আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারান্দা বচন (পর্ব-১)

ছেলে হবার যন্ত্রনায় কেও পরেছেন???? আমি পরেছি । তাই আজকে আমার ঘটনটা বলছি আপনাদের। আমরা থাকি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে । যেহেতু গরিব মানুষ তাই নিজেদের বাড়ি নেই ঢাকায়। ভাড়াই থাকতে হয়।

যাই হোক, আমাদের ফ্ল্যাট ৪ তলায়। দুই রুমের বাসা আমি থাকি এক রুমে আর আমার আব্বু আম্মু থাকে আরেক রুমে। আমার বাবা মা যে রুমে থাকে তার সাথেই বারান্দা । ঢাকার শহরের বাড়ী গুলোতো দেখেছেন কি রকম গিজিগিজি । আর যাত্রাবাড়ীতো আরও গিজিগিজি।

যাই হোক বারান্দায় দাঁড়ালে দুই টা বিল্ডিং এর ফ্ল্যাটের বারান্দা দেখা যায় । একটা হলো সামনা সামনি আরেকটা ডান দিকে । আমার সামনা সামনি যে বারান্দার সাথে রুমটা সেই রুমে থাকে একটা মেয়ে যে পড়ে ক্লাস এইটে ভিকারুন্নিসা স্কুলে। তো কাহিনি হইলো মাইয়াডা ওই বিল্ডিংয়ের বাড়িওয়ালার নাতনী। হারাদিন রুমে থাকে আর বারান্দায় একটা দোলনা আছে ওইডায় প্রতিবন্ধীর মত দোল খায়।

মাইয়াডা বহুত সুন্দর ফিগারটাও মাশাল্লাহ পুরা সানি লিওন। আমি বারান্দায় গেলেই মাইয়াডা জানি কিরাম কইরা আমার দিকে তাকায়। দেইখাই তো আমার কলিজাডা বাইরাম বাইরাম করে। কিছু কইতেও পারি না সইতেও পারি না। আমরা ভাড়াটিয়া মানুষ উলটা পালটা কিছু হইলেও বিচার আসবো বাসায়।

এইটা গেলো এক বারান্দার কাহিনী । এইবার বলি আরেকটা। আরেক বারান্দায় যেই কাহিনী ওইটা আরও ভয়াবহ। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই বারান্দার ফ্ল্যাটটাও এই বিল্ডিংয়ের বাড়ীওয়ালার। এই বাড়ীওয়ালার দুই মেয়ে ।

দুইটাই এই রুমে থাকে। আর দুইটাই বেশি আধুনিক। ঘরে থাকে স্কারট পইরা। বারান্দার চেয়ারে স্কারট পরা অবস্থায় পায়ের উপর পা দিয়া বইসা মোবাইল গুতায়। ছিঃ কি অশ্লীল কাজ কারবার।

তো আমি বারান্দায় গেলে একেক সময় একেক বহিন কে দেখিতে পাই। মনে হয় উহারা একেকজন একেকসময় আমার সাথে প্রক্সি দেবার জন্য দাঁড়াইয়া থাকে। তো ওইদিন গেলাম বারান্দায় যথারীতি দেখি একজন দারায়া আছে। তো ওই মাইয়া আমারে কইলো___________ মেয়েঃ ভাইয়া দেখুন তো আমাকে কি রকম লাগছে? আমিঃ জী খুব সুন্দর। মেয়েঃ আচ্ছা আমাকে কি অপ্সরীর মতন লাগছে? আমিঃ জী খাটি অপ্সরী ।

কোনো তফাত নাই। মেয়েঃ আচ্ছা ভাইয়া অপ্সরী মানে কি? আমি তো বাংলায় একটু দুর্বল তাই এই কঠিন শব্দ গুলার মানে বুঝি না। আমিঃ জী আমিও বাংলায় দুর্বল। তবে অপ্সরী শব্দের মানে জানি। মেয়েঃ ভাইয়া প্লিজ একটু বলুন না।

আমিঃ রাগ করবেন নাতো শুনলে? মেয়েঃ না ভাইয়া রাগ করবো কেনো? আপনি বলুন। আমিঃ অপ্সরী হইলো গিয়া স্বর্গের বেশ্যা, আইমিন মা*। উনি স্বর্গের দেবতাগো কামনা বাসনা পূর্ণ কইরা থাকেন। (মাইয়া কইলো ভাইয়া আপনি একটা লুইচ্চা বদমাইশ, আমি আজকেই আমার আব্বুকে বলে আপনার বাসায় বিচার পাঠাচ্ছি) সর্বশেষ আপডেটঃ বাসায় ওই মাইয়ার বাপে আইছিলো। তয় কি কি জানি কইলো আমি জানিনা।

তবে এখন শেষ পর্যন্ত আমার বাসার বারান্দায় যাওয়া বন্ধ। হায়রে মাইয়া মানুষ। পোলাগো মন বুঝলি না। বিঃ দ্রঃ সমস্যা নাই আমার রুম থেইকাও অনেক বারান্দা দেখা যায়। সেই কাহিনী আরেকদিন আরেক পোস্টে বলবো।

ধন্যবাদ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।