আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আড়িয়ল বিল সমস্যা সমাধানে ছয় দফা প্রস্তাব

মত প্রকাশের মুক্ত মাধ্যম তৈরী হোক

আড়িয়ল বিল সমস্যা সমাধানে ছয় দফা প্রস্তাব নাজমুল ইসলাম মকবুল ১. বঙ্গোপসাগরের নাম পাল্টে বঙ্গবন্ধু উপসাগর রাখা হোক। উপকারিতা : দুনু সাই ঠিক থাকল শুধু মাঝখানে বন্ধু শব্দটা যোগ দেয়া হলো। এতে মনে হয় বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের ব্যয় নির্বাহের মতো ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে না বরং আমাদের সবচেয়ে আপন বন্ধু কিংবা দাদা ভারতকে রাজি করাতে পারলেই হলো। আর দাদা যেহেতু আমাদের এতই আপন তাহলে তাতে সানন্দে রাজি হওয়ারই কথা। নাম বাস্তবায়নের জন্য সেখানে অর্থাত্ বঙ্গবন্ধু উপসাগরের কিনারে বাংলাদেশ অংশে একটি ও দাদাগো দেশে একটি সন তারিখ না দিয়ে স্বর্ণখচিত বিশালাকারের মোট একজোড়া নামফলক লাগানো হোক।

সন তারিখ না দেয়ার উপকারিতা হচ্ছে, কয়েক বছর পর ইতিহাসের পাতায় ও স্কুল কলেজের পাঠ্য-পুস্তকে লেখা যাবে সেই প্রাচীনকালে উপসাগরটির খননকার্যের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং পরে উদ্বোধন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। তাই এর নাম বঙ্গবন্ধু উপসাগর। দেশের ১৫ কোটি মানুষের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে এর উপর একটি ভাসমান আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বিমানবন্দর করা হোক এবং এর নাম দেয়া হোক দেশরত্ন আন্তর্জাতিক ডিজিটাল বিমানবন্দর। এর উপকারিতা হচ্ছে, জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে তাদেরই রক্তের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে পরিবেশ বিপন্ন করে কৃষিজমি ও মত্স্য সম্পদের ক্ষতি করে গরিবের পেটে লাথি মেরে আড়িয়ল বিলে বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলে এবং এর পাশে বঙ্গবন্ধুর নামে ডিজিটাল উপশহর নির্মাণ করা হলে হয়তো একদিন বিএনপি ক্ষমতায় এসে আবারও জনগণের ট্যাক্সের ১২ হাজার কোটি কিংবা তারও বেশি টাকা খরচ করে নবনির্মিত বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে হজরত শাহজালালের (রহ.) অন্যতম সহচর হজরত শাহপরানের (রহ.) নামে নামকরণ ও উপশহরের নাম সিপাহসালার হজরত খাজা বুরহান উদ্দিন (রহ.) উপশহর নামকরণ করে নেয়াটা অসম্ভবের কিছু নয়। কিন্তু উপসাগরের বাংলাদেশ অংশের নাম যদি বিএনপি সরকার এসে পরিবর্তন করেও ফেলে, তবে দাদাগো কারণে ভারতীয় অংশের নাম পরিবর্তন করতে পারবে না।

আর বঙ্গবন্ধু উপসাগরের উপর ভাসমান দেশরত্ন ডিজিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করার আগেই ভারতের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের শেয়ার করে নিলে সেই বিমানবন্দরের নামও বিএনপি পরিবর্তন করতে পারবে না। কারণ ভাসমান হওয়ার কারণে তখন ভারত বিমানবন্দরটি ভাসিয়ে নিয়ে যাবে তাদের ভূখণ্ডে। তখন কেল্লা ফতে। ২. দেশের প্রধান তিনটি নদীর নাম পাল্টে যথাক্রমে পদ্মাকে বঙ্গবন্ধু নদী, মেঘনাকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা নদী এবং যমুনাকে শেখ রেহানা নদী নামে নামকরণ করা হোক এবং সিলেটের সুরমাকে জয় নদী ও কুশিয়ারাকে টিউলিপ নদী নামে নামকরণ করা হোক। উপকারিতা : এসব নদীর বিরাট অংশ ভারতে রয়েছে।

তারা আমাদের আপনজন। তারা রাজি হয়ে গেলেই নামকরণ বাস্তবায়ন পানির মতো সহজ কাজ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ারও সম্ভাবনা নেই, উপরন্তু ভারতকে আমরা বলতে পারব যে, এখন আমরা নদীর নাম পরিবর্তন করে আপনাদেরই প্রিয়জনদের নামে নামকরণ করেছি তাই এই মুহূর্তে উজানে দেয়া ফারাক্কা-টিপাইসহ সব বাঁধ ভেঙে একাকার করে আমাদের ন্যায্য হিস্যা পানি দিয়ে আমাদের মালামাল করে দেন। তাতে সাপও মরবে, লাঠিও বাঁচবে। আমাদের নগদানগদ লাভ।

পরে বিএনপি ক্ষমতায় এসে নদীগুলোর আবার পুরনো নাম ব্যবহার করতে চাইলে তখন ভারতকে আমরা বলে দেব, দাদা আপনারা হুমকি দেন নাম পরিবর্তন করা হলে আবার ফারাক্কা ও টিপাই দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে তোমাদের দেশকে মরুভূমিতে পরিণত করে দেব। ৩. দেশের জন্য সীমাহীন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতির পিতা ও তাদের পরিবারবর্গের নামে নামকরণ করা হোক এবং প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার সিলেবাসেও জাতির পিতা ও তাদের পরিবারবর্গের পূর্ণাঙ্গ জীবনী সসম্মানে সন্নিবেশ করা হোক। এতে দেশবাসীর ঋণ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। ৪. গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে মুজিবগঞ্জ এবং টুঙ্গিপাড়ার নাম পরিবর্তন করে জয়পাড়া করা হোক। উপকারিতা : এতে স্থান দুটির নামের মাধুর্যতা বৃদ্ধি পাবে এবং ঐতিহাসিক ভিত্তি মজবুত হবে।

সর্বোপরি বিএনপি ক্ষমতায় এলে এগুলোর নাম পরিবর্তন করে জিয়াগঞ্জ ও তারেকপাড়া করার দুঃসাহস দেখালে শ্রীনগরের (আড়িয়ল বিলের পাশে) চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়ে বিএনপি সরকারের পতন ঘটানোর সুযোগ হবে। ৫. হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করে এর পার্শ্ববর্তী জমি ভারতের কাছে লিজ দিয়ে দেয়া হোক। এতে দাদারা খুশি হবেন, রাজস্বও পাওয়া যাবে এবং বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভারতের ভয়ে এবং আরও ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে মুহূর্তের মধ্যেই নাম পরিবর্তন করে যাতে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরণ করতে উত্সাহিত না হয়। ৬. দেশের প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আরও অকেজো করে রাখা হোক যাতে সেখানে জীবনেও আর সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উড়াল দিতে না পারে। কারণ ওই নামটা তো ওসমানী সাহেবের।

তবে সম্ভব হলে সিলেটের গর্বিত সন্তান আবুল মাল সাহেবের নামে নাম পরিবর্তন করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখা যেতে পারে। আপাতত এই ছয় দফা প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করলাম। দয়া করে এই দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করলে কৃতজ্ঞ থাকব। লেখক : সভাপতি, সিলেট লেখক ফোরাম

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.