আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জনের পরাধীনতার পদধ্বনী শুনা যাচ্ছে

১৯৮২ সালে সামরিক শাসন থেকে ‘নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা’র রাজনৈতিক অধ্যায় রচিত হতে দেখেছি। এখনও সেই একই উনপাঁজুরে অবস্থায় চলছে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী রাজনৈতিক পোষাকে বিভিন্ন পরিবারিক সিন্ডিকেট ও লেজুরগুলো। হাটে-বাজারে ধ্বনিত হচ্ছে বায়বিয় শব্দ-পণ্য যাহা রাজনৈতিক ক্যানভাসারদের কন্ঠে জয়োধ্বনির একমাত্র বিষয়বস্ত্ত। উল্লাসিত ধ্বনি হলো স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ, আইনের শাসন, স্বৈরাচার, ইসলাম ও গণতন্ত্র ইত্যাদির একচেটিয়া মালিকানার দাবীতে মহড়া দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে বন্দনায় সকলেরই নিয়মতন্ত্রের দোহাই অবশ্যই বান্ধা আছে ।

অথচ বাস্তবে পাবো সকল সময় মানসিক হটকারী কর্মকান্ডের রংবেরং-এর ফিরিস্তির হিন্দি সিরিয়াল। কিন্তু কেন হচ্ছে এসব উন্মুক্ত ভেল্কিবাজীর রাজনৈতিক নাট্যচর্চা ? যাহা দেশের উৎপাদন ও বাজার বিরোধী বিষয়, আন্দোলনের নামে মৌসূমী মেলা বসাবার অপতৎপরতা চলাচ্ছেন। সকলেই রুটিরুজির নিমিত্যে হট্টগোলের পশরা পেতে আসর জমাতে চাচ্ছেন হালের বিভিন্ন পদের নেটিভ দ্বিকবিজয়ী গণ ? নেটিভদের সকল ষড়যন্ত্র ও হাজার চেষ্টার পরও দেশের জনগণ এগিয়ে যাচ্ছেন জগতের পাদ-প্রদীপে মর্যদার স্থান নিশ্চিত করতে। এগিয়ে যাচ্ছে না বলে বলা যায়, মানুষ তাঁর জীবন যাপনের জন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে দৃঢ়চিত্তে অগ্রসর হচ্ছেন বলেই দেশ অগ্রসর হচ্ছে। গত ২০০০ সালে দেশের জিডিপি ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার এবং মাথাপিছু আয় ৩৫০ ডলার।

পরবর্তী ২০০৫ সালে ৬৬.২ বিলিয়ন এবং মাথা পিছু আয় ৪৭০ ডলার। আর ২০১০ সালে হলো ১০৪ বিলিয়ন এবং মাথাপিছু ৬৩৮ ডলার। এই দ্রুত অগ্রসর হাবার গুপ্তরহস্য অন্যকিছু নয় স্রেফ জগতের সর্বনিম্ন ‘শ্রম মজুরী’। শ্রম মজুরীর এই বার্তা দিচ্ছে দেশ আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশের পোষাক বাংলাদেশের গায়ে দেখা যেতে পারে। বাজারে রাষ্ট্র স্বীকৃত ৪৩ ডলার সর্বনিম্ন মজুরী এখন বিরাজ করছে যেন গোবরে পদ্ম।

যেখানে ভারতের বাজারে সর্বনিম্ন মজুরী ১৫০ থেকে ১৮০ ডলার এবং চীনে ২০০ থেকে ৩০০ডলার বলবৎ। দেশের মধ্যে রং বেরং-এর রাজনৈতিক জোট, মহাজোট ও ধর্মীয় তাবেদার ইত্যাদিরা হলো বর্তমানে একচেটিয়া কোম্পানীর ইজারাদারীর দাবীদার। যাদের সকল কর্মকান্ডের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাকে বাঁধা দেওয়া। কারণ বিদেশী প্রভুর ব্যাপক পণ্য স্থানীয় বাজারে প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে না হয়। প্রাথমিক লক্ষণ বাজার-মুখী স্থানীয় কৃষি-পণ্য উৎপাদন ব্যাপক হারে অগ্রসর হয়ে আছে।

