আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঁচাও! বাঁচাও!!বাঁচাও!!! আমাকে ওরা শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না!

আমি বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী সাহিত্যের ৭ম সেমিস্টারের একজন ছাত্র। ক্লাসে আমার পরিচিতি অন্যান্যদের চেয়ে একটু ভাল। কারন আমি ক্লাসকেপ্টিন। সকল স্যারদের সাথে সবসময় উঠাবসা। ফলাফল ও মোটামোটি ভাল।

আমার এই অবস্থানটা দেখে আমার কিছু বন্ধু আমার পিছনে উঠে পড়ে বসেছে আমার এই অবস্থান থেকে আমাকে সরানোর জন্য। গত কয়েক মাস যাবত তারা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত করে, কিন্তু তারা ছাত্র হিসেবে খুব ভাল না থাকায় আমি তাদের দাওয়াত গ্রহন করতে রাজি ছিলাম না। অবশেষে একদিন তাদের অনেক অনুনয় বিনয় শুনে তাদের সাথে গেলাম। তারা আমাকে নিয়ে যায় মহানগর নাট্যমঞ্চে, তাদের কোম্পানির একটা পোগ্রামে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি এটা যে ছিল ডেস্টিনির পোগ্রাম, তাহলে আগেই আমি সেই স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হতাম।

পোগ্রাম শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যায় তাদের সকলের নিমন্ত্রন তাদের কোম্পানীতে কাজ করতেই হবে। কিন্তু আমি মোটেই রাজি না কাজ করার, তাছাড়া মানুষের পিছু পিছু ঘোরাটা আমার কাছে অসহ্যনীয় মনে হয়। কিছু দিন থেকে তারা আমাকে ক্লাসে, ক্যাম্পাসে, এমনকি ফোনে সারাদিন জ্বালাতন করেই চলেছে। দিন নাই রাত নাই সারা দিন শুধু ফোন আর মেসেজ। তাদের জন্য পারতাম না ঠিকমত টিউশুনি করতে।

শুধু ফোন করত আর করত। এক পর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আমার মোবাইল বন্ধ করে রাখলাম। এভাবে ক্রমান্বয়ে তাদের কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেও পারলাম না। একদিন বন্ধুরা তাদের আরো কয়েকজন বস নিয়ে আমার বাসায় হাজির। আমিতো রীতিমত তাদের এই কর্ম দেখে অবাক! প্রায় দুই ঘন্টা তারা আমাকে অনেক প্রলোবন দেখাল।

কিন্তু আমি কিছুতেই তাদের সাথে এক হতে পারলাম না। শেষে তারা চলে যায় কিন্তু তার পরও তারা আমার প্রতি আশা ছাড়ে নাই। সেদিন রাতে আমি আমার বন্ধুদের মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দিলাম যদি এভাবে আমাকে বার বার বিরক্ত করে অথবা আমার বাসায় নতুন কাউকে নিয়ে আসে এবং আমাকে তাদের সাথে কাজ করতে চাপ প্রয়োগ করে তাহলে আমি বাধ্য হব তাদের সাথে আমার বন্ধুত্বের ইতি টানটে। কিন্তু তাতেও কোন কিছু হল না। আজ সকালে তারা নতুন আরো কিছু লোক নিয়ে প্রবেশ করল আমার রুমে, প্রথমে ভাবলাম তাদের কাছ থেকে আত্মগোপন হয়ে থাকি।

কিন্তু তারা সে সুযোগ দেয় নি। শেষে আমি বাধ্য হলাম তাদের কিছু কটু উক্তি করতে কিন্তু তার পর ও কোন লাভ হলো না । পাঠক ভাইয়েরা আপনাদের কাছে কি এমন কোন পথ জানা আছে আমাকে মুক্ত করার। দয়া করে আমাকে বাঁচান তাদের এই বেড়াজাল থেকে, না হয় আমি আমার পড়া লেখার এবং আমার শিক্ষকদের বিশ্বস্ততার পথ থেকে যে কোন মুহুর্তে চিটকে পড়ে যেতে পারি। আর এই আমি শুধু দায়ী করব একমাত্র ডেস্টিনিকে।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.