আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাঙ্গো পাবলিক এখন জুতা দেখায়ঃ সাড়ে সাত কোটি কম্বল চোট্টা বাল-বাকশালীদের ইতিহাস এভাবেই ঘুরে ফিরে আসে!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
আবারও অস্থিতিশীল ঢাকার শেয়ারবাজার আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ঢাকার শেয়ারবাজার। তিন দিন ধরে অব্যাহতভাবে দরপতনের ঘটনায় আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা আজ বুধবার ডিএসইর সামনের সড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের একাধিকবার পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নিয়ে সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।

একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যান চলাচল স্বাভাবিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত দুই দিনে ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৩২৪ পয়েন্ট নেমে যায়। আজও লেনদেনের আধা ঘণ্টার মধ্যে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ১২০ পয়েন্ট কমে। এতে আতঙ্কিত হয়ে বড় ধরনের দরপতনের আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসেন। কয়েক হাজার বিনিয়োগকারী ডিএসইর সামনের সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এতে মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বেলা দেড়টার দিকে একদল বিনিয়োগকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর সামনের সড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদেরও ধাওয়া করে। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নিলে পুলিশ কয়েকটি ভবনে গিয়ে লাঠিচার্জ করে। বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন ভবন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে।

এ সময় পুলিশ মধুমিতা ভবনে আশ্রয় নেওয়া বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে একটি গুলি ও ডিএসইর সামনের সড়কে একটি টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ ডিএসইর সড়কের নিয়ন্ত্রণ নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর আগে গত বছরের ৮ ও ১৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় ধরনের দরপতনের ঘটনা ঘটে। ওই দুই দিন পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এসইসির যা কিছু করার ছিল, আগেই করা হয়েছে।

এখন আর এসইসির কিছু করার নেই। বাজার পরিস্থিতি: ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সূচকের নিম্নগতির মধ্য দিয়ে আজ লেনদেন শুরু হয়, যা সারা দিনই ওঠানামা করে। দিন শেষে সাধারণ মূল্যসূচক ৩২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ৭৯৪৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ১৫৮টির, বেড়েছে ৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আজ ডিএসইতে মোট এক হাজার ২৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের চেয়ে ১২৭ কোটি টাকা কম।

গতকাল ডিএসইতে এক হাজার ১৫৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়। এ ছাড়া আজ ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৮ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ দরপতন হয়েছে। সিএসই সাধারণ মূল্যসূচক ২২১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ২২৪৯৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে মোট দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

Click This Link ********************* শেখ মুজিব নিজে সৎ ব্যাক্তি হলেও কোনদিনও দলের র্দূনীতিবাজ লোকদের শায়েস্তা করতে পারেন নি। ১৯৭৪ সালের র্দূভিক্ষের পর সেনা অভিযান চালানোর পর ৪০ দিনের মাথায় বন্ধ করে দেন। কারণ তাতে তার দলেরই বেশীর ভাগ নেতা-কর্মীরাই গ্রেফতার হয়। সব মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলেন রিলিফে সাড়ে সাত কোটি কম্বল এল, অথচ আমার কম্বলটা পেলাম না। এর জন্যই হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিলেন বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ।

আজকে তার কন্যা হাসিনা দুইবার মেয়াদেও হরি লুটের ভেলকি দেখিয়ে যাচ্ছেন। দিন বদলের মুখোরোচক ওয়াদা করেও প্রমাণ করলেন যে আসলে বাল-বাকশালীদের খাসলত বদলায় না। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া সেপ্টেম্বর মাসেই ঐ সময়ে আলীগ সরকারকে বলেছিলেন যে শেয়ার বাজারে নজর দিন এখানে লুটপাটের আয়োজন চলছে দেশী ও ভারতীয় মাড়োয়ারী ব্যাবসায়ীদের যোগসাজশে । কিন্তু সেদিন সরকার কথা কানে দেয় নি। কেন দিবে? সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো এবং ভারতীয় ব্যাবসায়ী বলে কথা।

ঠিকই নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে প্রচন্ড রকমের ধ্বস ঘটলো। যা আগে জিয়া ও খালেদার আমলেতো দূর, স্বৈরাচার র্দূনীতিবাজ এরশাদের আমলেও শেয়ার বাজারে এই হরিলুট ঘটেনি। তারপর হাসিনার প্রথম আমলে শেয়ার বাজার আর গতি পায় নি। পরবর্তীতে ২০০১-০৬ মরহুম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রী হিসেবে আন্তরিক, দক্ষ-বলিষ্ঠতা, সততার কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জ ঘুড়ে দাড়ায়। বেশ কিছু কোম্পানী কৃত্রিম ভাবে মূল্য বৃদ্ধি করলে তাদেরকে ব্ল্যাক লিষ্ট করা সহ দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।

ফলে ২০০১-০৬ মেয়াদে শেয়ার বাজার স্বাভাবিক গতিতে অনেক অগ্রগামী হয়েছে। কিন্তু আবার হাসিনা ক্ষমতায় আসলে বর্তমানে শেয়ার বাজারে কৃত্রিম ভাবে কারসাজি করে হরিলুট করা হয়েছে। আগাচৌর মতে মুহিত সাহেব নাকি সাইফুর রহমানের চেয়েও দক্ষ। কিন্তু যতই দক্ষ হৌক গড মাদার হাসিনা যদি ইশারা দেয় তো বাংলাদেশের কারো সাধ্য নেই শেয়ার বাজারে হরিলুট ঠেকানো। এই শেয়ার বাজার, দ্রব্য মূল্যর উর্ধ্ব গতি এবং বর্তমান মন্দ অর্থনীতির অবস্থা দেখে বোঝা যায় যে বাল-বাকশালীরা বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত দেশ হিসেবে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়।

আর ব্যাচারা ম্যাঙ্গো পাবলিক তথা শেয়ার বিনিয়োগকারীরা বাল সরকারকে জুতা দেখানো ও থুতো নিক্ষেপ ছাড়া আর কিইবা করতে পারে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.