দেশের বাজারে মহাজনী কারবারীদের একশত টাকায় সর্বনিম্ন বিশ থেকে ত্রিশ ভাগ সুদসহ আসল পাওয়া নিশ্চয়তা আছে। সেখানে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করলে পঞ্চাশ ভাগ মুনাফাও তেমনই নিশ্চয়তা দিচ্ছে স্থানীয় বাজার ও ভোক্তারা। আর প্রভুর আরধনাকারী সকল নেটিভ রাজনৈতিক দাস-দালালগণ দেশের মধ্যে হট্টোগোল তো পাঁকাবেই। স্থানীয় উৎপাদনকে দেউলিয়া করতে চাচ্ছে শুধু মাত্র হাবড়া প্রভুর পূঁজি ও পণ্যের বাজার নিশ্চত রাখতে। বিভিন্ন নামে রাজনৈতিক দলগুলো, সরকার বলতে এখনো ভাবে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বন্দোবস্ত প্রাপ্তী।

কখনো ভাবে না সরকার মানে পিপলস্ রিপবালিকের ‘পাবলিক ইন্সট্রুমেন্ট’। এই সকল রাষ্ট্রীয় ইন্সট্রুমেন্ট পরিচালনা করতে নেটিভ রাজনৈতিক দলগুলো কখনো ধর্মনিরেপক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, একদা চাপায় সমাজতন্ত্র নগদে ইসলাম ইত্যাদির নামে জনসেবার ভূগোল পাঠ দিয়ে চলেছে। রাষ্ট্রীয় ইন্সট্রুমেন্ট পরিচালনার জন্য জন-গণ, তাদের পক্ষে কাজ কারবার তদারকি করতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেন রাজনৈতিক দল বা জোটকে । অথচ আমরা পাচ্ছি কোম্পানীর আমলের প্রশাসন ব্যবস্থার মধ্যমে রিপাবলিকের শাসন। রাজনীতিবিদ, পন্ডিত ও সু-শীল সমাজ ইত্যাদি কালা ব্যারণ, নাইট ও লর্ডগণ ইংল্যান্ডিয় ওয়ারেশের বনিয়াদে কোম্পানীর লুটের হাতিয়ার ব্যবহার করছেন নিশ্চিন্তে।

এই দেশে প্রশাসন বলতে ‘পানায় মন্ত্রী দোয়ায় আমলা’র নির্দ্ধারিত কর্ম-কান্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে বাজার বলতে ব্যবসায়ীদের বাঁধা মুরগী হিসাবে বিরাজ করছে ক্রেতা নামে জন-গণ। এই সকল সত্য কথার মর্মান্তিক পরিস্থিতির স্বীকার পণ্য ও সেবার বাজারে বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসেও। ফাঁচ-কাঁদুনে এবং হাতে ঝোলা নিয়ে সমাজের বিরাজমান আলহাজ্ব তকমায় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়দের দৌরত্ব্যের মধ্যে। ‘ওজনে’ কম যেন ঘরকা মুরগী ডাল বরাবর, ‘ভেজাল’তো পণ্যের মুক্তার মালার হার এবং ‘মূল্য’ সে তো মর্জ্জি মাফিক নির্দ্ধারিত হবে।

পণ্যের মান বলতে যে কোনো সরকারি দলের মতো আপটুডেট ফ্রেশ এন্ড ক্লিন। সকল কর্মকান্ড ঘটবে, ‘আমি জানি না’ নেটিভ রাজনীতিবিদ ও আমলাদের ভাতা, বেতন ও ঈদ-বোনাসসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তীতেও ! যদি নাই বা জানবে, পিরিত করে কেন জন-প্রশাসনকে ফি বছরেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ বাজেটে নিশ্চিত করা হচ্ছে ? সত্যিই কি এই দেশেতে কেউ জানে না ? এই গদনারায়ণে অভ্যস্ত প্রসিদ্ধ নেটিভ বাংরেজদের বিদায় না করলে আগামীতেও শুনতে হবে একই ভাংঙ্গা রেকড ! জগতে ভাঙ্গা-গড়ার বর্তমান সময়টা প্রবাহিত হচ্ছে দ্রুতগতিতে বৃহত্তর রঙ্গমঞ্চে স্থান পাওয়া না পাওয়ার প্রতিযোগীতার। সেই লড়াইয়ে স্থান নিশ্চিত করতে যোদ্ধা হিসাবে দৃঢ়পদে অংশগ্রহন করে চলেছে দীর্ঘদিন পিছিয়ে থাকা বাংলা। দেশের অগ্রসর হওয়ার জন্য প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব। লর্ড মেকলের শিক্ষায় শিক্ষিত কালা ইংরেজ রাজনীতিবিদরা সমাজকে সেই নেতৃত্ব দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করছেন।

