আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে হরতাল ও দাদা'দের অনুধাবন!

আমার জানামতে ১০ ও ১১ই জুলাই ইসলামী দলগুলো টানা ৩০ ঘন্টার হরতাল ডেকেছিলো। কিন্তু দাদা'দের পত্রিকা খুলে অবাক হলাম। দেখুন আনন্দবাজারের খবরের হেডিংয়ে কি বলে: জামাত-আওয়ামির সংঘর্ষে উত্তাল ঢাকা - জখম ১০০। বিষয়বস্তুতে বলা হচ্ছে ৪৮ ঘন্টার বন্ধ ডেকেছিলো জামাত। মনমোহনের মত দাদারাও এখন দাঁড়ি, টুপি দেখলেই জামাতের ভূত দেখছেন! বিএনপি-জামায়াতের হরতালকে বলা হচ্ছে বিএনপি'র ডাকা বন্ধ।

আর ইসলামী সমমনা দলগুলোর হরতালকে বলা হচ্ছে জামাতের বন্ধ। দেখুন খবরে কি পরিবেশন করা হচ্ছে: জামাত-ই-ইসলামির ডাকা ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল বাংলাদেশের রাজধানী-সহ বিভিন্ন এলাকা। বিরোধী জামাতের সঙ্গে প্রথমে পুলিশ এবং পরে শাসক আওয়ামি লিগের সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন পুলিশ। সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করে তদারকি সরকার গঠনের প্রথা তুলে দিয়েছে হাসিনা সরকার।

তার প্রতিবাদে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সফরের দিন, বুধ এবং বৃহস্পতিবার বন্ধ ডেকেছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তার পরে দু’দিন কাটতে না কাটতেই আজ থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ ডাকে জামাত। ওই সংবিধান সংশোধনী বিলে ধর্মসংক্রান্ত একটি বিষয় যুক্ত করার দাবিতে এই বন্ধ। এ দিন সকালে বাঁশ, পাথর নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে অবরোধ করেন জামাত কর্মী-সমর্থকরা। জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট।

ভাঙচুর চালিয়ে বিভিন্ন গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাদের ঘিরে ধরে। দুই পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়া হয়। মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ছোড়া হয় রবার বুলেট।

এর পরে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়ায়। সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে,ফাতুল্লাহা এলাকা ও ঢাকার মৌচাক এলাকা থেকে। দেশেরঅন্য বড় শহরগুলোতেও বন্ধের প্রভাব চোখে পড়েছে। ইসলামি দলগুলির দাবি, গত তিন দিন ধরে তাদের প্রায় ২৫০ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকার রাস্তায় টহল দিচ্ছে বিশেষ বাহিনী।

তবে বিশেষ বাহিনী সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেন নাই দাদা'রা! ওদের ওখানে না হয় বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল নাই, অন-লাইন পেপারও কি ওনাদের ওখানে ব্লক করা? ঢাকায় ওনাদের সাংবাদিক, চামচা, গোয়েন্দা, র'এর লোকজনও কি প্রকৃত খবর জানে না? দাদা'রা আর কত? খ্যামা দেওয়া যায় না? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.