আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ নির্যাতন বন্ধ হোক

আমাদের দেশ আমাদের সম্পদ ঝিনাইদহের এক কিশোরী কাজের মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গৃহকর্ত্রী এসিডে পুড়িয়েছে বৃহস্পতিবার, 16 জুন 2011 12:37 ঝিনাইদহ সদরের পল্লী ধননজয় পুর থেকে ১২ বছরের বিথী নামের এক কিশোরীকে ঢাকায় নিয়ে গৃহকত্রী নির্যাতন চালিয়ে তলপেটে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । অসহায় পরিবারটি তাদের হুমকি-ধামকির ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা বলে জানা যায় । বিথী ও স্বজনেরা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ধনন-জয়পুর গ্রামের গরীব বৃদ্ধ কৃষক মসলেম বিশ্বাসের কিশোরী কন্যা বির্থী খাতুন অর্থের অভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি। কিন্তু তার লেখাপড়া ও বাসায় খুটিনাটি কাজের জন্যে পুর্ব পরিচিত হিসেবে ঝিনাইদহ শহরের প্রিয়া সিনেমা হলের পাশে অবস্থিত সফিকুলের পুত্র সাগর গত বছর তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়।

গৃহকর্তা সাগর ১২বছরের কিশোরী বিথীকে ঢাকার ভাড়াকৃত বাসা উত্তরার ৪নং সড়কের ৮ নং ফ্লাটে নিয়ে রাখে। কিছুদিন যেতে না যেতেই তাকে কোন স্কুলে ভর্তি না করে কাজের মেয়ে হিসেবে ব্যাবহার করতে থাকে। গৃহকর্তা বিথীকে সংসারের কাজ কর্ম ও তাদের ৩ বছরের পুত্র ছিয়ামকে দেখা-শুনা করতে বলে। কিন্তু সংসারের কাজ করার সময়ে একটু ত্রুটি হলেই গৃহকত্রী শারমিন তাকে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এক পর্যায়ে গত বুধবার সংসারের কাজ করার সময় সামান্যে ভুল হওয়ার কারনে গৃহকর্ত্রী শারমিন কাজের মেয়ে বিথীর তলপেটে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেয়।

এতে তার গোপন অঙ্গ ক্ষতের সৃষ্টি হলে সে যন্ত্রনায় ছট-ফট করতে থাকলেও তাকে একটি ঘরে আটকে রাখে। বৃহস্পতিবার তার অবস্থা আশংকাজনক হলে ঢাকার গাবতলী থেকে পরিবহনে ঝিনাইদহে পাঠিয়ে দেয়। এ ন্যাক্করজনক ঘটনা ঘটার পরে অর্থের অভাবে তার গরীব পিতা মসলেম ও মাতা আছিয়া বেগম ৫দিন বাড়ীতে রেখে তার অবস্থার উন্নতি না হলে গত মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত কিশোরীর মাতা আছিয়া বেগম জানান যে, বাবা আমরা খুবই গরীব আমার এই মেয়ের চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারবনা বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি । তাছাড়াও যারা আমার মেয়েকে এই এসিড নিক্ষেপ করেছে তাদের ভয়ে থানা পুলিশও করতে পারেন নি বলে জানান ।

সূত্র : Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.