আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুদ্রাদোষ না বদঅভ্যাস

জীবনের ঘানি টানছি........ আমরা আমাদের অজান্তে নানা ধরনের কিছু না কিছু দোষণীয় কাজ করে থাকি। যা ধীরে ধীরে আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। আর এ দোষণীয় কাজগুলোই বদঅভ্যাস। এগুলো যেমন অন্যের দৃষ্টিতে বিরক্তিকর তেমনি দৃষ্টিকটুও বটে। এসবের যৎসামান্য বর্ণনা করা যেতে পারে।

তাতে কিছুটা হলেও সংশোধন হওয়া যাবে। যেমন- ০০ বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেকেই মাথা চুলকিয়ে কথা বলেন কিংবা কানে হাত দিয়ে কান চুলকাতে চুলকাতে কথা বলতে থাকেন। এরূপ কাজে তাকে বোকা বোকা মনে হয়। ০০ রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ানো কিংবা প্যান্টের জিপারে (প্যান্টের চেইন) হাত ঢুকিয়ে জামা টেনে ঠিক করার সময় স্মার্টহীন মনে হতে পারে। ০০ বেশিক্ষণ কারো দিকে তাকিয়ে থাকা কিংবা বারবার তাকানোতে নির্লজ্জ ভাবাপন্ন মনে হতে পারে।

০০ খাওয়ার সময় চুকচুক করে কিংবা খাওয়া শেষে গদগদ করে ঢেঁকুর তুলে আওয়াজ করা অন্যের বিরক্তির কারণ হতে পারে। ০০ হাঁচি, কাশি কিংবা হাই এলে মুখে রুমাল চাপা উচিত। তা না হলে অন্যের বিরক্তি আসতে পারে। ০০ কান চুলকানো কিংবা দাঁতে আটকে যাওয়া দ্রব্যাদি যদি পরিষ্কার করতে হয়, তবে একটু আড়াল করে যে কোনো সুতা কিংবা টুথপিক ব্যবহার করা যেতে পারে। কান চুলকানো কিংবা দাঁত খিলালের পর ময়লা কখনো অন্য হাতে নিয়ে গন্ধ নেয়া উচিত নয়।

এসব ময়লা পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই টিসু্য কিংবা রুমাল ব্যবহার করতে হবে। চোখের পিচুটি হাতে এনে কিংবা নাকের ভেতরের সামান্য ময়লাও হাতে এনে পাকাতে থাকলে কুরুচিপূর্ণ মনে হবে। যখন-তখন গুপ্তাঙ্গে হাত দিয়ে চুলকানো ঠিক নয়। এটা কুরুচিপূর্ণ মনে হবে। শুধু তাই নয়, এতে স্বাস্থ্যের হানিও ঘটে।

০০ চলার পথে জুতা কিংবা সেন্ডেল দিয়ে মাটি ঘষে ঘষে হাঁটলে অন্যের গায়ে ঝংকারের সৃষ্টি হয়। এ বদঅভ্যাসটি বিরক্তিকর ও স্মার্টহীনতা প্রকাশ পায়। ০০ কারো সঙ্গে একান্তে কথা বলার সময় দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলাই উত্তম। একেবারে সামনে এসে কথা বলার সময় অবশ্যই মুখের সামনে একটা হাত রেখে তারপর কথা বলার অভ্যাস করা ভালো। ০০ কথা বলার সময় যতটুকু সম্ভব সংক্ষেপে বলাই উত্তম।

কথার ফাঁকে ফাঁকে বুঝছেন কিংবা অঁযা অঁযা শব্দ পরিহার করা উচিত। তা না হলে শ্রোতা বিরক্তবোধ করবেন এবং গুরুত্ব দিয়ে শুনবেন না। ০০ মেহমানকে বিদায় দেয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করে দেয়া উচিত নয়। বিদায়ের সময় অল্প সময়ের জন্য হলেও দরজায় কিংবা জানালায় একটু অপেক্ষা করা যেতে পারে। যতক্ষণ মেহমান দেখা যাবে ততক্ষণ দরজায় কিংবা জানালায় অপেক্ষা করা ভালো।

এতে আতিথেয়তা ও আন্তরিকতা প্রকাশ পাবে। ০০ রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নিজকে এমনভাবে সামলাতে হবে যাতে হাঁটা-চলার পথে অন্য কারো গায়ে কিংবা চলার পথে বাধা সৃষ্টি না হয়। সোজাসুজি রাস্তার এক পাশ দিয়ে হাঁটাই উত্তম। ইচ্ছে করলে রাস্তার ডান পাশ দিয়ে হাঁটা যায়। ০০ চলার পথে যেদিকে খুশি সেদিকে থুতু না ফেলে পেছনের দিক লক্ষ্য করে কিংবা বাতাসের গতি লক্ষ্য রেখে বাম দিকে থুতু ফেলার অভ্যাস করা ভালো।

তাতে কারো থুতু লাগার সম্ভবনা থাকে না। ০০ চলার পথে অহেতুক ইটের টুকরো--ফলের খোসা কিংবা অনুরূপ কোনো বস্তুকে সরিয়ে দেয়া, তাতে নিজের ও অন্যের উপকার হবে। ০০ হাঁটা-চলার সময় দাঁত খিলাল করা, চেয়ারে বসে পা দোলানো বদঅভ্যাস ও দেখতে বিরক্তকর। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।