আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণজাগরন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান

আমি তাই বলি যা আমি বিশ্বাস করি প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণের আন্দোলন এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। প্রথম দিকে জামায়েত / শিবির বাদে সব দলই গণজাগরণের সাথে সংহতি জানিয়েছিলো কিন্তু এখন স্বাধীনতাবিরোধীদের সাথে আতাত করেই হোক অথবা সমঝোতা করেই হোক প্রায় সব দলই গণজাগরণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেখি রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কিঃ- আওয়ামী লিগঃ- আন্দোলনটা শুরু হয়েছিলো প্রধানত সরকার বিরোধী মনোভাব নিয়ে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সুকৌশলে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনকে পুরোপুরি সরকারবিরোধী রূপ নিতে দেয়নি। ঠিক এই সময় গণজাগরণের অন্যতম দুইটি দাবি , জামায়াত/ শিবিরকে নিষিদ্ধ এবং স্থায়ী ট্রাইবুন্যাল করার ব্যাপারে সরকারের মনোভাব অস্পষ্ট।

বিএনপিঃ- বিএনপি প্রাথমিকভাবে আন্দোলনের ব্যাপারে মৌনসম্মতি দেখালেও পরবর্তীতে আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং এই আন্দোলনকে সরকারের নাটক বলে তারা আখ্যা দেয়। যদিও এই অভিযোগের পিছনে তাদের জোরালো কোন প্রমান নেই। সব ভাশা ভাশা কথা শোনা যায়। জাতীয় পার্টিঃ- জাতীয় পার্টির প্রাথমিক ভাবে সুস্পষ্টভাবে কোন অবস্থান না থাকলেও এখন পুরোপুরি এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জামায়েত / শিবিরঃ- তারা প্রথম থেকেই এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে আন্দোলনকে পণ্ড করতে চেয়েছে এবং চাচ্ছে।

বাম দলঃ- বাম দল আন্দোলনের ভিতর তাদের কিছু ইস্যু ঢোকাতে না পারায় কিছুটা ক্ষুব্ধ। হেফাজতে ইসলামঃ- এই দলটা রাজনৈতিক দল না হলেও এরা আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের নামে কোন প্রমান ছাড়াই অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সাধারন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আন্দোলনের বিপক্ষে ক্ষেপানোর চেষ্টায় লিপ্ত আছে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এটা জামায়াত/শিবিরের একটা অপকৌশলের অংশ মাত্র। আসুন দেখি এই আন্দোলনের মূল দাবিগুলো কি কি? ১) সকল যুদ্ধাপরাধীর সর্বচ্চো শাস্তি। ২) বিচারের স্থায়ী ট্রাইবুন্যাল ।

৩) জামায়েত শিবিরকে নিষিদ্ধ। উপরোক্ত প্রতিটি দাবি ন্যায্য তারপরও রাজনৈতিক দলগুলোর কেন এই বিরুদ্ধে অবস্থান এর কারন হতে পারে ৩টি তা হল, আতাত, সমঝোতা এবং আপোষ। আজকে সাধারন মানুষের একটা ন্যায্য বিচারের দাবির জন্যও রাস্তায় নামতে হয় কারন উপরোক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর শোষণ, নিপীড়ন, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ইত্যাদি কারনে জনগন তাদের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। রাজনৈতিক দলগুলো জানে তাদের প্রতি সাধারন মানুষের অনাস্থার কথা। তাই এভাবে জনগনের রাস্তায় নেমে আসা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কিছুটা বিব্রতকর।

রাজনৈতিক দলগুলো ভালোভাবেই জানে মানুষ যত রাজনৈতিক সচেতন এবং নিরেপক্ষ মনোভাবি হবে রাজনৈতিক দলগুলোর ততই দুর্নীতি আর অপরাজনীতি করা অসম্ভব হয়ে যাবে। রাজনীতিবিদদের শায়েস্তা আর দৌড়ের উপর রাখার জন্য সাধারন জনগনের ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। গণজাগরণ যত শক্তিশালী হবে ততই সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলো অন্যায় করতে ভয় পাবে। তাই আমাদের নিজেদের স্বার্থেই গণজাগরণকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। জয় বাংলা জয় জনতা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.