আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার পৈশাচিক আনন্দ

Raindrops falling from heaven.. Will never wash away my misery.. মানুষ মরনশীল এই কথাটা যেমন সত্য ঠিক তেমন সত্য মানুষ তার জীবনে কিছু ভুল করে। কিন্তু ভুল কতটা বড় হলে সেটা সারা জীবনের জন্য জীবনে গেঁথে যায় সেটা উপলব্ধি করার সময় সম্ভবত আমার এসেছে, জীবনে হয়ত আরো অনেক বার আসবে কিংবা সেটা স্থায়ী কোন রূপ লাভ করবে, এত দিনে করেও যেতে পারে, ঠিক জানি না। ইদানিং বেশীর ভাগ সময় যে কোন কিছু নিয়ে নিরুত্তাপ থাকার চেষ্টা করি, তবে সেটা বেশীর ভাগ সময়ই খুবই বিরক্তিকর হয় অন্য মানুষের জন্য। তখন সম্ভবত যেই আমার সাথে কিছুক্ষন কথা বলবে আমি তার মেজাজটা খুব নিপুনভাবে খারাপ করে দিতে পারব। বেশী হলে ৫-১০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

আমি সেই মেজাজ খারাপটা দেখে একটা পৈশচিক আনন্দ পাওয়া শুরু করেছি। জিনিসটা যদিও খুব খারাপ, তারপরেও আমি পৈশাচিক আনন্দটা খুব উপভোগ করি। আমার এখন আর কাউকে শান্তিতে দেখতে ইচ্ছে করে না। কালকে আমি খুব মজার একটা কাজ করেছি। আম্মুর হসপিটাল থেকে বের হয়ে মোবাইল বন্ধ করে বাসে করে ঘুরেছি।

সবাই অনেক চিন্তার মাঝে ছিল, আর আমি বসে বসে আনন্দ ভোগ করেছি। যেখানে আমি কখনও একা যাওয়ার চিন্তাও করি নি, এমনকি কখনও যাই নি সেই রাস্তায় একা একা হেঁটেছি। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় চেনা যায়গা টিএসসি তে আসতে পেরেছিলাম। ইচ্ছা ছিল জীবনে আর কোনদিন বাসায় যাব না, কিন্তু আবার ফিরে আসলাম। বাসায় আসার পর আমার প্রচুর বকা শোনা উচিত ছিল, কেন যেন কেউ কিছু বলে নি।

দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত একটা মেয়ে, যে কিনা কারো মেয়ে, কারো বোন, তার উধাও হয়ে যাওয়া সম্ভবত একটা ইলেকট্রক শক দিয়েছিল। হা..হা.. হা.... (পৈশাচিক আনন্দের হাসি) আমি তর্ক করতে খুব পছন্দ করি। খুব বাজে একটা অভ্যাস, তবুও আমি তর্ক করতে অনেক পছন্দ করি। তবে ইদানিং মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিয়েছি। তর্ক করি নিজের সাথে, নিজের সাথে তর্ক করার মজাটা অন্যরকম।

ব্যাপারটা আগে জানলে সম্ভবত অনেক আগেই মানুষের সাথে তর্ক করা বন্ধ করে দিতাম। নিজের মাঝে ইদানিং আমি অনেক পরিবর্তন টের পাচ্ছি। অনেক কিছু নতুন লাগছে, কিন্তু ব্যাপারগুলো খুব পুরোনো। নতুন লাগছে শুধু ধারনা বদলানোর কারনে। এই জিনিসটা খুব ভাল একটা জিনিস আমাকে দিয়েছে।

আমি এখন খুব সহজে ঠান্ডা মাথায় খুব কঠিন কথা বলে ফেলতে পারি, আগে কন্ঠনালীর কাছে এসে কথাগুলো হজম হয়ে যেত, এখন খুব সহজে মুখ থেকে বেরিয়ে যায়। আমি ছিলাম এক কাঁদুনে মেয়ে। কিছু হলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদে নাকের জল চোখের জল এক করার ন্যাকামি খুব বেশী ছিল। আপাতত কাঁদা জিনিসটা কি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করে ভুলে গেছি অথবা এমনিতেই ভুলে গেছি। এখন কাঁদতে ইচ্ছা করে কিন্তু কীভাবে কাঁদে অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারি না, শুধু মনে পড়ে কাঁদলে চোখ থেকে পানি পড়ে।

পুরো প্রক্রিয়াটা মনে পড়ে না। খুব হাসির কথা তাই না? আমার লিখতে গিয়েই অনেক হাসি পাচ্ছে। হা.. হা.. হা.... আমার পৈচাশিক আনন্দ নিয়ে আমি অনেক সুখে আছি। অনেক সুখে, অনেক অনেক সুখে ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.