আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেয়েরা কেন এমন হয় ?

পেশায় নাবিক নেশায় যাযাবর জামিল গাড়ি থেকে নামার সময় হাতঘড়ির দিকে তাকাল । রাত ১১ টা। যদিও খুব বেশি রাত হয় নি । তবে একজন স্বামী হিসাবে বৌয়ের ঝাড়ি খাবার জন্য যথেষ্ট রাত। চোরের মত মত চুপচাপ ঘরে ঢুকল।

ইদানিং ঘরের একটা চাবি নিজের সাথেই রাখে। কারন মাস কয়েক আগে দেরি করে এসে ১ ঘণ্টার মত দরজার কলিং বেল চেপেছিল। এক ঘণ্টা পর যখন দরজা খুলল “একটু বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল- এত দেরি করলে কেন?” উত্তরে বউ বলেছিল “ আমি কি তোমার চাকর না দারোয়ান। দেরি করে ফিরবে আর আমি দরজায় দাড়িয়ে থাকব” ড্রইং রুমেই পাওয়া গেল বিবি জানকে । ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখছে।

আজকাল এই সিরিয়াল অনেকটা মাথা ব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্দেহ বাতিক , স্বামিকে ব্লাক মেইল করা, বউ শ্বাশুরির ঝগড়া অনেক কিছু শিক্ষা দিচ্ছে। এইতো সেদিন জিজ্ঞাসা করল “আচ্ছা ধর, তুমি একটা ট্যুরে কাজ থেকে রাতে হোটেলে ফিরছ। এই সময় একটা মেয়ে বিপদে পরে তোমার সাহায্য চাইল। তুমি কি করবে ??” জামিল খুব সাধারন ভাবে বলল “সাহায্য করাই উচিত।

তুমি কি বল?” বলার পরই তার বউ তিরিং বিরিং করে উঠল। তোমরা সব পুরুষ মানুষ এক। তোমাদের কখন বিশ্বাস করতে নেই। এর পর হোটেলে নিয়ে মজা লুটবা না। এই ঘটনা যে শেষ পর্যন্ত কতদূর গড়িয়েছে ।

পরে পাশের বাসার তারিক সাহেবের কাছে জেনেছে একটি সিরিয়ালে এরকম ঘটনা দেখিয়েছে। এক নিপাট ভদ্র লোক এভাবে একটি মেয়েকে সাহায্য করে এবং রাতে হোটেলে তাদের মধ্যে ইয়ে হয়ে যায়। তার পর এই থেকে পারিবারিক অশান্তি। গত দুমাস ধরে নাকি এটা নিয়েই টানা হ্যাচরা হচ্ছে। জামিল সাহেব কোন আবহাওয়াবিদ নন।

তার পরও বুঝতে অসুবিধা হল না ঝড় আসন্ন, মাথার কত উপর দিয়ে যাবে সেটাই বিবেচ্চ্য। একটু ইতস্ত করে বলল “অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম। এই সময় কয়েকজন বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। তাই রাত হয়ে গেল। তুমি খেয়েছ?” “খাব না মানে ? আমিতো তোমার বাসার দাসী।

দুবেলা খাবার জন্যই তো পরে আছি”। কথায় বলে প্রেমিকেরা করে শোষণ ,আর তারা যখন স্ত্রী হয় দেয় ভাষণ। আজকে ভাষণ শুনতে শুনতেই খেতে হবে। কোন পুরুষ মানুষ স্ত্রীর কাছে হিরো হতে পারে না। হোক না সে হেভি ওয়েট বক্সার।

জামিল নীরবে খাবার টেবিলে বসে আছে। পরবর্তী বাক্যবান হজম করার জন্য। “তা এসেই খাবার টেবিলে বসলে যে। তোমার জানের দোস্তোরা খাইয়ে দেয় নি?” এর কি উত্তর দিবে সে বুঝতে পারছিল না। কিছু দিন আগে সে রাতে খেয়ে এসে ছিল।

এই জন্য অনেক বকুনি খেতে হয়ে ছিল। “আমি না খেয়ে তোমার জন্য বসে আছি আর তুমি কিনা বন্ধু বান্ধব নিয়ে খেয়ে এসেছ। আমার কথা তোমার একবারও মনে পড়ল না”। কেঁদে কেটে একদম অস্থির। জামিল করুণ দৃষ্টিতে বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছে তার পরবর্তী একশনের জন্য।

“ দুনিয়াতে কি তোমারই বন্ধ বান্ধব আছে এবং রোজ রোজ তারা তোমার সামনে পরে যায়!! এই বয়সে পোলা পানের মত আড্ডা মারতে তোমার লজ্জা করে না। দুই দুই টা বাচ্চার বাপ। এখনও নিজেকে যুবক ভাব”। আর না । এবার একটু প্রতিবাদ করতেই হয়।

“রোজ রোজ কেন বলছ? ওদের সাথে শেষ কবে এক সাথে হয়েছি। আমি নিজেই মনে করতে পারছি না। হঠাৎ করে কারো সাথে দেখা হলে কি করব। না দেখার ভান করব। নাকি বলব সরি, বাসায় বউ ওয়েট করছে তাই সময় দিতে পারছিনা” তার বউ ও কম যায় না।

বিরোধী দলের নেতার মত কাউন্টার এটাক করল। “এখন ধর তুমি বাসায় এসে আমাকে পেলে না। আমি আমার বন্ধ-বান্ধব নিয়ে বাইরে আড্ডা মারছি। তখন তুমি কি করবে, শুনি”। পরিস্থিতি ক্রমেই জামিলের হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে।

