আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েরা যেমন হয় (বাংলা ভাষায় লেখা একটি নারী বিষয়ক গবেষনা পত্র)

জামাত-শিবির দূরে গিয়া মর! সমরেশ কাকা একটা বই লিখছিলেন "মেয়েরা যেমন হয়"। আমি বইটি কিনছিলাম। কিনে ধরা খাইছি। মনে করছিলাম, মেয়েদের প্রকারভেদ উদাহরন সহ ব্যাখা করা হইছে, এইগুলা পইড়া আর কিছু না হোক প্রেম করতে সুবিধা হবে। কিয়ের কি! বইডায় লেখকের নিজের জীবন সম্পর্কে লেখা।

তাই আমি নিজেই মেয়েদের প্রকার ভেদ নিয়ে লিখতে বসলাম। আন্দাজে ঢিল মারা টাইপের লেখা। কারও লগে মিল খাইলে খাইতারে, আমি দায়ী না। সাধারন ভাবে বলা যায় মানুষ তিন প্রকার। ১) পুরুষ ২) নারী ৩) বৃহন্নলা আমাদের আলোচ্য বিষয় নারী।

নিম্নে নারী জাতি সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো। সমার্থক শব্দঃ বাংলা ভাষায় নারী শব্দের বহু সমার্থক শব্দ আছে। যেমন: নারী, মহিলা, মেয়ে, বেটি, ছেড়ি, চেংড়ি ইত্যাদি। তবে মেয়ে শব্দটাই বেশী শ্রুতিমধুর। সংজ্ঞাঃ যাহাদের দেখতে, শুনতে ও স্পর্শ করতে পারা যায়, কিন্তু কখনোই বুঝতে পারা যায় না তাহাদের মেয়ে/নারী/মহিলা বলা হয়।

শারীরিক গঠনঃ মেয়েরা সাধারনত পুরুষদের চেয়ে ছোট আকৃতির হয়, তবে তাহাদের মাথার চুল সাধারনত পুরুষদের মাথার চুলের চেয়ে অনেক লম্বা হয়ে থাকে। তাহাদের শারীরিক গঠন নিম্নরুপ হয়ে থাকেঃ ১) হাত = ২ টি। ২) পা = ২ টি। ৩) মাথা = ১ টি ৪) নাক = ১ টি। ৫) কান = ২ টি।

৬) ঠোট = ২ টি। ৭) দাত = ৩২ টি (সাধারনত) । মেয়েরা শারীরিক কাঠামোগত দিক দিয়ে প্রধানত চারভাগে বিভক্ত। যথা ১) কলা আকৃতি ২) আপেল আকৃতি ৩) নাশপাতি আকৃতি ৪) বালুঘড়ি আকৃতি। বালুঘড়ি আকৃতির মেয়েদের খুব কমই পাওয়া যায়, প্রতিটি পুরুষই বালুঘড়ি আকৃতির নারীকে পছন্দ করে থাকেন।

মেয়েদের মাথার ঘিলু পুরুষদের চেয়ে গড়ে ১১০ গ্রাম কম থাকে (পুরুষদের গড়ে ১৩৬০ গ্রাম আর নারীদের গড়ে ১২৫০ গ্রাম)। প্রাপ্তিস্থানঃ মেয়েদের সাধারনত আধুনিক বিপনী বিতান, রেস্তোরা, সৌন্দর্য চর্চা বিতান, প্রসাধনীর দোকানে কিংবা বাসায় দূরদর্শনের সামনে বেশী পাওয়া যায়। তবে বাঙালী নারীদের একটা অংশকে আজও পুরোটা দিনই রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। শিক্ষা ও মেধাঃ বেশিরভাগ মেয়েরাই শিক্ষা ব্যাপারে মারাত্মক রকম উদাসীন। তাহারা বক্তব্য খাতা, নিরীক্ষন খাতা থেকে শুরু করে পরীক্ষন খাতা, কড়চা খাতা পর্যন্ত ছেলেদের কাছ থেকে ধার করে।

তবে কিছু কিছু মেয়েদের ক্ষেত্রে এই কথা খাটে না, তাহারা যেমন মেধাবী তেমনই পরিশ্রমী। সাধারনত প্রায় শ্রেনীর মেধাক্রমে সেরা তিনে কোন না কোন মেয়ে থাকবেই। তবে মেধাবী এই মেয়েরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই প্রচন্ড স্বার্থপর হয়ে থাকে, তারা তাদের বক্তব্য খাতা, নিরীক্ষন খাতা, পরীক্ষন খাতা, কড়চা খাতা কারো সাথে বন্টন করতে চায় না। ছেলেবন্ধুঃ মেয়েরা অতি আজব শ্রেনীর মানুষ হয়ে থাকে। তাহাদের ছেলেবন্ধু নির্বাচন ও সংখ্যার কোন আদর্শ মানদন্ড নেই।

