আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুটি গল্প এবং আমাদের মন্ত্রীরা !!

ব্যঙ্গাচির গল্পটা শিশু-কিশোর সবারই কম বেশি জানা। তবে আজ আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের কথার চলন মনে করিয়ে দিল নতুন করে। একদা এক রাজা তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। রাজা মনের আনন্দে হাটতেছেন তার ছেলেকে নিয়ে। ছেলের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন মহামান্য রাজা।

হাটতে হাটতে তারা অতিক্রম করেছিলেন একটা কূপের পাড়। রাজার অদৃষ্টই ছেলেটা দেখতে পেল কতগুলো ব্যঙ্গাচি কূপের মধ্য লাফাচ্ছে। ছেলেটা তা দেখে খুবি মজা পেল এবং একের পর এক ডিল ছুঁড়তে লাগলো ব্যঙ্গাচি গুলোর দিকে। ব্যঙ্গাচি গুলো যেখানে কাতরাচ্ছে জীবন যন্ত্রনায়, ছেলেটা লাফাচ্ছে আনন্দধারায় । রাজা যখন দেখল তার ছেলে অসহায় প্রানিগুলোর জীবন নিয়ে খেলা করছে তখন ডেকে বলল বাবা তোমার কাছে যেটা খেলনার বিষয় তাদের কাছে সেটা জীবন বাঁচানোর লড়াই ।

হাঁ, তা বোধয় চির সত্য কার কাছে যেটা রসবোধ অন্যর কাছে সেটা যন্তনাবোধ। আজ সবুজ বাংলার মানুষেরা যেখানে সাঁতরাচ্ছে দ্রব্যমূল্যের উদ্রগতির স্রোত ধারায়, সেখানে আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রী বললেন কম খান। শেয়ার বাজারের অধঃপতনের ঘটনায় যখন দেশে ঘটতেছে আত্নহত্যার মত ঘটনা তখন অর্থ মন্ত্রী বললেন শেয়ার বাজারের সবাই নাকি ফটকাবাজ । আর যখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান হারালো আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের দুই সারথি তারেক মাসুদ এবং মিশুক মনির তখন যোগাযোগ মন্ত্রি নিহত পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন এই কথা বলেযে , তাদের ড্রাইভার নাকি দোষ ছিল। এই কি যন্ত্রনার মাঝে আনন্দধারা নয়।

এভাবে মন্ত্রীদের কথার সাতকহন আমাদের কে দিচ্ছে তিব্র যন্ত্রনাবোধ । রফিক আজাদ বলেছিলেন “ ভাত দে হারামজাদা না হয় মানচিত্র চুষে খাব” আমরা আজ বলব নিরাপদ সড়ক দেন, মানুষের নিরাপত্তা দেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলোর যোগান দেন না হয় মন্ত্রীদেরকে বলব পদত্যগ পত্র জমা দেন। ছোট্ট একটা গল্প বলেই শেষ করব আজকের লেখা, এক রাজা তার মন্ত্রীকে নিয়ে বের হলেন দেশ ভ্রমণে,তারা এমন এক রাজ্যে পৌছলেন যেখানে মানুষ ভাত খেতে পাইতেছেনা, তখন রাজা মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করল কি করা যায়, তখন মন্ত্রী বললেন ভাত না খেয়ে খিচুড়ি খেলেই ত হয় দেখেছেন কতটা “মূর্খতার মোচ্ছব “ আজ আমাদের দেশেও মিলে সেই মূর্খতার মোচ্ছব, যেখানে মহাসড়ক গুলোতে সাধারণ যান চলাচলের বেহাল অবস্থা সেখানে মন্ত্রী বলতেছে ফোরলেন রাস্তা হবে। কি অদ্ভুত ! বলেন আমরা মুক্তি পাব কোথায় ? তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গুন গুন উক্তি গেড়ে বলতে ইচ্ছে করে “শোনরে শোন, অবোধ মন শোন সাধুর উক্তি, কিসে মুক্তি সেই সুযুক্তি কর গ্রহন। ভপ্রের শ্রুক্তি ভেঙ্গে মুক্তি- মুক্তা কর আন্বষন ওরে ও ভোলা মন ,ভোলা মনরে “ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।