আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সামরিক অভিযান রোববার!



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে লিবিয়ায় সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং আরব বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী রোববার এ অভিযান শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন এক পদস্থ কর্মকর্তা। শুক্রবার নিউইয়র্কে মার্কিন এ কর্মকর্তা সম্ভাব্য অভিযানের দিনক্ষণ সম্পর্কে ধারণা দেন। এদিকে শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে লিবিয়ার আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন কার্যকরের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।

বৈঠকে উপস্থিত ১০ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন দেয়। ১৫ সদস্যের কমিটির ৫ সদস্য ভোট দানে বিরত থাকে। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত কার্যকরে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে বৃটেন, ফ্রান্স এ নিয়ে আরব লীগ নেতাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলান জুপি লিবিয়ায় নো-ফ্লাই জোন কার্যকরে প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করেন।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপে জামার্নি সমর্থন দেবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুইডো ওয়েস্টারউইলি। তার মতে, এ ধরনের অভিযানে যথেষ্ট ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে জাতিসংঘ লিবিয়া বিরোধী ভোটাভুটিতে সরাসরি সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থাকে চীন। তবে পদক্ষেপ নিয়ে আপত্তি তোলেনি ভেটো ক্ষমতাধারী দেশটি। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র জিয়াং ইউ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপের সিদ্ধান্তে তার দেশ উদ্বিগ্ন।

তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান রাইস বলেছেন, নির্বিচার হত্যা বন্ধ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ প্রস্তাব লিবিয়ার সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এদিকে জাতিসংঘে ভোটাভুটির আগে পর্তুগিজ টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো উন্মত্ত আচরণ করলে তারাও একই আচরণ করতে বাধ্য হবেন। বৃহস্পতিবার লিবিয়ায় দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর বেনগাজি পুনঃদখলে গাদ্দাফি অনুগত বাহিনী আরো অগ্রসর হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা বেনগাজিতে এখনো তাদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে বলে দাবি করে আসছে। সেখানে গত ৩ দিনে প্রচণ্ড গোলাগুলিতে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, তিউনিসিয়া ও মিসরের গণআন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর লিবীয় শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.