আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাপানে জনজীবন স্থবির

ব্যক্তি যদি ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমষ্টি যদি ব্যক্তিত্বরোহী তবে শিথিল সমাজকে ভাঙ না কেন সহস্র বরষার উন্মাদনার মন্ত্র দিয়ে লক্ষ জনেরে সবল সংগ্রামী আর অগ্রগামী করে তোলনা কেন

স্থবির হয়ে পড়েছে জাপানের জনজীবন। অস্থিরতা কাটছে না মানুষের মন থেকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি যেখানে ভালো হওয়ার কথা, তা ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরশু দ্বিতীয় দফা ভূমিকম্পের পর প্রচণ্ড তুষারপাতে তীব্র শীত গৃহবন্দী করে ফেলেছে লোকজনকে। দেশটিতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এখনো বিদ্যুৎহীন গোটা জাপান। এদিকে শত চেষ্টার পরও কমিয়ে আনা যাচ্ছে না ফুকুশিমার পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুলি্লগুলোর তাপমাত্রা। চার দিনের ব্যবধানে চারটি চুলি্ল বিস্ফোরণের পর বাকি দুটিতে বিস্ফোরণ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সামরিক হেলিকপ্টার থেকে পানি ঢেলে চুলি্ল দুটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালানো হলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে পরমাণু তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে জাপানের বাতাসে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুকুশিমা পরিস্থিতি চেরনোবিলের চেয়ে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। খবর এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও রেডিও তেহরানের। বুধবার দিনের শেষ ভাগ থেকে ভারী তুষারপাতে ঢাকা পড়ে যায় দেশটির সুনামি ও ভূমিকম্পবিধ্বস্ত উত্তর-পূর্বাঞ্চল। তীব্র শীতে বন্ধ হয়ে যায় মানুষের ঘর থেকে বেরোনো। প্রথম দিকে পেঁজা তুলার মতো অল্পস্বল্প নামলেও একসময় তুষারপাতের মাত্রা অধিবাসীদের ভীত করে তোলে।

লম্বা একটা সময় বন্ধ থাকে উদ্ধার তৎপরতা। উদ্ধারকারীরা জানান, সুনামি ও ভূমিকম্পের পর কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও তুষারপাত সে সম্ভাবনা অনেকটাই শেষ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে প্রায় পুরো দেশ। লোকজনকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে।

বেশির ভাগ অফিস-আদালত, দোকানপাট এখনো বন্ধ। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তুষারপাতে আক্রান্ত হতে পারে আরও কয়েকটি শহর। এদিকে পারমাণবিক বিপর্যয় এড়াতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা রোধে পরমাণু চুলি্লতে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে পানি ঢালা হচ্ছে। পাশাপাশি জলকামান ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

তবে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণের কারণে বুধবার হেলিকপ্টার থেকে পানি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। ফুকুশিমার পরমাণু কেন্দ্রের চুলি্লগুলো যেসব ভবনে বসানো, সেগুলোর ভেতরকার অবস্থা কী তা কেউই জানতে পারছে না। প্রকৃত চিত্র জানার জন্য আকাশ থেকে ছবি তোলার কাজে মার্কিন ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে অবলোহিত রশ্মি গ্রহণে সক্ষম এমন যন্ত্র দিয়ে ছবি তুলে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউক্লিয়ার রেগুলেটর কমিশনের (এনআরসি) প্রধান গ্রেগোরি জায়েজকো বলেন, চুলি্লর শীতলীকরণ প্রকোষ্ঠগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণের মাত্রা খুব বেশি হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে বিপর্যয় রোধ। ফরাসি পরমাণু বিশেষজ্ঞ থিয়েরি চার্লসের আশঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরমাণু কেন্দ্রটি যদি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হয়, তবে তেজস্ক্রিয়তা নিঃসরণের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পেঁৗছে যেতে পারে। আর এমনটা ঘটলে ফুকুশিমা পরিস্থিতি চেরনোবিলের চেয়ে ভয়াবহ হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিলে পরমাণু চুলি্লতে বিস্ফোরণের ঘটনায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়লে চার হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। এদিকে সুনামি ও ভূমিকম্পের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে জাপান পুলিশ।

