আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বালি’কে লেখা প্রথম চিঠি

সোনাই আর বালি'র চিঠি ব্লগে স্বাগতম !!! প্রিয় ম্যাম, আমার নিজস্ব একটা পৃথিবী আছে, একান্ত নিজের। এটা আমার বানানো, আমা্‌র মত করে, আমার পৃথিবী। এখানে শুধু একান্ত “আমি”র বসবাস। এখানে আমি নিজের মত করে হাসি, খেলি, কান্দি, গান গাই, গল্প করি... অথবা চুপচাপ বসে থাকি ... যখন যা খুশি তাই করি... কোন জবাবদিহিতা নেই, কোন সামাজিকতা নেই, কোন ডিপ্লম্যাসি নেই, কোন কৃত্তিমতা নেই...; আর থাকবেই বা কেনো... নিজের সাথে নিজে কখনও অভিনয় করা যায়? আমার ভাল, আমার খারাপ, আমার ইমোশান ...সব একান্ত আমার। তোমাদের সমাজের মত এত এত সামাজিকতার কিছুই নেই আমার পৃথিবীতে... এখানে আমি স্বাধীন; হয়তো তোমাদের পৃথিবীর সংজ্ঞায় কিছুটা অসামাজিকও।

তাতে আমার কিছু আসে যায় না, আমি তো আমার পৃথিবীকে দিয়ে তোমাদের সমাজের কোন বিঘ্ন ঘটাচ্ছি না! আমি তোমাদের পৃথিবীর সামাজিকতাকে তো যথাসম্ভব মেনেই চলছি; কেও আমাকে অসামাজিক অন্তত বলতে পারবেনা, অনেকে আমাকে যথেষ্ট পরিমান ডিপ্লম্যাটিক মানুষ হিসাবেও চেনে। ভালই চলছিল আমার পৃথিবী আমাকে নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ সে এক বিপদজনক কাজ করে বসল... সে খুঁজে পেল আর একটা পৃথিবী, ঠিক তার মত। সে পৃথিবীটাও ব্যক্তিত্বের সুদৃড় প্রাচীরে ঢাকা ছিল। কিন্তু কেমন করে যেন প্রাচীরে ঢাকা সেই কোমল পৃথিবীটা চোখে পড়ে গেল।

শুধু চোখে পড়ে গেল না, আমার সমস্ত বাধা-নিষেধ অগ্রাহ্য করে সেই পৃথিবীকে ভালও বেসে ফেললো। কি বিপদ বলতো! এত দিন আমার পৃথিবী শুধু আমার কথা শুনত, হঠাৎ কি যে হলো, বেঁকে বসল... তাকে তার পেতেই হবে। আমি যত বুঝাই, তা কি কখনো হয়, দুজনেরই বসবাস একটা সামাজিক পৃথিবীতে, সেখানে দুজনই অসংখ্য নিওম কানুনের বেড়াজালে বাধা। ভাল লাগুক আর না লাগুক অনেক নিওম কানুন মেনে চলতে হয় তাদের; নইলে খুব বিপদে পড়তে হয়... সেখানে ভালবাসা পর্যন্ত করতে হয় নিওম কানুন মেনে; ভাল লাগুক আর না লাগুক আর একজনের শরীর নিয়ে ভালবাসার খেলা খেলতে হয় বা খেলতে দিতে হয়ও সামাজিকতার খাতিতে! কিন্তু কে শোনে কার কথা... আমি যত বুঝাই, সে আরো জেদ ধরে... আমি এও বললা্‌ম, তুমি চাইলেইতো হবে না... তারও তোমাকে চাইতে হবে... তোমাকে ভাললাগতে হবে...... অনেক ঝামেলা, অনেক নিওম কানু্ন...‌ এমনকি বিপদও হতে পারে... ভুলে যাও না! কিন্তু সে কোনই কথা শুনলো না... পাগলের মত প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস আর শুধু এক পৃথিবী ভালবাসা নিয়ে সে সেই কঠিন প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে... সেই কোমল পৃথিবীর কাছে ঠিকই পৌছে গেল... এ যেন এক নক্ষত্র জয়ের গল্প। ঠিক একই রকম দুটো পৃথিবী মহাশুন্যের দুই প্রান্তে... এক হয়ে মিশে গেল! জানিনা এই মিলনে মহাশুন্যের ভারসম্যে কোন ব্যাঘাত ঘটবে কিনা বা কোন মহাপ্রলয় হবে কি না!!! প্রিয় বালি, এখন থেকে তোমাকে এই নামে ডাকতে চাই; তোমার আপত্তি নেই তো? শুষ্ক-তৃষ্ণার্ত বালি’কে আমার ভালবাসার শীতল জলে ভিজিয়ে আবার প্রানবন্ত করতে চাই।

আর আমি এই বালিতে মিশে আমার পার্থিব অস্তিত্ব হারিয়ে, আমার আমি’কে তোমার কাছে সমর্পন করব। অতলে তলিয়ে যেয়ে তোমার বুকের থেকে ভালবাসার ঘ্রান নিব... প্রকৃত ভালবাসার। তোমার প্রতিটি কনায় কনায় আমি মিশে যাব... তোমাকে ভালবাসার সাগরে ভাসাব... তোমার হৃদয়ে যতটুকু তৃষ্ণা আছে তার থেকেও অনেক অনেক বেশী ভালবাসা দিয়ে তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাব। তুমি আমার কাছে তোমার সমস্ত কষ্ট গুলি জমা রেখে নিশ্চিন্তে স্নান করবে আমার ভালবাসার সাগরে, বাধাহীন উচ্ছলতায় সাঁতার কাটবে যতক্ষন খুশি। তোমার পাগলামী, তোমার ছেলেমানুষি, তোমার অভিমান... সব কিছু আমার কাছে অমুল্য সম্পদ।

এখানে তুমি স্বাধীন... কোন নিয়মের বালাই নেই, কোন শাসনের বেড়াজাল নেই, নেই কোন সামাজিকতার শৃংখল। শুধু একটা প্রতিযোগিতা আছে... তা হল ভালবাসার প্রতিযোগিতা; আর শুধু একটাই অনু্যোগই করা যাবে... তাহলো কখনও ভালবাসার কমতি মনে হলে... এ ব্যাপারে কারো কোন ছাড় নেই। আমাদের একজনের চোখ বাধা, আর একজনের হাত-পা; মনতো কারো বাধা নেই। এসো না, দুটো পাখি একসাথে ভালবাসার ডানা মেলে উড়ে বেড়াই আমাদের দুজনের নিজস্ব পৃথিবী “সোনাবালির আপন ভুবন”এ.................এসো!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।