আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিলারির মাজার এবং ইউনুসের দরগাহ শরীফ

be polite with people when yo go up because you will meet them when you go down.....দিন শেষে জয়টাই মুখ্য- jose mourinho পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী-ধনবাদী, সারকোজি-হিলারি সব কিছুর আশ্রয় নেওয়ার পর এতদিন পর ডক্টর ইউনুস বুঝলেন গ্রামীণ ব্যাংক গরীব মানুষের ব্যাংক, কিন্তু উনি এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অথচ উনার এত দেরি হইল এই জিনিসটা বুঝতে যে ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতারাই এই ব্যাংক এর শক্তি!!!! বাহিরের কোন সাদা চামড়ার মানুষ এই ব্যাংক এর ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে না, যা করার এই ব্যাংক এর সাথে সংশ্লিষ্ট চাষা-ভুষারাই করবেই। আর এই চাষা-ভুষাদের ট্যাক্স এর টাকায় এই দেশের সরকার চলে, আর সরকারের ও অংশীদারিত্ব আছে গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের উপর। তাই সরকার চাইলে একটু খিস্তি-খেউর(অনেকের ভাষায়) দিতেই পারে(যা তা অবশ্যই নয়), কিন্তু সেইখানে অবশ্যই কোন না কোন কারণ থাকবে। অনেকেই ইতি মধ্যে দেখছি “গ্রামীণ ব্যাংক” বিশেষজ্ঞ হইয়া গেছে, এই বিষয়ে অনেকেই শাহানামা-মহাভারত রচনা করেছেন। যাই হোক আমি এত বড় বিশেষজ্ঞ নই।

তাহলে কেন আমি এই বিষয়ে লিখলাম????? আসলে আমি মুরুক্ষ-সুরুক্ষ মানুষ তেমন কিছু বুঝি না, তবে টিভিতে দেখলাম একজন চুশিল-বিশেষজ্ঞ ব্যাপক বয়ান দিচ্ছেন, প্ল্যানের মধ্যে সাদা চামড়ার মানুষরা একজন বাঙ্গালিকে কিভাবে ঘিরে ধরছে, উনার খোঁজ খবর নিচ্ছে!!!!!!!!! এই কথা শুনার পর সত্যিই আমার বুকটা ফুলে ফেঁপে উঠেছে!!!!!!!!!! এত বড় জ্ঞানীকে সারাবিশ্ব শ্রদ্ধা-সন্মান করে, আর আমাদের সরকার করে উনাকে তিরস্কার, এই কারণে আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের অনেক সন্মান হানি হচ্ছে, যা জাতি হিসেবে আমাদের সব অর্জনকে নাকি ম্লান করে দিচ্ছে!!!!!!!! কি ভয়ানক কথা বাবাবাবাবাবাবা!!!!!!!! আসুন একটু খিয়াল করি আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার ডক্টর মুহাম্মাদ ইউনুস এর আন্তর্জাতিক বন্ধুদের তালিকা, যাদের আমরা প্রায় দেখি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে ডানা কাঁটা কইতরের মত ঝাঁপটাঝাঁপটি করতে!!! এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হিলারি ক্লিনটন-বিল ক্লিনটন এর মত মহা বড় কাবিলদয় সাথে বর্তমান ওবামা প্রশাসনের আরও নামজাদা সিনেটররা, সাথে ছিলেন সারকোজির মত তারকা স্ত্রীর খ্যাতিমান প্রেসিডেন্ট জামাই। অনেকের ভাষায় তারা কাফের-ইহুদি, কারো ভাষায় তারা সাম্রাজ্যবাদী ইত্যাদি ইত্যাদি......। । উপরোক্ত উল্লেখিত মানুষগুলো সম্পর্কে জানার জন্য আমি নিশ্চিত কাউকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র হওয়ার বিন্দু মাত্র প্রয়োজন নেই, পাশের বাড়ির হালের বলদ ঠেলা চইয়া মিয়ারে জিগাইলেও চলবে!!!! তারা কি জিনিস???? তারা কি হাবিল-কাবিল, না বিশ্ব শান্তির দূত, না বিশ্ব দারিদ্র মুক্তির বিমূর্ত প্রতীক!!!! প্রশ্ন রাখলাম চইয়া মিয়ার কাছে????? উনার এই বন্ধুগণ গ্রামীণ ব্যাংক এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নাকি গভীর পেট ব্যথায় নিমজ্জিত, খবর নিলে জানা যাবে তারা হয়ত বিশ্বব্যাংক এর icddr,b শাখায় কয়েক বার ভ্রমন করেছেন...... এই রকম একজন মহামানবের একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে এই দায় কার ইউনুস স্যার এর না সরকারের???? উনার মত একজন মানুষের এইটা বোঝা উচিত যে উনি মেয়াদ থাকার পর ও ১০ বছর গ্রামীণ ব্যাংক এর “এমডি” এর আসনে ছিলেন, এই দশ বছর সময়ে উনি কি এমন যোগ্য কাউকে গড়তে পারেন নি, যিনি এই ব্যাংক এর ভালো দেখবাল করতে পারেন???? এই যোগ্য নেতৃত্ব গড়তে না পারার ব্যর্থতা কার????? তাহলে এখন যখন নিয়ম অনুযায়ী(সরকারের খিস্তি-খেওড়ে) নতুন কারো দায়িত্ব নেওয়ার কথা সেইখানে উনার উচিত ছিল সরকারের সাথে এক হয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য যিনি চিরমঙ্গল বয়ে আনবে এমন কাউকে নির্বাচিত করা। কি দরকার ছিল হিলারি-সারকোজির দরবারে দৌড়া-দৌড়ী করার!! উনারা কি গরীব মানুষের বন্ধু?????!!!!! না বাংলাদেশের নাগরিক????!!!!!!...।

