আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাবা দিবসে হাবা হইয়া গেলাম

কালকে দুপুরে কাজীপাড়া ওভার ব্রীজ দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাস্তা পার হইতেছিলাম, আচমকা কে যেন আমার পা ধইরা ফালাইলো। আমি রীতিমত ফাল দিয়া উঠলাম। যতদূর মন পড়ে কেউ আমার কাছে এমন কোন অন্যায় করে নাই যে পা ধইরা মাফ চাইব। ১০ নাম্বার ওভার ব্রীজের উপর কয়েকটা বাচ্চা এইরকম শিকারের আশায় থাকে, ২/১ টাকা দিলেই ছাইড়া দেয়। কিন্তু আমি যার পাল্লায় পড়লাম তিনি একজন বাবা, যেই সেই বাবা না আপাদমস্তক ছালা দিয়া মোড়ানো "ছালা বাবা"।

আমি এক দিকে টানি, বাবায় টানে আরেক দিকে, ইশারায় দুই আঙ্গুল দিয়া ভি চিহ্ন দেখাইলো। আমি মনে মনে কইলাম হ বাবা আপনে জিতছেন। এইবার ছাড়েন। পিছন থেইকা ২/৪ জন মজা লইতেছিল, একজন কইল ২ টাকা দিয়া দেন। মানি ব্যাগ বাইর করতে যাইয়া যা নজরে পড়ল তাতে আতঙ্কে আমার হাত পা জইমা গেল।

দেখলাম ৩টা হিজড়া এইদিকেই আসতেছে। মনে মনে ভাবলাম- আহা! বাবা আর হিজড়া'র কর্মকান্ডের কি অপূর্ব সেতুবন্ধন। একজন আপদে ধইরা রাখছে, আরেক আপদ এইদিকেই আসতেছে। টাকা বাইর করতে করতে এক্কবারে কাছে আইসা গেল, একজন কইল "ওই বুইড়া ছাড়বি না" ২য় জনঃ দে, ওরে দুই টাকা দে। আমি তাড়াতাড়ি দুই টাকা দিয়া দিলাম।

১ম জনঃ এইবার আমারে ২০ টেকা দে। আমি কইলাম কেন তোমাদেরকে টাকা দিব? ৩য় জনঃ না দিলে এক্কেরে চুম্মা দিয়া দিমু। (হায় আল্লাহ কয় কি, হে আল্লাহ ব্রীজ ফাক কইরা দাও আমি আসমানে উইঠা যাই) এই কথা শুইনা প্রায় কাইন্দা দিছিলাম রে ভাই। তাড়াতাড়ি ২০ টাকা দিলাম। হারামির বাচ্চার তাও যাইতে দিব না।

কয় দেখি, মানিব্যাগে আর কি আছে। তোর বঊ এর ছবি দেখি। প্রায় ধাক্কা দিয়া আর উইড়া উইড়া ব্রীজ থেইকা নামলাম। কোন মতে একটা রিকশা ধইরা বাসার দিকে পালাইলাম।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.