আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়ায় পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের লক্ষ্য কি? মিত্রদের মধ্যে মতবিরোধ। লিবিয়ায় মার্কিন যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত।

পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/

লিবিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলোর অব্যাহত অভিযানের মাঝে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে বিমানটির দুজন ক্রুকেই জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। টেলিভিশনে দেখা গেছে বিধ্বস্ত বিমানটি দেখতে বেশ কিছু মানুষ চারপাশে জড়ো হয়েছে।

লিবিয়ার অভ্যন্তরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত শহর মিসরাতা এবং জিনতান শহরে কর্নেল গাদ্দাফির অনুগত বাহিনীর বোমা হামলা এবং সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে ২২ জনের মত নিহত এবং একশর মত লোক আহত হয়েছে বলে চিকিৎসকদের সুত্রে জানা গেছে। জাতিসংঘ বলছে, খাবার ও ওষুধ সংকট এবং আরও হামলার ভয়ে হাজার হাজার লিবীয় নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। মিত্রদের মধ্যে মতবিরোধ বিবিসির সংবাদদাতারা বলেছেন, লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের ভবিষ্যত এবং এর অনিশ্চয়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা বাড়ছে। প্রতিবেশি আরব দেশগুলোর অনাগ্রহ সবচে উদ্বেগের বিষয় (অধ্যাপক মাইকেল ওয়ালজার, ইইনস্টিউটি ফর অ্যাডভান্সড্‌ স্টাডিজ, প্রিন্সটন) যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন নেটোর নেতৃত্বে অভিযান চালাতে চাইলেও, ফ্রান্স তা প্রত্যাখ্যান করছে।

এছাড়া, কর্নেল গাদ্দাফিই এ অভিযানের মূল লক্ষ্য কিনা তা নিয়েও মিত্র দেশগুলোর মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনে ইনস্টিউট ফর অ্যাডভান্সড্‌ স্টাডিজের অধ্যাপক মাইকেল ওয়ালজার বিবিসিকে বলেছেন এই যুদ্ধ নিয়ে সবচেয়ে বড় যে বিতর্ক শুরু হয়েছে তা হলো এর লক্ষ্য কি৻ তিনি বলেন, সামরিক দিক থেকে সবচেয়ে শক্তিধর দেশগুলো এতে অংশ নিচ্ছে, কিন্তু তারা জানেনা কোথায় গিয়ে এটা শেষ হবে । অধ্যাপক ওয়ালজারের মতে, যেটা তাকে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন করছে তা হলো আরব দেশগুলোর নিরাসক্তি । `লিবিয়ার পাশে দুটো দেশ -- তিউনিসিয়া এবং মিশর । মিশরের সেনাবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড়, তাদের বিমানবাহিনী খুবই শক্তিশালী অথচ এই অভিযানে তাদের কোনো অংশগ্রহণ নেই“ বিবিসির কূটনৈতিক বিষয়ক সংবাদদাতা জনাথান মার্কাস বলছেন, জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে চীন বা রাশিয়া ভেটো দেয়নি, কিন্তু এখন তারা উদ্বেগ দেখাতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র চায় কর্নেল গাদ্দাফি ক্ষমতা ছাড়ুন (বারাক ওবামা) এমনকী রুশ প্রধানমন্ত্রী পুতিন সোমবার এই অভিযানকে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধের সাথে তুলনা করেছে. দক্ষিণ আফ্রিকা নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও এখন সেদেশের প্রেসিডেন্ট জেকব জুমা বলছেন, লিবিয়ায় সরকার পরিবর্তন চলবে না। পশ্চিমা দেশগুলো কি চায়? পশ্চিমা অভিযানের টার্গেট কি কর্নেল গাদ্দাফি – এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি. সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামস্ত্রী রবার্ট গেটস্‌ বলেছেন, গাদ্দাফিকে হত্যার অধিকার জাতিসংঘের প্রস্তাবে নেই । হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে গাদ্দাফি টার্গেট নয়, কিন্তু তারপরও প্রেসিডেন্ট ওবামা বলছেন যুক্তরাষ্ট্র চায় কর্নেল গাদ্দাফি ক্ষমতা ছাড়ুন। গাদ্দাফি টার্গেট কিনা তা নিয়ে ব্রিটেনেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেনাবাহিনীর স্টাফ প্রধান বলেছেন সেটা জাতিসংঘ প্রস্তাবে সেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ক্যমেরন সে সম্ভাবনা নাকচ করে দেননি৻ কে দেবে নেতৃত্ব ? আরব দেশগুলো নেটো নেতৃত্ব দেখতে চায়না এ্যালান জুপে, ফরাসী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিতর্ক এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে পশ্চিমা এই সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব নিয়ে।

বর্তমানে জার্মানীতে মার্কিন একটি ঘাঁটি থেকে নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চাইছে নেটো জোট এই নেতৃত্ব নিক । আপত্তি করছে জার্মানী, তুরস্ক এবং ফ্রান্স । ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরবরা নেটোকে দেখতে চায়না, তিনি বলেন, এটা জাতিসংঘ প্রস্তাব যেটা বাস্তাবায়ন করছে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং ম্ধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ, বিষয়টি সেভাবে থাকা উচিৎ। তবে ইটালি, যাদের ঘাঁটি ব্যবহার করা এই অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তারা বলেছে নেটো জোট এই অভিযানের নেতৃত্ব না নিলে তারা এই অভিযান থেকে সরে দাঁড়াবে।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.