এখনো বহু নিখোঁজ রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় জাপানে বসবাসরত নিজ নাগরিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ প্রায় সব দেশ তাদের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব জাপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ছাড়া অনেক দেশ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জাপানকে সহযোগিতার জন্য পাঠানো জাহাজগুলোকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। *************************************************** এই সংবাদটি আজকের একটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে , গতকয়েকদিন ধরে জাপানের কর্মরত বাংলাদেশী অনেকেই আমার ই-মেইলে, ফেসবুকে, ব্লগে, এবং আমাদের সংগঠনের ওয়েব সাইটে বিভিন্ন বার্তা পাঠিয়েছে, আমি এই বার্তাগুলো আমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, পর-রাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দপ্তরে প্রেরন করেছি । একটানা ৪৮ ঘন্টা ইন্টারনেটের সামনে বোসে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেছি জাপানে অবস্থানরত বাংলাদেশী ভাই-বোন ও জাপানীজদের জন্য কিছু করার , বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেছি। রাত ১২টায় বাসায় ফিরেছি , ফজরের নামাজ আদায় করে অল্প কিছু নাস্তা মুখে দিয়েই ছুটে এসেছি অফিসে , আমার সাধ্য মত চেষ্টা করে যাচ্ছি , যাতে আমাদের সরকার জাপানে অবস্থান-রত বাংলাদেশীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন । এবং এখানে অবস্থিত বাংলাদেশীদের পাশাপাশি বিপদগ্রস্থ জাপানীজদের পাশে দাড়ানোর জন্য উদ্যোগী হয় ।

জাপানীজরা যেন এই ধারনা না করে বাংলাদেশের সাথে তাদের সম্পর্ক শুধু সাহায্য নেওয়াতে না; বন্ধুর বিপদের সময় আমরাও বন্ধুকে সাহায্য করতে জানি। আমি জানি আমার মত এমন অনেকেই আছেন যারা এই ব্যাপারে অনেক কিছু করার চেষ্টা করছেন , কিন্তু কষ্ট পাই - যখন দেখি আমার আশে-পাশের অনেক মানুষ বিশ্ব-কাপ নিয়ে মেতে আছে, টিভিতে মুভি দেখছে, ইন্টারনেটে অ-প্রয়োজনীয় চ্যাট করছে । এই কি আমাদের মানবতা ! ? এই কি আমাদের বিবেক ! ? আমরা কি পারি না আমাদের যার যেমন সাধ্য আছে তাই প্রয়োগ করে বিপদগ্রস্থ মানুষদের জন্য কিছু করতে ? আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে জাপানে কর্মরত দেশী-বিদেশী ভাই-বোন ও জাপানীজদের সার্বিক সহযোগীতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারে উপর চাপ সৃষ্টি করি । দ্রুত ধেয়ে আসছে বিপদ জাপান প্রবাসী ও জাপানীজ ভাই-বোনদের দিকে , আর চুপ করে থাকবেন না প্লিজ ! প্লিজ !! আমার এই আকুল আবেদনটি পৌঁছে দিন সকল ব্লগারকে , ফেসবুকে এবং অন্যান্য গন-মাধ্যমে । আমি ফেসবুকে আছি ( ই-মেইল : মোবইল নং: ০১৭১-২৫৯০৯২৩ , আমাদের ওয়েব : http://www.ihrdps1.webs.com ) বিনীত নিবেদক মানবাধিকার কর্মি শহিদুল ইসলাম খান নিকুঞ্জ-২ ঢাকা-১২২৯ বি.দ্র : আপনার মহল্লার মসজিদে বিশেষ দোয়ার অনুরোধ করুন , মনে রাখবেন সকল ক্ষমতার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ্ ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।