আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিলারির মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল সমঝোতা



যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছিল বাংলাদেশ সরকার ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদ সমঝোতার মধ্য দিয়ে মিটে যাবে। গত মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটনের। তবে কি নিয়ে তাদের আলাপ হওয়ার কথা তা জানা যায় নি। হিলারি কিনটনের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

এতে আরও বলা হয়, আগে থেকে নির্ধারিত থাকলেও তাকে সরিয়ে দেয়ার বিরম্নদ্ধে আদালতে আইনি লড়াইয়ের কারণে ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেননি। ফিলিপ ক্রাউলি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে সৃষ্ট ওই ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ও গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যাখ্যার জন্য আমরা অপেড়্গা করছি। ফিলিপ ক্রাউলি আরও বলেন, আমরা আশা করি, পারস্পরিক বোঝাবুঝির মধ্য দিয়ে সমঝোতা অর্জন করা যেতে পারে। এতে গ্রামীণ ব্যাংকের স্বশাসন ও কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।

এএফপি’র ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি ২০০৬ সালে শানিত্মতে নোবেল পুরস্কার জেতেন। তাকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেয়া হলে সরকারের সঙ্গে তার তিক্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে একটি আপিলে তিনি হাইকোর্টে হেরে যান। ৭০ বছর বয়সী ড. ইউনূস ুদ্র কৃষক ও গ্রামের দরিদ্র মানুষের কাছে ুদ্রঋণ দিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করতে গিয়ে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছেন।

সে কারণে তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। এর বিরম্নদ্ধে ও ড. ইউনূসের পড়্গ নিয়ে প্রচারণায় নেমেছে উচ্চ পর্যায়ের আনত্মর্জাতিক মহল। সেই সুবাদে তিনি তাকে প্রত্যাহার আদেশ অগ্রাহ্য করে গ্রামীণ ব্যাংকের সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি যাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা স্বাভাবিকভাবেই সরকার থেকে স্বাধীন, তারা ড. ইউনূসকে অবৈধভাবে পদে থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে সরিয়ে দেয়।

বলা হয়, ১৯৯৯ সালে তাকে যখন ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয় তখন তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নেননি। সূত্র দৈনিক মানবজমিন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.