আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নারীরা কি সমান অধিকার চায় নাকি বেশি অধিকার চায়?! ---- ইহা একটি ক্যাচাল পোস্ট

মাঝে মাঝে...জীবনটাকে অন্যভাবে দেখতে চাই... আমাদের দেশের নারীরা কি সমান অধিকার চায় নাকি বেশি অধিকার চায়---- মাঝে মাঝে ঠিক বুঝতে পারি না. আমি নারীবাদীও না আবার নারীবিরোধী কট্টরও না. কিন্তু অনেক কিছু বুঝি না, খালি আউলা ঝাউলা লাগে... যদি বলেন নারীর অধিকার পুরুষের সমান না কিংবা ধর্ম মতে নারীর অধিকার নির্দিষ্ট এবং পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্বকারী... তাহলে ক্যাচল করে লাভ নাই, ২হাত উপরে তুলে সারেন্ডার... আর যদি বলেন অধিকার ৫০-৫০ তাইলে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়... ১.আমাদের দেশে চাকুরীজীবি মেয়েরা কেন বেকার ছেলে বিয়ে করে না? যেখানে ভুড়ি ভুড়ি চাকুরীজীবি ছেলেরা বেকার মেয়েকে বিয়ে করে কিংবা বিয়ের পরে মেয়রা বেকার হয়ে পড়ে!!তাহলে সমান অধিকার হল কিন্তু সমান দায়িত্ব তো পালন করা হল না!!! ২.বিয়েতে ১০-২০ ভড়ি গয়না দিতে হবে, ১০-২০ লাখ টাকা কাবিন হতে হবে!! আজকের আধুনিক মেয়েরা এইটাতে ১ ইন্চিও ছাড় দেয় না!! ছেলেটার উপর বেশি দায়িত্ব, বেশি বোঝা কেন চাপানো হচ্ছে??সমান সমান হলে তো একই পরিমান দায়িত্ব মেয়েটারও পালন করা উচিৎ!? সব কিছু খরচ ২ পক্ষ ৫০-৫০ করে দেয়া উচিৎ! আর যদি বলেন কোন কারনে ডিভোর্স হলে মেয়েটার কি হবে, আমাদের সমাজে এই মেয়েকে কে নেবে, কে এর ভরণ পোষন দিবে! তাহলে তো বলতে হয় আমাদের সমাজ ছেলে মেয়েকে সমান চোখে দেখে না, সুতরাং সমান অধিকার চেয়ে লাভ নেই!!!ছেলেরা বেশি করবে, বেশি দায়িত্ব নিবে অথচ সব কিছুতে সমান চাই মুখে বলব কিন্তু নেবার বেলায় গাছেরটাও নিব, তলারটাও কুড়াব! সমান অধিকার হিসেবে তো বলতে হয় ডিভোর্সের পর ছেলেটার যা হবে মেয়েটারও তাই হবে! আধুনিক মেয়েরা সমান অধিকারের কথা বলে তাহলে সব আয় উপার্যন, দায়িত্বও তো সমান হওয়া উচিৎ!! --- নাকি যা যা বেশি বেশি পাওয়া যায় মানে ধর্ম মতে নারী পুরুষের অধীন হিসেবে যা যা দিতে বলা হয়েছে তা তো নিতেই হবে সাথে বাকি সব ৫০-৫০!! ৩. অনেক আধুনিক মেয়েই বলে থাকেন... আমি চাকুরী করে যা আয় করব এটা আমার টাকা, আমার ইচ্ছামত খরচ করব. আর সংসার ও অন্যান্য খরচ দিবে হাজবেন্ড! কারন সে আমাকে বিয়ে করছে আমার সব দায়িত্ব তার!! অনেকে আবার ১কাঠি বেশি সরেস বলেন... বিয়ের পরে বউয়ের কামাই খেতে চায় এইটা কেমন পুরুষ মানুষ হইল!!! হায় হায় কই যাবে বেচারা----- এইটা কি সমান অধিকার হল?? সব তো ৫০-৫০ হল না! ৪.