আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ: সিএনজির দাম বৃদ্ধি এবং বাহনের ভাড়া

আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার! মানে আমি একজন....

বাংলাদেশে সিএনজির ভাড়া বৃদ্ধির পর কেন সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হল? এটি কি পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য করা হয়েছে? বাংলাদেশে ২০০৩ সালের দিকে সিএনজি অটো রিক্সা চালু হয়। এটি চালুর সময় যে ভাড়া নির্ধারিত হয় সে বিষয়ে সেসময়কার যোগাযোগমন্ত্রী বলেছিলেন দেশে গ্যাস রিফিল স্টেশন কম, ভারত থেকে গাড়ি আনতেও খরচ বেশি তাই আপাতত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাড়া বেশি রাখা হচ্ছে তবে পরে এটি কমিয়ে দেয়া হবে। সে সময়ে চালকদের লাইসেন্স এবং অটোরিকশার রুট পারমিট দুটি দেয়ার সময়ই একটি শর্ত থাকতো বলেই আমরা জানি। শর্ত অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশা চালকেরা ঢাকা শহরের মধ্যে যে কোন দূরত্বে যেতে বাধ্য থাকবেন। কিন্তু এধরনের শর্ত লঙ্ঘনের কারণে কোন চালকের লাইসেন্স বাতিল কিংবা কোন সিএনজি অটো রিক্সার রুট পারমিট বাতিলের কোন ঘটনা কি ঘটেছে আপনারা মনে করতে পারেন কি না? ফিরে আসি আবার আগের কথায়।

সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া শুরুতে বেশি রাখা হয়েছিল, এবং পরে তা কমানো হবে এটি কোন দিনই হয়নি। বরং ওই বেশি ভাড়ার উপরেই চালকেরা আবার ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে নিতেন। এবং কখনো কখনো যাত্রীরাও খুশি হয়ে বাড়িয়ে দিতেন। সেই নেওয়া এক পর্যায়ে এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায় যে রাস্তায় অটো রিক্সা মেলা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে গিয়েছিল সেসময়। এরপর ২০০৭ সালে হঠাৎ করেই আবারো বৃদ্ধি করা হয় সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া।

একই সাথে অটোরিকশা মালিকদের জমাও বৃদ্ধি করা হয়। ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হল এর পর ওই খাতে নৈরাজ্যের অবসান হবে। চালকেরাও যাত্রী হয়রানি করবে না। বাস্তবে তা হয়নি কখনো। এরই মধ্যে ২০০৮ সালে আবারো এই অটোরিকশার ভাড়া আবারো বৃদ্ধি করা হয় হঠাৎ করেই।

এবং সর্বশেষ এই ভাড়া বৃদ্ধি হয় ২০১১ সালের প্রথম থেকে। সমস্যা গুলো: সিএনজি অটোরিকশার চালক কোথাও যাবে না। কখনো কখনো চালক মিটারে যেতে রাজি হলেও বলবে ১০-২০ টাকা বাড়িয়ে দিতে হবে। আবার মিটারে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে দেখবেন মিটার এক কিলোমিটার রাস্তা যেতে না যেতেই তিন কিলোমিটারের বিল উঠবে। সিএনজির দাম বৃদ্ধি এবং ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গ: অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সরকার প্রথমে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করে এবং তার কয়মাস পর বাড়িয়ে দেয় সিএনজির দাম।

তারমানে হল, যে যাত্রী হয়রানী রোধে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করা হল, সিএনজির দাম বৃদ্ধির পর সেই হয়রানি আবার নতুন করে শুরু হল। যেমনটা হয়েছে এবারো। জানুয়ারি ২০১১তে সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া বৃদ্ধি করা হল। এবার পাঁচ মাস পর বাড়িয়ে দেয়া হল সিএনজির দাম। তাহলে লাভটা কি হল? আচ্ছা বিষয়টি কি এমন যে এই পরিহবন সেক্টরে নৈরাজ্য বজায়ে রাখতেই পরিকল্পিত ভাবেই ঘটানো হচ্ছে এই ঘটনা? তা না হলে এমন ঘটনা কেন বার বার ঘটবে? একই ঘটনা বাস ভাড়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

আমি যথেষ্ট গবেষণা করে লেখাটা লিখিনি। কিন্তু ঘটনাক্রম এমনই। কোন ভুল করে থাকলে বলুন আমি শুদ্ধ করে নেব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।