তার যথেস্ট প্রমান হলো সংবিধানের গোজামিলের সংশোধন প্রস্তাব পাস করলো। কেন এমন করলো ? কারণ মহজোট সরকার নিজেকে ধার্মিক প্রমাণ করতে এই গোজামিলে গা ভাসানো খেলা খেলাচ্ছেন। অথচ কোন রাজনৈতিক দল কখনো ধর্ম প্রচারকারী দল নয়, এমন ভাবনা রাজনীতিবিদদের মনে যোগায় না। তাই অনেকটা ‘সাপ মরলো লাঠি ভাঙলো না’ কেস ফিট হলো নব্য খেজুর খাওয়া রাজনৈতিক মোল্লাদের দ্বারা। দেশপ্রেমিক ‘সর’ ‘কার’ কি ভাবে সুভে থেকে নিশি বিদেশী বিনিয়োগকারীর জন্য সদর দরজায় বেলীফুলের মালা হাতে প্রহর গুনছে।

পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আনতে ভার্জিন কন্যাসহ ফুল-সজ্জার বাসর সাজিয়ে রেখেছে। মোটা দরে যৌতুক দেওয়া হবে জানাতে ঢ্যাড়া পিটিয়ে দিচ্ছেন , ‘‘১৫ বছরের জন্য কর্পোরেট আয়কর রেয়াত ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সরঞ্জাম আমদানী শুল্ক প্রত্যাহারসহ। এ দেশ থেকে শতভাগ মুনাফা ও মূলধন ফেরত নেওয়া যায় এবং পাঁচ লাখ ডলার বিনিয়োগ করলেই মেলে নাগরিকত্ব’’। তারপরেও খুব বেশী ফরেনার বিনিয়োগ-কারী জামাই খুঁজে পাচ্ছেন না। অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের নব্য খেলাফতি দাবীদার বুজরুকীতে ঠাসা মহাজোট সর কার।

মাত্র দশ কোটি ডলার আফ্রিকায় বিনিয়োগের অনুমতি দিল না কেন বাংলাদেশ ব্যাংক ? কারণ ফরেন কারেন্সি সংকট দেখা দিতে পারে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর। এখন ডলারের দাম যাচ্ছে নির্ধারিত মূল্যেও চেয়েও ছয়-সাত টাকা বেশী, কেন ? অথচ বিশ্ববাজারে ডলার নড়বরে অবস্থায় রাষ্ট্রীয় স্যালাইনের মাধ্যমে টিকে আছে। অর্থাৎ, দেশ থেকে অন্ধকার পথে অর্থ পালিয় যাচ্ছে এবং সেই পালাতক আসামির নাম ডলার’ ! খ্রীষ্টীয় বৎসরের শুরুতে শেয়ারের ভেল্কির মাধ্যমে দেশের মধ্যে জগতের হাবড়া ডলার ম্যারাথণ দৌড় শুরু করে। যখন সারা বিশ্বে ডলার জীবনের গোধুলিতে, যে কি না নিশুতীর জন্য অপেক্ষা করছে । পূঁজি সাদা কি কালো নির্ভর করে রাষ্ট্র ব্যবস্থার নিয়ম নীতির উপর।

তবে অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো, ২০১০ সালে ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫২ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। চলতি(২০১১-১২) অর্থ বছরে ৬২ হাজার কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে। হাঁ, জোরালো ভাবে হট্টোগোল শু্রু হতে যাচ্ছে। কি কারণ ? বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে একে রুখতে হবেই প্রভুর একমাত্র নির্দেশ। তার জন্য এই সকল হট্টোগোল পাকানো হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে।

