আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে লেখার কোনো শেষ নাই--মন কি??????

Nothing to say

মন চাইলে পরতে বসি ,মন ঘুরে বেরাই। মন চাইলে চিৎকার করে গেয়ে উঠি— “আমি অপার হয়ে বশে আছি—ওহে দয়াময় পারে লইয়ে যাও আমায়” কখনও ভাবুক মানুশ,কখনও রোমান্টিক কখনও দুখী কখনও শুখী হাইরে মন ,আসলেই সে বিচিত্র। তাইতো বুঝি আর্থার সি ক্লার্ক তার ‘স্পেস ওডেসি’তে এক নাক্ষত্রিক সভ্যতা সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘জ্ঞান তাদের ক্ষমতাবান করেছিল, ক্ষমতা তাদের উৎসাহ জুগিয়েছিল নক্ষত্র অভিযানে। বেড়িয়ে পড়েছিল তারা ভিন্ন নক্ষত্রের উদ্দেশে। সেই শ্রান্তিহীন অভিযাত্রায় প্রাণের সন্ধানও পেয়েছিল অনেক গ্রহ-নক্ষত্রে।

তারা লক্ষ্য করেছিল কীভাবে সময়, পরিবেশ প্রাণের ওপর ক্রিয়াশীল হয়। কোথাও কোথাও মিলেছিল ভবিষ্যতে বিকশিত হওয়ার বুদ্ধিবৃত্তির অঙ্গীকার। তারা গ্যালাক্সির সর্বত্র ঘুরে বেড়িয়েছিল; কিন্তু মনের চেয়ে অধিক মূল্যবান কিছু খুঁজে পেল না। … মনই শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি – এ বিশ্বাসে উপনীত হয়েছিল। তারা যেখানেই এর বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা দেখেছিল, সেখানেই এর আগমনকে উৎসাহিত করেছিল।

তারা পরিণত হয়েছিল নক্ষত্রভূমির নক্ষত্র কৃষকে। ’ মন নিয়ে চিন্তা মানুশের সেই আদিকাল থেকে ছিল এখনও আছে এবং থাকবে ভবিশ্যতে আশা করা যায়। তাই বুঝি মন নিয়ে আগে যেমন গান তৈরী হয়েছিলো এখনও হয়। পুরনো শ্রিকান্ত্ত এর গান “মনের জানালা খুলে উকি দিয়ে গেছে যার চোখ তাকে আর মনে পরে না” কিংবা “মন আমার দেহ ঘড়ি” সব গান ই আমাদের মনে দাগ কেটে যায়। মন আসলেই বিচিত্র।

তাইলে আত্মা আর দেহ কি?সব ভালো লাগা খারাপ লাগা ভালো কাজ খারাপ কাজ জদি মন করে থাকে তাইলে কেনো খারাপ কাজের জন্য মানুশকে শারিরীক ভাবে কষ্ট দেওয়া হয়? আত্মাই বা কি জিনিশ? হইতো মন ,আত্মা, দেহ ও চেতনা নিয়ে লেখার কোন শেষ নাই। এ নিয়া হইতো বিতর্ক চলবে আরো অনেক যুগ। যাই হোক আমরা সবাই জানি হিংস্রতা এবং ভালবাসা এই দুই নিয়ে নাকি মানুশ। প্রতিটি মানুশ কখনও ভালো কখনও খারাপ। প্রিথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুশটিরও নিশ্চয় কিছু কিছু না ভালোদিক আমরা পাবো।

আবার সবচেয়ে ভালো মানুশটিরও সব কিছু যে সবার কাছে ভালো লাগে তা নয়। মানবিক এবং পাশবিক যাই বলি না দুইটার সমন্নয়ে আমরা মানুশ। এ জন্য কাকে দায়ী করা যায় মানুশের দেহ ,আত্মা ,চেতনা নাকি মন? আত্মা কে যদি আমি বলি মায়াবী চেতনা যা কি না উদয় হয় যখন আমরা কষ্ট পাই। এ জন্যই হইতো আমরা বলি "তার আত্মা শান্তিতে থাক"। তার মানে কি আত্মা আমদের মারা জাওয়ার পরও অক্ষত থাকে।

তাইলে আত্মা হলো এমন কোন কিছু যা আমদের অনুভুতী গুলোকে পরিচালিত করে। ভালো লাগলে বলি খুব ভালো লাগছে খারাপ লাগলে বলি খুব খারাপ তাইলে ভালো লাগলে আমাদের আত্মার ভালো লাগে খারাপ লাগলেও আত্মার খারাপ লাগে। চেতনা হলো আমাদের পরিচালনা শক্তি যা কি না আমাদেরকে আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিচালিত করে। যখন ভালো কিছু করার পরে ভালো লাগে তখন আমরা আমাদের চেতনা আমাদেরকে ভাল কাজের দিকে নিয়ে যায়। খারাপ কিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা খারাপ কাজ এরিয়ে চলি।

মন হলো আমাদের চিন্তা । আমরা মন থেকে কোন কিছু নিয়ে ভাবি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি। তাই হইতো বাবা মা আমদের বলতেন মন দিয়া পরালেখা কর। কোন ভালো কাজ করার আগেও আমরা মন দিয়া ভাবি আবার খারাপ কাজ করার আগেও তাই। তাইলে হইতো আমরা বলতে পারি মানুশ যে খারাপ কাজ করে সেজন্য দায়ী তার মন।

মানুশের মনবিক এবং পাশবিক যাই বলি না কেনো এই সব গুনাবলী কে তার মন নিয়ন্ত্রন করে। আর দেহ তো হল একটা পাত্র যা কিনা এই মন ,চেতনা এবং আত্মা কে ধারন করে। অনেক প্রশ্ন ওঠে মানুশের খারাপ বা ভালো কাজের জন্য দায়ী কে দেহ আত্মা না কি মন? নিঃশন্ধেহে মন। মন হলো সেই মোমবাতী যা কি না আমরা আলোকিত করি চেতনা আর আত্মার মাধ্যমে আর আমরা দেহ দিয়া সেই খারাপ বা ভালো কাজটি করি। আর কষ্ট বা আরাম পায় আত্মা।

যদিও দেহ মন আত্মা চেতোনা একটা আরেকটার সাথে সম্পরকিত আমরা আমাদের আত্মার আর চেতনার কথা ভুলে যাই। নিঃসন্ধেহে আমাদের চেতনা ও আত্মা আমাদের মন থেকে বেশী জানে। তাই হইতোবা আমরা যদি কোন কাজ করার আগে আত্মা ও চেতনার কাছে প্রশ্ন করি আমরা হইত ভালো কাজটি করবো। প্রিথীবিতে হইত তাইলে খারাপ কাজ থাকবে না। আমাদের মন আত্মা চেতনা আর দেহ সব কিছুর সম্মিলিত করনের পর তাই কোন কাজের দিকে ধাবিত হউয়া উচিত।

মন থেকে আত্মা কে প্রাধান্য দিয়ে আমাদের যে কোন কাজ করার অভ্যাস করা উচিত।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.