস্তবায়নের পালা। এ প্রসঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ কমিটির বাংলাদেশ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, ভারত সরকারের বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে আজ ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় নীলফামারী, লালমনিরহাট, পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমাদের মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হবে এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে যদি ছিটমহল বিনিময়চুক্তি সম্পাদন না হয় তাহলে তাদের কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর কয়েক হাজার ছিটমহলবাসী বাস ও ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

তাদের হাতে ভারত-বাংলাদেশের পতাকা সমন্বিত পোষ্টার। মুখে বিভিন্ন স্লোগান। সূত্র: তথ্য ও ছবি গুলো আমার সাংবাদিক ভাইয়ের কাছ থেকে নেওয়া। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.