আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিতাঃ প্রশ্নগুলো শশ্মানে

আমি শিক্ষানবীশ এবং কর্মী । সবার কাছ থেকেই শিখছি । সারা জীবনই হয়ত শিখে যাব।

হৃদিবন্দিনী- তোমার অনেক প্রশ্নের উত্তর জমে আছে আমার কাছে, সগৌরবে মুক্তির অপেক্ষায়- তোমার কোন প্রশ্নের শ্রাদ্ধ করব এবেলায়? কোনটা? আচ্ছা, বুঝেছি। ঐটে ছাড়া তোমার কোনো প্রশ্নই তো দীর্ঘদিন বাঁচল না, কেউ জ্বরে পুড়ে মরল, কেউ উন্মাদ হয়ে গলায় দিল দড়ি কেউবা বলল, ‘বাপু, আজ হাসতে হাসতেই মরি!’ কি হলো? এই যাহ- এই রাগ করোনা, দুষ্টুমি করলাম তো ঠিক আছে, বাচালগিরি বন্ধ- তোমার প্রশ্নরাও বুঝি অন্ধ! তোমার ঐ প্রশ্নটি ছিল পঙ্গু ভিখিরীর মত যেতে আসতে জবাব চাইত- ‘এত সিগারেট কেন খাও? বিড়ি খেয়েই কি মরবে শেষমেশ?’ আরও কত কিছু- কিন্তু মূলকথা ঐটেই খরচ করে ফুসফুস পোড়াই যে, এটা অসহ্য তোমার। হৃদপিন্ড কোথায় থাকে তা তো জানোই, হাতে বল্লম উচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুই ফুসফুসের মাঝে- আর হৃদিকোণে তুমি লুকিয়ে লাজে, তোমাকে পাহারা দেবে কে? পাহারাদার কে? এতদিন বুঝোনি বুঝি? ওই ফুসফুস দুটো- ওরা ঘুমিয়ে পড়লে চলবে? আর আমার মধ্যবিত্ত স্বভাবটা নিশ্চয়ই মনে আছে- অতগুলো পাহারাদার কোথায় পাবো? পানখাওয়া মোড়লের মত তাই একটু কঠোর হলাম ধোঁয়া ঢুকিয়ে জাগিয়ে রাখি কুশ্রী কদাকার, চৌকিদার ফুসফুসদ্বয়ের আঁখি, তোমায় পাহারা দেবে বলে- পাজরের শিকে আটক করে বিনিদ্র দিন-রাত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।