আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আড়িয়ল বিলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নিয়ে "বাংলাদেশ প্রতিদিনে" প্রকাশিত ৩টি রিপোর্ট এবং কয়েকটি প্রশ্ন

দ্রিমু য্রখন ত্রখন স্রবট্রাতেই দ্রিমু

আজ ৩ ফেব্রুয়ারি "বাংলাদেশ প্রতিদিন" (মতান্তরে বসুন্ধরা টিস্যু পেপার) পত্রিকার প্রথম পাতায় আড়িয়ল বিলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টের কিছু অংশঃ বিমানবন্দর হচ্ছে না আড়িয়ল বিলে// জনগণের মতামতের বিরুদ্ধে সরকার কোনো কাজ করবে না : প্রধানমন্ত্রী ( বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আড়িয়ল বিলে প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আলোচনার সূত্রপাত করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমাদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা রয়েছে। তাই বিশৃংখলা ও সহিংসতা পছন্দ করি না। আড়িয়ল বিল এলাকার জনগণ যদি বিমানবন্দর না চান তাহলে প্রস্তাবিত বিমানবন্দর অন্যত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে) শ্রীনগরে মিষ্টি বিতরণ উল্লাস ( 'জনগণ না চাইলে আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর হবে না' গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন মন্তব্যে শ্রীনগরের আড়িয়ল বিলবাসীর মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে।

আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে গ্রামবাসী নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন। আলমপুর জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ শামসুল আলম বলেন, আড়িয়ল বিলের শামুক বিক্রি করেও সংসার চলে এখানকার অন্তত ৫-৬ হাজার পরিবারের। এমন স্বর্ণতুল্য মাটির জন্য এখানকার বাসিন্দারা জান দিতে প্রস্তুত। ওই রাতভর পুলিশি আতঙ্কের মাঝে ঘরের বাইরে খোলা আকাশের নিচে হাজারো নারী-পুরুষের বিনিদ্র রজনী কাটে। সমষবাদ গ্রামের শরিফা বেগমের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।

তিনি বলেন, 'কি করমু ভাই। জমি যাইবো গা-তা তো মানতে পারি না। আবার আমগো পিটাইবো পুলিশ। আসুক না পুলিশ গ্রামে। উল্টা পিটাইয়া দিমু।

হুনছি প্রধানমন্ত্রী নাকি কইছে এয়ারপোর্ট হইবো না। তবে এইটা সে টিভিতে কউক। ') মাইনাস টু ফর্মুলা ব্যর্থ হলেও ষড়যন্ত্র থেমে নেই প্রথম আলোর// সর্বশেষ নমুনা বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে শ্রীনগরের মানুষকে উস্কে দেওয়া ( আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের সিদ্ধান্তের বিষয়টি গ্রামবাসী মেনে নিয়েছিল তারা বুঝতে পেরেছিল যে বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট সিটি নির্মিত হলে অর্থনৈতিকভাবে এলাকাবাসী লাভবান হবে। কিন্তু মাইনাস টু ফর্মুলার কারিগর প্রথম আলো ও তাদের সুহৃদ ষড়যন্ত্রকারীরা দিনের পর দিন গ্রামবাসীকে বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে বোঝাতে থাকে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ঘটনার কয়েক দিন আগে থেকে পত্রিকাটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করে গ্রামবাসীকে খেপিয়ে তোলে।

এভাবে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে জনমানুষের বিশ্বাসে চির ধরাতে থাকে। গণবিস্ফোরণের জন্য পত্রিকাটি দিনক্ষণও ঠিক করে। তাদের ওষুধে কাজ হয়। যে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব ছিল, একসময় সহজ-সরল হতাশ গ্রামবাসী তা বুঝে না বুঝে গণবিস্ফোরণে অংশ নেয়। এ ঘটনা ঘটানো হয় ১ ফেব্রুয়ারি।

গোয়েন্দা তথ্যে আরো বেরিয়ে এসেছে, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনটি বেছে নেওয়া হয় বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিষয়টি মাথায় রেখে। উদ্দেশ্য ছিল, এ সময় বড় কোনো অঘটন ঘটাতে পারলে বাংলাদেশে অন্য দেশগুলো খেলতে আসবে না। ব্যর্থ হবে সরকার। বিপর্যয়ে পড়বে ক্ষমতাসীনরা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এর ঠিক কয়েক দিন আগে পুঁজিবাজার বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করে বিনিয়োগকারীদের খেপিয়ে তোলে পত্রিকাটি।

ওই ঘটনায় আন্দোলনের একপর্যায়ে সরকার বিপাকে পড়ে যায়। এর পেছনেও উদ্দেশ্য ছিল এক, সরকারকে ডোবানো। ২৭ জানুয়ারি থেকে বাংলা দৈনিকটি আড়িয়ল বিলে বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের বিপক্ষে সংবাদ পরিবেশন করে। মাঝে ৩০ জানুয়ারি বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয়তা নেই মর্মে শীর্ষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে পরদিন ৩১ জানুয়ারি।

প্রতিবেদনগুলোতে তুলে ধরা হয়, সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মানুষ বাপ-দাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হবে এবং কৃষিজমি হারিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে জীবন কাটাবে। এ বিষয়টি ভীষণ নাড়া দেয় এলাকাবাসীর ভেতর। এর পরই তারা প্রস্তুতি নেয় যে কোনো মূল্যে তারা বিমানবন্দর ও স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণ প্রতিহত করবে। এরই পরিণতি সেদিনের দুঃখজনক ঘটনা। আর ঘটনার বলি এসআই মতিউর।

আহত হলেন ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক, পুলিশসহ দুই শতাধিক লোক) ৩ টি রিপোর্টই প্রথম পাতায় পাশাপাশি ছাপা হয়েছে। আমরা কোন রিপোর্টটি বিশ্বাস করব? আড়িয়ল বিল এলাকার জনগণ কি আসলেই ওই এলাকায় প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের পক্ষে ছিল? শুধুমাত্র প্রথম আলোই কি আড়িয়ল বিল এলাকায় বিমানবন্দরের বিপক্ষে রিপোর্ট করেছে? প্রথম আলোর উস্কানিতেই যদি ১ ফেব্রুয়ারির ঘটনা ঘটে থাকে তবে ঐ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়া প্রধান আসামী হলেন কিভাবে? মামলায় প্রথম আলোর নাম নেই কেন?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.