আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কানাডায় পোষ্টিং নিয়ে এসে ৪৫ কূটনীতিকের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা



নতুনদেশ ডটকম কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কানাডায় পোষ্টিং নিয়ে অন্তত ৪৫জন কূটনীতিক কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে,সেপ্টেম্বর ২০০৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১০ পর্যন্ত এক বছরেই ৪৫ জন কূটনীতিকের পক্ষে ২৫টি আবেদন জমা হয়েছে । তথ্যপ্রাপ্তির আইনের আওতায় মন্ত্রণালয়ের এই নথিটি সংগ্রহ করে তারই ভিত্তিতে বার্তা সংস্থা কিউএমআই এজেন্সীর এই খবর দিয়েছে। রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া কূটনীতিকরা কোন দেশের বা তাদের পরিচয় সম্পর্কে অবশ্য কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, কোনো দেশের কূটনীতিক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে কানাডায় আসার পরবর্তী সময়কালের তার অবস্থান এবং তৎপরতা গোপনীয়তা আইনের আওতায় সংরক্ষিত ।

তবে এক বছরে এতো বিপুল সংখ্যক কূটনীতিকের রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার ঘটনায় কানাডা সরকারও বিচলিত। তবে কেউ যাতে ভুল তথ্য দিয়ে আশ্রয় নিতে না পারে সে ব্যাপারে তারা সজাগ রয়েছেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জেসন কেনি বার্তা সংস্থাটিকে বলেছেন,কূটনীতিকরা যদি কানাডার উদারতার সুযোগ নিয়ে নিয়মের অপব্যবহার করে সেটি হবে দু:খজনক এবং উদ্বেগের। পরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্লদে রওশন বলেছেন, কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পর তার আর কূটনৈতিক পদমর্যাদা থাকে না। যখন কোনো বৈদেশিক কূটনৈতিক প্রতিনিধি রাজনৈতিক আশ্রয় চান তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নিয়মমাফিকই অবহিত হয়।

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী কূটনীতিকদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে বলেও তিনি স্বীকার করেন। তবে গোপনীয়তা আইনের কারনে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই তিনি প্রকাশ করতে সম্মত হন নি। ইমিগ্রেশন মন্ত্রী জেসন কেনি বলেছেন, যারা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন, তাদের যথেষ্ট যুক্তি এবং আশ্রয় চাওয়ার মতো কারন থাকতে পারে। কোনো দেশে যদি সামরিক অভ্যুত্থান বা সরকারের পরিবর্তন হয়, এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিজদেশে ফিরে যাওয়ার পর রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতেই পারেন। মন্ত্রী বলেছেন, সরকার ভালোভাবে যাচাই বাছাই করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে যাতে কেউ ভূয়া আবেদন করে কানাডার উদারতার সুযোগ নিতে না পারে।

ইমিগ্রেশন এণ্ড রিফিউজি বোর্ডের মুখপাত্র চার্লস হকিন্স বলেছেন, রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী প্রতিটি ব্যক্তিই সমান অধিকার এবং সুযোগ পান বলে কূটনীতিকদের নামধাম আলাদাভাবে নথিভূক্ত করা হয় না। প্রতিটি আবেদনই আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত নথিপত্র,যুক্তি ইত্যাদি বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত নেওযা হয়। http://www.notundesh.com/shirshokhobor.html

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.