আঁদি সিমেটিক আঁখিতে দুই ঘোড়েল দেশ যৌথ উদ্দোগে পর্যবেক্ষণ করছে তাল-কানা বাংলাদেশকে। ‘মেড়া’হীন দেশটার জনগণ কি ভংয়কর গতিতে অর্থনীতির চাকা শত রাজনৈতিক দুর্যোগের মধ্যেও অগ্রসর করছেন। জগতের সেই দুই ঘোড়েলদেশ(মার্কিন+ভারত), কিন্তু ওরা যতই কৃষ্ণের রাঁধা বলে ডাকুক, এখনও এদেশের পণ্য বিশেষ সুবিধাভোগির তালিকাভুক্ত করতে ভুলে গ্যাছেন প্রেমিকদয়। বরং প্রখ্যাত দুই অগ্রজ ও কনিষ্ঠের বাজার দেশের জন্য অবাধ হলে জার্মান ও জাপানের মতো দেশটা রপ্তানী বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি করতে পারতো। উদ্ধারকারীর আবেদনে জগতের মোড়ল মাতবররা নিজেদের শঠতার মুখোশ ঢেঁকে রেখে আমাদের ঘাঁড়ে জোয়াল দিতে চায়।

তারপরেও এই সকল কলির কৃষ্ণের বয়ানে মানবাধিকার ছবক শুনতে হবে, ‘চালনের ভাষায় শুইয়ের ছিদ্র কাহিনী’ ! ‘জবরদস্তি’ মূলমন্ত্রে উদ্ভাসিত কোম্পানীর ইজারাদারী পাওয়া বা না পাওয়া দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক সিন্ডিকেট গুলো। আর তাদের রাষ্ট্র পরিচালন নয়, বরং শাসনের মন্ত্র হলো মহারানী ভিক্টোরিয়ার লুটের দর্শন ! তাইতো পিপলস্ রিপাবলিকে এখনো ‘৫৪ ধারা’ আইন বলবৎ ! যে রাষ্ট্রের সংবিধানে স্বীকৃত রাষ্ট্রের মালিক ‘জন’, সেই ‘জন’কে সন্দেহ বসত বিনা কৈফিয়াতে গ্রেফতার করা কি রিপাবলিকে সম্ভব ? যদি সম্ভব হয় তবে বুঝতে হবে দেশের ‘রিপাবলিক’ নামেই ‘তাল পুকুর ঘটি বোড়ে না’। আর যদি জনের ঘটি বোড়াতে হয় তবে এই সকল মহারানীর আইন কানুন অবৈধ হিসাবে বাতিল করতে হবে। ‘জন’ হচ্ছে রিপাবলিকের স্বাধীন ‘নাগরিক’, তাকে সন্দেহ করার কোনো আইন রিপাবলিকে থাকতে পারে না। যদি থাকে বুঝতে হবে আর যাই হোক ওটা রিপাবলিক নয়।

যেমন ডোনারের ইংগিতে হান্টাররা রিপাবলিকে সংখ্যালঘু, উপজাতি ও আদিবাসী নামক সাবজেক্টকে প্রোজেক্টে রূপ দিতে হাঠ-বাজারে ওল ব্যাচার মতো সোরগোল শুরু করেছে । সব সম্ভবের দেশ বলেই সংবিধানে মদ ও দুধ এক বলে চালান করলেন মহাজোট সর কার সং বিধানের সংশোধনের মধ্যমে। ইসলাম কি কোন বায়বিয় বা বুজরুকির বিষয় ? অথচ ইসলামের সারকথা, যাহা ‘আল্লাহ্, কোরাণ ও নবী’কে অনুসরণের মধ্যে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধ। আল্লাহ্‌র সৃষ্টি মানুষ, সৃষ্টির শ্রেষ্ট। শয়তানের আনুসারী আদমের চরিত্র হলেই পাপি হতে হবে।