সাধারনত এখনকার মেয়েদের মাথাপিছু ছেলেবন্ধু সংখ্যা ৩ থেকে ৪টি হয়ে থাকে। মেয়েদের কিছু আজব মনস্তাত্বিক ব্যাপার থাকে। যেমন দরিদ্র ঘরের মেয়েরা সাধারনত মধ্যবিত্ব ও মেধাবী ছেলেদের পছন্দ করে, মধ্যবিত্ব সংসারের মেয়েরা উচ্চবিত্ব ও হাবাগোবা ছেলেদের পছন্দ করে, ধনী পরিবারের মেয়েরা সাধারনত খবিশ ও দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের পছন্দ করে থাকে। মেয়েরা অতি ভদ্র ছেলেদের যেমন পছন্দ করে না, তেমনি বদের হাড্ডি ছেলেদেরও পছন্দ করে না। তাহারা এসব ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে থাকে।

তবে আগেই বলেছি মেয়েরা অতি আজব শ্রেনীর মানুষ হয়ে থাকে। তাই তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। স্বভাবগত গুনাগুনঃ মেয়েদের স্বভাবগত ভাবে ৫ ভাগে ভাগ করা যায়। অনেক ধরনের স্বভাবের মেয়ে আছে, কিন্তু এই পাচটিই প্রধান। যেমনঃ ১) অতি আধুনিকা রমনীঃ ইহারা অতি ভয়ংকর শ্রেনীর রমনী।

ইহারা দিনে যতবার পোশাক পরিবর্তন করে, তাহার চেয়ে অধিক সংখ্যকবার ছেলেবন্ধু পরিবর্তন করে। ইহাদেরকে ছেলেদের দেবদাস বানানোর কারখানাও বলা হয়। ইহাদের কখনোই হৃদরোগ হবার সম্ভাবনা নেই, কারন ইহাদের হৃদয় বলতে কিছু নেই। ইহাদের হাতের নখ খোদাই যন্ত্রের মত বড় ও সূচালো হয়ে থাকে। ২) আধুনিকা রমনীঃ ইহারা ভয়ংকর হইলেও সহনীয় মাত্রায় ভয়ংকর।

ইহাদের রুপচর্চার খরচ হাতি পোষার চেয়েও বেশী, ইহাদের মুখে আঙ্গুল দিয়ে ঘষা দিলে আঙ্গুলে ২” ময়দার মতো সৌন্দর্য বর্ধন গুড়া পাওয়া যায়। ইহারা বাংলা ভাষার চেয়ে বাংলা+হিন্দী+ইংরেজী ভেজাল ভাষায় কথা বলতে বেশী স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। ইহাদের কথা বুকে তীরের মত বিধে। সম্ভবত জন্মের পরপরই ইহাদের মূখে বোম্বাই মরিচ দেয়া হয়ে থাকে। ইহারা ঝাড়ি না মেরে কোন কথা বলতে পারে না।

৩) রমনীঃ এরাই সাধারনত আদর্শ মেয়ে হয়ে থাকেন। ইহারা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করেন। মাথার চুল যেমন লম্বা থাকে, তেমনি লম্বা পোশাকও তাহারা পরিধান করে থাকেন। ইহারা সহজে কাউকে ভালবাসতে চান না। তবে একবার যাকে ভালবাসেন, তাকে সারা জীবন একই ভাবে ভালবেসে যান।

এই মেয়েরা শালীন ও পরিপাটি ভাবে চলা ফেরা করেন, গুছিয়ে কথা বলেন। মনে কষ্ট পেলেও কখনো প্রকাশ করেন না, ইহারা খুব মিষ্টি করে হাসতে পারেন, কিন্তু বেশী রক্ষনশীল হতে গিয়ে অমুল্য এই হাসির ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলেন। লেখাপড়ার মতো সাংসারিক কাজকর্মেও ইহাদের পারদর্শীতা অপরীসিম। ইহারা ধার্মিক হয়ে থাকেন এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন। ইহারা বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায়।

৪) ক্ষ্যাত রমনীঃ এই শ্রেনীর মেয়েরা একটু বাচাল ও দাম্ভিক ধরনের হয়ে থাকেন। ইহাদের রং নির্বাচনে উজ্জল লাল, কটা হলুদ, গাঢ় গোলাপী রং অগ্রাধিকার পায়। ইহারা কথাবার্তায় অগোছালো হয়ে থাকেন। ভাত খেলে থালার আশে পাশে ভাত ছিটিয়ে তারা আনন্দ পান। ৫) খাইষ্টা রমনীঃ এই শ্রেনীর মেয়েদের নাকের নিচে হালকা গোফ থাকে, ইহারা সুমো কুস্তিগীরদের মতো মোটা হয়ে থাকে।

