আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক (কালেক্টেড।।

২০১৩ রাজনীতির মাঠ গরম করার মাস, কারণ, নির্বাচন অতি সন্নিকটে। গত চার বছরে সরকার যত অপশাসনই করুক না কেনো তারা চাইবে এগুলোকে ধামাচাপা দিয়ে, ডান-বাম করে ক্ষমতায় আসতে। আর আওয়ামি লীগ যে পরিমাণ কুকীর্তি গত চার বছরে করেছে তার কয়টাই বা মিডিয়ায় আসছে, তারপরেও এসব কুকীর্তির সংখ্যা অসংখ্য। কুকীর্তি যাই করুক না কেনো ক্ষমতার লোভতো ছাড়া বড় দায়। ২০০৮ সালে যেমন খালেদা জিয়া পাতানো তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়ে পুনর্বার ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, হাসিনা সরকার তার থেকেও স্মার্ট, তত্ত্বাবধায়ক প্রথাই বাতিল করে দিছে।

নিজের বাপের হত্যাকারিদের শাস্তি তড়িৎ হয়ে গেলেও যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির ইস্যুটা জিইয়ে রেখেছে একদম নির্বাচনের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। আর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর সাজিয়ে দেয়া প্লট অনুযায়ী একেবারে সঠিক সময়ে বেছে বেছে গুটি কয়েক জামাতে ইসলামি এবং বিএনপির নেতাকে গ্রেপ্তার করে (নিজের দলের রাজাকাররা মন্ত্রী পর্যায়ে বহাল তবিয়তেই আছে বেশ কয়েকজন, তাদের কোন খবর নাই) যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির দাবি ছড়িয়ে দিয়েছে জনগণের মধ্যে কিছু নাস্তিক ব্লগার আর ছাত্রলীগের গুন্ডাগুলোর মাধ্যমে। সাধারণ জনগণ ওদের চাল বোঝলে বুঝুক, না বোঝলে নাই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে মরিয়া হয়ে ঢাকার শাহবাগ, চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবসহ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায়ও মিলিত হয়েছে। এদিকে খালেদা সরকার ভাবছে আওয়ামি লীগ আর জামাত দুই দল কিলাকিলি কইরা মরুক। লোকজনরে কিলাকিলিতে রাজি করাইতেওতো টাকা পয়সার ব্যপার আছে, কোর্ট-কাছারি, মামলা-হামলার ঝামেলা আছে।

শুধু শুধু পয়সা খরচা করার কিংবা ঝামেলায় পড়ারতো কোন মানে দেখি না। দেশের জনগণতো আর এইবার আওয়ামি লীগরে ভোট দিব না। তাইলে আর বড় কোন প্রতিপক্ষওতো নাই। পুরা মাঠ খালি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন রকম আনতে পারলেই সোজা ক্ষমতায় যামু। তাই এখন ওয়াশিংটন এ গিয়া আমেরিকার পা চাটা শুরু করছে যাতে এই স্বৈরশাসকের উপর চাপ সৃষ্টি করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারো আনা যায়।

এই জন্য খালেদা যেই আমেরিকা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান শত্রু ছিল, তাদের বানাইছে বাংলাদেশরে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ। কি আর কমু? এই জন্য তারা রাজনীতির খালি মাঠ আরো খালি কইরা নেংটি ইঁদুরের মতো গর্তে বইসা বইসা পরিস্থিতি অনুধাবন করতেছে। সুযোগ মত হাজির হমু এই হইল তাদের অবস্থা। আর ধর্ম ব্যবসায়ী জামাতে ইসলামি মানুষের ধর্মীয় দুর্বলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এত বছর রাজনীতি করে আসছিল। তৎকালীন স্বৈরশাসক শেখ মুজিবের (আপনি মানেন আর না মানেন উনি এইটাই ছিল) ন্যায় এখন বর্তমান আওয়ামি সরকারেরও যে মনোভাব, দেশে কোন বিরোধীদল থাকা চলবে না - এক দেশ, এক দল আর এক নেত্রী - বিরোধী দল আবার কি জিনিস টাইপের মনোভাব - এতে জামাত পুরাই কোণঠাসা ছিল গত চার বছর।

ঘর থেকেই বাহির হতে দেয় নাই ওদের, রাজনীতি করাতো দূরে থাক। আর এখনতো এদের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দিয়েছে। কাদের মোল্লারে দিছে যাবজ্জীবন অথচ সাঈদিরে দিছে ফাঁসি। খালি এদের নটরাজদের একে একে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানোর অপেক্ষা মাত্র। এখন ওরা মরণ ছোবল মারবে এটাতে কোন সন্দেহ নাই।

ধর্মীয় বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করবে অশান্ত দেশটাকে আরো অশান্ত করে গৃহযুদ্ধ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নাহলে ওরা টিকে থাকতে পারবে না। গত কয়েক দিন আগে শাহবাগের সন্নিকটেই রূপসী বাংলা হোটেলে গ্রেনেড পাওয়া গেছে। এইটা জামাতের কাজ হোক, আওয়ামি লীগ কিংবা 'র' এর কাজ হোক। আজ হোক, কাল হোক এখানে একটা বড় সড় কিছু হবেই। এতগুলো মানুষ এমনে এমনে এখান থেকে সড়বে না এটা সবাই জানে।

কিন্তু, ক্ষতিতো হবে সাধারণ জনগণের, আর রাজনৈতিক ফায়দা লুটবে এইসব নোংরা রাজনীতিবীদরা, কিংবা পার্শ্ববর্তী বন্ধু নামের শত্রু দেশটা। আর আমরা সাধারণ জনগণ অতীতের ন্যায় আবারো এইসব রাজনীতিবীদদের গুটিচাল হিসেবে ব্যবহৃত হব, তাদের কামড়া-কামড়িতে পিষ্ট হব। আবার কেউ কেউ না বোঝে ভন্ড, নিজের বাপের চেয়েও বড় স্বৈরাচার হাসিনার ডাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বীরত্ব দেখাতে গিয়ে কিংবা স্বৈরশাসক, দেশকে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন করতে অপচেষ্টাকারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে আন্দোলন করতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণটা খোয়াব। আমাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক! রাজনৈতিক স্বস্তি ফিরুক এ দেশে! সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক এই কামনা করছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.