আল্লাহকে সকল সময় শোকর করো মানুষ হিসাবে এই জগতে বিচারণ করতে পারার জন্য। মধ্যযুগের আরবদের মাদ্রাসা ও ট্রেইটর হেষ্টিংসের মাদ্রাসা সৃষ্টির মধ্যে গুনগত ব্যাপক পার্থক্য ছিল। আরবরা জ্ঞান চর্চ্চার জন্য মাদ্রাসার প্রসার ঘটায় লিসবন থেকে পারস্যে আরব অন-আরব ভেদাভেদ ছাড়া। আর ভারতে ট্রেইটর হেষ্টিংস মাদ্রাসা খুলে ছিল ফারসি জানা ‘মুন্সি’ রাইটার তৈরী করতে। কারণ ট্রেইটর ক্লাইভ ও হেস্টিংস বাংলায় ব্যাপক পরিমানণ লুটপাটের রাজত্ব চালু করেছিল।

এইসময় লুটপাটের মাল ইংল্যান্ডে পাচারের জন্য জাহাজ বোঝাই ইত্যকার কাজ কারবার দেখভাল করতে ব্যাপক সিভিল সার্ভিস কর্মি বা ‘মুন্সি’র চাহিদা বেড়ে যায়। বর্তমানে তো হেস্টিংস নাই, কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার উৎপাদন এবং বিপনণ বন্ধ নাই। তাহলে কি চলছে ঐ সকল ধর্মীয় শিক্ষার নামে হেস্টিংসের আস্তানায় ? বৃত্তহীন মানুষের অসহায় ও এতিম ছেলেমেয়ে শিক্ষার জন্য এই সকল মাদ্রাসা ও এতিমখানায় লেখাপড়া করে। তাদের খাওয়া, থাকা ও পড়ার হাল হকিকত ইত্যাদির সরেজমিনে নজর দিলেই ট্রেইটর হেস্টিংসের নগদ প্রেতাত্মার চেহারা দৃশ্যপটে প্রকাশ পাবে। কারণ এই সকল প্রতিষ্ঠান বারোয়ারী বা কোন ব্যক্তির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত।

বারোয়ারী এবং রাষ্ট্রের দান ধ্যানেই পরিচালিত হয় দেশের মধ্যের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা ও এতিমখানা। আর মাদ্রাসা ও এতিমখানা ইত্যাদির হিসাব-নিকাশ সন্ধান করলে সকল ধর্মীয় শিক্ষা বাণিজ্যের নতূন অধ্যায় সমাজ জানতে পারবে। দেশের ধর্ম ব্যাপারীদের সকল বিত্তের উৎসের ইবলিশের চেহারা উঁকি মারবে তথায়। ঈদ পরবর্তীতে বিশেষ আকর্ষণ ‘সেধে শাল মাগে নেওয়া’র প্রস্ত্ততি চলছে দেশের সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক জোট দলগুলোর মধ্যে। অথচ সমাজের আলিবাবা পরিচয় অর্জনে শ্রেষ্ট ভূমিকায় ‘রাজনীতি ওয়ালার মিথ্যা মামলা, ওয়ামলাদের তো মামলা নেই’-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ।

এদের দুর্নিবার মানসিক লোভ সমাজকে হাংগামার রাজ্যে পরিণত করতে চাচ্ছে ! এর পরিণতি হিসাবে জনগণ আবিষ্কার করবে পাবলিক সার্ভেন্টর প্রজা হিসাবে নিজেকে, কিন্তু রিপাবলিকের নাগরিক নয় ! ওদের ধরবে, মারবে, আরও পয়সা দেবে, তারপরও হেসে স্যার বলে ডাকবে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণকারী পাবলিক সার্ভেন্টদের। গত জরুরী অবস্থার সময় যেমন উপহার পেয়েছিলেন রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ী ইত্যাদি কলির ব্রাহ্মণগণ। এবার ক্ষমতা যাবে পাঁচ বছরের জন্য এবং পরিবারের রাজনৈতিক সত্ব বিলুপ্ত হতে পারে পাপের সাজা হিসাবে। সুতরাং আমাদের ভাবতে হবে, এই সকল দিকভ্রান্ত ও মানসিক বৈকল্লদের পাল্লায় পড়ে পাবলিব সার্ভেন্টদের রাজত্বে প্রবেশ করবো কি না ? কারণ দেশের বাজেটের সকল খরচাতো আমরাই পুরণ করে থাকি ফি বছর এবং আগামীতেও করতে হবে এটাও নিশ্চিত। লেখাটি খুলনা জার্নালে পুর্বে প্রকাশিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.