ব্যংকে টাকা জমা দিতে যাবেন মেয়েদের কাজ অনেক সময়ই আগে করে দেয়া হয় কিংবা আলাদা লাইন থাকে, বাসেও আলাদা সিট থাকে!! সমান হলে তো সব একই জায়গায় একইভাবে প্রতিযোগীতা করে করা উচিৎ. নাকি বাসের ৯টা সিট তো তাদেরই, সাথে বাসের অন্য কোন জায়গায় তো বসতেই পারবে... অধিকার কি সমান হল! বলতে পারেন দাড়িয়ে থাকলে ছেলেরা ডিসটার্ব করবে. কুকুরকে শায়েস্তা করতে হলে মুগুর হাতে তো নামতেই হবে! নাকি তার জন্য অন্যপুরুষের দয়া চাইতে হবে!! বাসে উঠে কোন সিট খালি না থাকলে অনেক নারীই বলেন কি অসভ্য পুরুষ মানুষ একজন নারী দাড়িয়ে আছে আর সে সম্মান করে তাকে বসতেও বলছে না!!! সমান অধিকার চাইলেন নাকি সুবিধাটুকু (দুর্বল নারীর প্রতি পুরুষের সম্মানসূচক দয়া) নিয়ে নিলেন, আর বাকি সব সমান সমান!! ৫.নারীদের এখন অনেক কোটা হিসেবে চাকুররি দেয়া হয়. এক প্রাইমেরি স্কুলেই এসএসসি পাশ নারীদের চাকুরী হয় কিন্তু পুরুষের জন্য ডিগ্রি পাশ থাকা লাগবে!! কোটা তো আছেই... সমান অধিকার দেয়া হল!?? মেধার ভিত্তিতে প্রতিযোগীতা করে ঢুকল? নাকি পুরুষের দেয়া এক্সট্রা সুবিধাটুকু নিয়ে !!! ৬. চারপাশের একটা কমন দৃশ্য... বউদের আবদার হাজবেন্ডের কাছে ঈদে বা যে কোন উপলক্ষে আমাকে ঐটা কিনে দিতে হবে, এটা কিনে দিতে হবে...অমুকের বউ এইটা পরে, এইটা কিনছে তুমিও আমারে কিনে দিবা... না পারলে কিংবা দেরী হলে... বউ পালার মুরদ নাই বিয়ে করছ কেন!? ইত্যাদি ইত্যাদি... নারীদের সমান অধিকার কি এটাই বলে? পুরুষ কি তার চাকুরীজীবি বউয়ের কাছে কিছু চাওয়ার আবদার করতে পারে?? নাকি পুরুষের কাছে নারীরা শুধু পাওনাদার!!!! এমন হয়ত আরও অনেক কিছুই আছে.... সাইদ-রুমানা আজকাল সবার হট টপিকস্. সাইদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ? অনেকেই বলবেন ফাসি, জেল ইত্যাদি... আমার মতে চোখের বিনিময়ে চোখ তোলা উচিৎ তাহলে উপযুক্ত শাস্তি হবে... --- এখানেও একটা প্রশ্ন মনে জাগে... কেউ মারতে গেলে পিটাবে, মাথা ফাটাবে, পেটে ছুরি ঢুকাবে কিন্তু চোখ উঠাবে কেন??? ১৫/১৬ বছরের সংসারে বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ চোখ তুলে ফেলল কেন?? সে চোখে কম দেখতে পায় সেই হীনমন্যতা থেকে এ কাজটি করেছে! নাকি দিনের পর দিন চোখের জন্য অবজ্ঞা, কটাক্ষ তার মধ্যে এমন ক্ষোভের সন্চার করেছে যে তার সব ক্ষোভ রোমনার ঐ চোখের উপরে গিয়ে পড়েছে!!?? আমাদের দেশে নারী নির্যাতনের কঠোর আইন আছে. কেউ কিছু করলে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে. পুরুষ নির্যাতনের আলাদা কোন আইন নেই! ঘরে ঘরে পুরুষরা অনেক অনেক মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হয় যেটা অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক নির্যাতনের চেয়ে ভয়াবহ. তার কি কোন বিচার হবে! হবে না, কারন এটার ভিজ্যুয়াল কোন প্রমান নেই. অনেক নারী নির্যাতনের কারন পুরুষের এই দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রনার বহি:প্রকাশ!! নির্যাতন মানসিক কিংবা শারীরিক কোনটাই কাম্য নয়. নারী পুরুষ পরস্পর পরস্পরের সহযোগী হিসাবে সুখে শান্তিতে থাকুক এটাই প্রত্যাশা...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।