ইহাদের শরীরে তীব্র ঘামের গন্ধ থাকে যার ফলে ইহাদের কখনো মশায় কামড়াতে পারে না, কাছে গেলেই মশা অজ্ঞান হয়ে যায়। ইহারা ঘুমের মধ্যে উচ্চ স্বরে নাক ডাকে ও বালিশে লালা ফেলে । গলায়, হাতে, পায়ে বেশ পুরু ময়লার স্তর জমে থাকে। ইহারা কথা বলার সময় কিংবা সাধারনভাবে বসে থাকলেও মাথা থেকে উকুন খুটে মারে কিংবা নাকের ভেতর আঙুল দিয়ে ময়লা বের করে। কথা বলার সময় ইহাদের মুখ থেকে থুথু ছিটে বেরোয়।

ইহারা দাত দিয়ে নখ কাটতে ভালবাসে। পছন্দ সমগ্রঃ মেয়েরা অনেক কিছুই পছন্দ করেন। যেমনঃ ১) হিন্দী ধারাবাহিক নাটক। ২) নিজের বয়স কমিয়ে বলা। ৩) তেতুল টক দিয়ে ফুচকা।

৪) গয়না। ৫) বিদেশী প্রসাধনী। ৬) নতুন নকশার পোশাক। ৭) খুদে বার্তার উত্তর দেয়া। ৮) যে কোন কিছুই দরদাম করে কেনা।

৯) নিজের রান্নার প্রশংসা। ১০) নিজের রুপের প্রশংসা। ১১) দূরদর্শনের দূরনিয়ন্ত্রক যন্ত্র। ১২) স্বামীর টাকার থলে। ১৩) মূল্যছাড় প্রস্তাব।

১৪) কচি ডাবের পানি, সতেজ শশা, মেহেদী পাতা, কাচা হলুদ। ১৫) ঝগড়া করা। উপকার ও অপকারঃ মেয়েদের দ্বারা অনেক উপকার হচ্ছে। যেমন পুরুষদের সেবা যত্ন, সুস্বাদু রান্না, পন্যের বিজ্ঞাপন ও প্রসার ইত্যাদি। আবার মেয়েদের জন্য অনেক ক্ষতিও হচ্ছে।

প্রাচীন কাল থেকেই সকল যুদ্ধ ও ঝগড়া-ঝাটির মুল কারন ছিল মেয়েরা। ট্রয়ের যুদ্ধ থেকে শুরু করে কারবালা যুদ্ধ এমনকি বিশ্ব যুদ্ধের পেছনের কারনও কোন মেয়েকে নিয়েই। বাংলাদেশে এখনও সবচেয়ে বেশী মারামারি হয় জমি ও নারীর জন্য। চাকরিতে মেয়েরা অগ্রাধিকার পাওয়ায় পুরুষদের প্রতিযোগীতায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে হরতাল, অবরোধ, মারামারি, সংঘাত, জ্বালাও-পোড়াও এর মূল কারনও নারী।

উপসংহারঃ বলা হয়ে থাকে, “প্রত্যেক সফল পুরুষের পেছনে একজন নারীর হাত থাকে” কথাটা শতভাগ সত্য। কারন মেয়েরা কখনো ব্যর্থ পুরুষদের পেছনে হাত ধুয়ে পড়ে থাকে না। তাদের উদ্দেশ্যই থাকে সফল পুরুষগন। আজাইরা প্যাচালঃ এই পোষ্ট পইড়া আমারে কেউ নারী বিদ্বেষী কইয়েন না। আমি নারীদের অনেক সম্মান করি।

ভালবাসতে তো একপায়ে খাড়া, কিন্তু কেউ সুযোগই দেয় না । এই লেখা যাদের উৎসর্গ করছিঃ ১) জানা’ফু, যিনি কখনো আমার এই অন্তর্জাল ডায়েরীতে আসেন না। কিন্তু তার এই মুক্তমঞ্চটি আমাকে লেখার সুযোগ করে দিয়েছে। ২) দুই নারী শৃংখলাকর্মী। যাহাদের মাঝে শুধু একজন মাঝে মাঝে এক্টু উকি-ঝুকি দেন, কিন্তু লেখা পড়েন না।

৩) এবং সকল নারী লেখিকা (খালা) গন, যাহারা কখনো কখনো আমার লেখা পড়েন। ৪) এবং বিশেষ একজনকে, যাকে এখনও সম্ভব রকম ভালো লাগে। (ly without wax) ৫) নারী রাজনীতিবিদগন ছাড়া দেশের সকল নারীকে। ভালা থাইকেন সবাই। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৩৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.