। আর কি দরকার ছিল এতো বাঘা বাঘা কাবিলদের নিয়ে মামালায় হেরে আসার!!!!!!!!!!!!!!!! আপনার মত একজন মানুষ যখন মার্কিন মল্লুকে হানা দেয় তখন বলতে ইচ্ছে করে "নদীর এ পার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ও পারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস"...... আসলেই কি সুখ? না অন্য কিছু? তবে স্যার আপনি মনে রাখবেন এই দেশের চাষা-ভুষারা যোগ্য লোককে সন্মান দেয়, যদি দেখতেন আপনাকে সরানোর পর ব্যাংকটি আর ভালো চলছে না, নানা অনিয়ম-অভিযোগ-অব্যবস্থাপনা, তখন দেখতেন এই দেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে গিয়ে আপনার পাশে দাঁড়াত। কিন্তু বার বার সাদা চামড়ার মানুষদের মধ্যস্ততার প্রস্তাব আমাদের মাথাকে বিশ্ব দরবারে উঁচু না করে বরঞ্চ বিপর্যস্ত করেছে, এর কতটুকু দায় আপনি নিতে পারবেন???? তেমনি সরকার এখন যতটি তদন্ত দল গঠন করেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা অভিযোগ ও তুলতে পারবে না যদি আপনি তা না করে থাকেন। আমি জানি সরকারকে মোকাবেলা করার সেই সৎ সাহস আপনার আছে......। ।

অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রটি কারো দানের পাত্র ছিল না, কত মায়ের বুক খালি হয়েছে আপনি নিজেও ভালো জানেন। তারা যখন দেখে আপনি এমন সব মানুষের সাথে বৈঠক করেন যারা এই স্বাধীন রাষ্ট্রটির প্রসব বেদনাকে দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিল, তখন তাদের অবস্থাটা হয় যারা নিঃস্ব হয়ে আপনার ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাদের মত, কিন্তু আমাদের বীররা কারো কাছে ঋণী থাকে না......। । ক্ষমা করবেন, আপনার মননশীলতা আমার বাঁধ ভাংছে না......। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.