আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঝগড়া বড়দের পর্যায়ে আসতে দিতে হয় না।

আমার ব্যক্তিগত ব্লগ ছোটদের ঝগড়া বড়দের পর্যায়ে আসতে দিতে হয় না। এই সত্য মেনে না নিলে অনেক সামান্য ঘটনা বড় ঘটনার জন্ম দেয়। আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ছোট বেলায় আমার বেশ কিছুটা সময় কেটেছে সৌদি আরবে। আমরা যেখানে ছিলাম সেটা ছিল একই বাউন্ডারির ভিতরে ২টা বাসা।

সামনের (রাস্তার পাশে) বাসায় থাকতেন এক ডক্টর পরিবার। আর ভিতরেরটায় আমরা। ডক্টর পরিবারে ছিল ৫ বছরের মেয়ে আর ১। ৫ বছরের ছেলে। আমার বয়স ছিল ৬।

একদিন ছেলেটি ২ বাসার মাঝখানর উঠানে খেলছিল। আমিও ওর সাথে খেলতে গেলাম। ওনেকটা দারিয়া বান্ধার মতোন। একটা দাগের বাইরে ওকে আসতে দিচ্ছিলাম না। বাচ্চা কি ওতো বোঝে, সে আসতে না পারলে কেদে উঠছিল।

ওর কান্না শুনে ওর আব্বা বাইরে বের হয়ে আমার দিকে গম্ভির হয়ে মাথা নাড়লেন এবং ওকে নিয়ে চলে গেলেন। কি হলো আমি কিছুই বুঝলাম না। রাতে আব্বা দেখি মুখ কালো করে বাসায় এলেন। আব্বা আম্মা ফিসফিস করে কি যেন বলাবলি করলেন, আমাকে কিছুই বললেন না। কিন্তু বিষয়টা এখানেই শেষ হলো না।

এরপর ঐ বাড়ির মেয়েটা আমাকে পরের দিন জানিয়ে দিল সে আমার সাথে আর খেলবে না। কারন আমি তার ভাইকে মেরেছি। আমি হতবাক হয়ে গেলাম। মারলাম কখন? (পরে আন্দাজ করেছি, হয়তো বাচ্চার কান্না শুনে ভেবেছে আমি মেরেছি) অভিমানে গলা দিয়ে কোন প্রতিবাদ বের হলো না। কিন্তু ওরা আমাকে এতো সহজে ছেড়েদিল না।

যখনই দেখা হতো বার বার মনে করিয়ে দিত আমি ওর ভাইকে মেরেছি। যেমন আমরা হয়তো বাইরে কোথাও যাচ্ছি, ওরা ছাদে বসে রয়েছে। ওখান থেকেই চিৎকার করে বলতো জানেন কাকু (আমার আব্বা) শিমুল (আমি) আপু আমার ভাইকে মেরেছে। আম্মা শুধু একবার আমাকে বলেছিল, তুমি কখনও এরকম করে বলে বেড়াতে পারতে? আমি বরাবরের মতোন নিশ্চুপ। কেন যেন, একদিন ওদের বাসার দরজার সামনে দাড়ালাম।

হয়তো অভ্যাসের কারনে। ওর আব্বা দরজা খুলে দিলেন। মেয়েটা যথারীতি বলল, আমি তোমার সাথে খেলবো না...। ওর আব্বা বললেন, কিচ্ছু হবেনা, শিমুল আপুকে তখন ভুতে ধরেছিল, তাই এমন করেছে, তোমাকে ভুতে ধরলে তুমিও এমন করতে। বাস সব রাগ শেষ।

আবার খেলা শুরু। আমি এবারও কোন প্রতিবাদ করলাম না। সামান্য একটা কথায় সব মিটমাট হয়ে গেল। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.