আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গঃ আইন মানা-না মানা -৬

অচেনা মানুষ

আইন প্রণেতারাই যদি আইন ভঙ্গ করেন তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? আইন তো বলে না, ঘুষ-তদবিরে কাউকে চাকরি দেয়ার জন্য। অথচ পিয়ন পদে চাকরির জন্যও আমরা শিক্ষিত বেকাররা আবেদন করি এবং মৌখিক পরীক্ষা নামক সমুদ্রসীমায় আটকে যাই। আসলে মৌখিকে আমরা অকৃতকার্য হই না। আমাদেরকে অকৃতকার্য করানো হয়। মন্ত্রী, এমপিরা অবৈধভাবে তাদের নিজস্ব লোকদের নিয়োগ দেন।

দেশের উচ্চ ব্যক্তি হতে অফিসের পিয়ন যে পরিমাণ আইন অমান্য করে তা যদি সাধারণ জনগণ বুঝত তাহলে এ দেশ অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যেত। সর্বোপরি দেশে আইনের যে অপব্যবহার হচ্ছে তাতে আমি সত্যি হতাশ। আমি মনে করি আইনকে মেনে চলা সবার উচিত। দেশে আইন আছে কিন্তু যারা প্রয়োগ করবে তারাই আইনকে মন থেকে মানছে না। উদাহরণ হেলমেট ছাড়া মোটর সাইকেল চালানো বেআইনি।

আজকে সকালে এক সার্জেন্টকে দেখলাম হেলমেট ছাড়া উনি যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে রং সাইডে মন্ত্রী মহোদয়ের গাড়ি যেতে দেখলাম। এখন মন্ত্রী মহোদয় যদি আইন না মানেন তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হতে পারে। তা চিন্তার কারণ বৈকি! রাস্তার পাশে টং দোকান থাকার কথা নয়, কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় কমিশনার সাহেবের লোকেরাই বিভিন্ন রাস্তা দখল করে টং দোকান বানিয়ে ভাড়া দিচ্ছে । বিভিন্ন সময়ে দেখা যায়, রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই চারতলা/পাঁচতলা বাড়ি বানাচ্ছে।

রাজউকের পরিদর্শক আসলে পকেট ভারী করে চলে যায়। ইত্তেফাকের খবরেই আসছিল ১৬.১১.২০১০-এ রাজউকের ঘোষণা ছিল আবাসিক এলাকায় কোন হোটেল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক, কোচিং সেন্টার এসব থাকবে না। এর একটি সময়সীমা দেয়া হয়েছিল ৩১.১২.২০১০ , তারপরে এসব উচ্ছেদ করার জন্য অভিযান চালাবে রাজউক কিন্তু সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে অভিযানের খবর নেই। এখন আইন হয়েছে মিটার ছাড়া কোন সিএনজি চলবে না কিন্তু আমি মহাখালী থেকে শাহবাগ এলাম। ড্রাইভার মিটারে আসেনি।

১৫০ টাকা ভাড়া নিল সিএনজি। আমি সার্জেন্টকে বলায় উনি বললেন, এটাই হবে আপনি ১৫০ টাকা দিয়ে চলে যান। এভাবেই চলবে। সিএনজি ড্রাইভার বললো , এই সিএনজি মালিকই সার্জেন্ট। তার দু'তিনটি সিএনজি আছে।

আইন বানানো সোজা কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা কঠিন। আমি মনে করি আইন সবারই মেনে চলা উচিত। সরকারের উচিত আইন যেন সবার জন্য সমান হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।