রণে ভঙ্গ দেবার জন্য বলল “ কি আর বলব। আমিও তো তোমাকে সব সময় বলি। মাঝে মধ্যে একটু বাইরে বেড়াও। সারাদিন বাসায় মনঃ খারাপ করে বসে না থেকে এদিক সেদিক ঘুরে আসতে পার। মনটা হাল্কা হবে” ঝড়ের সাথে এবার বিদ্যুৎ চমকানোর সম্ভাবনা দেখা দিল।

“কি ??? তুমি আমাকে খোটা দিলে!! আমার কেউ নেই। এটাই বুঝাতে চাও। আমার কেউ থাকলে তুমি এই রকম সাহস করে বলতে পারতা না। তুমি কি ভাবছ আমি বুড়িয়ে গেছি। বাবুর স্কুলে যে সব বাবারা বাচ্চা দিতে আসে এখনও আমার গায়ে পরে কথা বলতে আসে।

আমি ভাল দেখেই পাত্তা দেই না। এখন তো মনে হচ্ছে পাত্তা দিলেই ভাল হত। কত ভাবীরা ওদের পটিয়ে স্নাক্স-ফাস্ট ফুড আদায় করে”। জামিল কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কারন সে খারাপ কি বলেছে সেটাই তার বোধগম্য নয়।

আর তাছাড়া তার যাবার কোন জায়গা নেই তাও নয়। এই শহরেই তার দুইজন বোনের পরিবার এবং অন্যান্য আত্নিয় স্বজন রয়েছে। আসে পাশে অনেক মার্কেট আছে। জামিল সব কিছু সইতে পারে কিন্তু কান্না একদম না। আর এই অস্ত্রটা সব সময় তার স্ত্রী মোক্ষম সময় ব্যবহার করে।

“বাইরে বেড়ানো তো দুরের কথা । বাসায় বসে শান্তি মত একটু সিরিয়াল দেখব তাও পারি না। তোমার ছেলে দুইটা সব বাপের গুষ্টির ধারা পেয়েছে। এই রকম বিচ্ছু আমাদের ফ্যামিলিতে নেই। সেদিন আমার সব বোনেরা একসাথে হয়েছিল।

তোমার দুইটা সবাইকে ফেল করে দিয়েছে। আমি তো লজ্জায় শেষ। আর সারাদিন চাকরানীর মত খাটি। বাচ্চাদের স্কুল, প্রাইভেট টিচার, ড্রইয়ং ক্লাশ, বাজার করা , ব্যাংকের কাজ এগুলো কে করে শুনি!আর ঘর গোছান ? এই করি আর তোমার ছেলেরা আবার সব এলোমেলো করে দেয়। সারা দিনই ঐ কাজ করতে হয়।

একদিনও তো একটু হেল্প করলে না”। কোন ঘটনা কোন দিকে যাচ্ছে সে কোন কূল কিনারা করতে পারছে না। তার পরও সে আজকে থেমে থাকবে না। “তাই নাকি ? তা তোমাকে এসব কে করতে বলে? বাসায় কাজের লোক আছে কেন? আর বাচ্চাদের স্কুল বাস আছে না, ওটা ঠিক করলেই হয়। কত বাচ্চারা যাচ্ছে না।

আর সপ্তাহের বাজার তো আমিও করি। তুমিতো টুকটাক আন। আর ঘরদোর ঝাড়ামোছার কাজ আমার কাছে একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়। বাচ্চাদের বাসা একটু আগোছাল থাকলে লোকে কি এমন বলবে!! আর বললেই বা কি আসে যায়। তোমার এত কাজ!! আবার সেলাই শিখছো।

দোকানের দর্জি আছে না। ওদের পেটে কেন লাথি মারা। আর রান্নাবান্না! ওটা তো কাজের লোককে কিছু টাকা বেশি দিলেই হয়ে যায়। আমি শিওর তোমার চাইতে খারাপ সে করতে পারবে না”। আর ব্যাংকের কথাটা সে ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেল।

একদিন তার সাথে ব্যাংকে যেয়ে দেখে সব সুন্দরী মেয়েরা হাসি হাসি মুখ করে বসে আছে। সেই থেকে ব্যাংকের যাবতীয় দায়িত্ব সে নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছে। যে মেয়ে ব্যাংকের এটিএম কার্ড ব্যবহার করতে ভঁয় পেত সে এখন অনায়াসে টিটি, ব্যাংক ড্রাফ্‌ট, অন লাইন ব্যাংকিং করছে। লক্ষ লক্ষ টাকার চেক দ্বিধাহীন ভাবে সাইন করে। বউয়ের গর্জন এবার বর্ষনে রূপ নিল।

“আমি জানতাম , তুমি এই সব কথা বলবে। আমি তো সংসারের জন্য কিছু করি না। আমার সব কিছুই খারাপ। আমার রান্না এখন আর তোমার ভাল লাগে না। বিয়ের পর তো বলতে এমন রান্না তুমি জীবনেও খাও নাই।

( কথা সত্য এরকম ভয়াবহ খারাপ রান্না সে আগে খায়নি!!) আর স্কুলের বাস তো ফ্রী নেয় না। সে জন্য টাকা দিতে হয়। ( ১২০০ টাকার বাস ভাড়ার বদলে মাসে ৪৫০০/৫০০০ টাকা সি এন জি ভাড়া দেয়!!) আর সেলাই শিখছি সংসারের জন্য। ( জামিল জানে ওটা শেখা পর্যন্তই। আর কোথায় ব্যবহার হবে না)।

আমি আর কোন কাজই করব না। তোমার ব্যাংকের কাগজ পত্র সব ফেরত দিয়ে দিব। কি ভাবছ , আমি সব টাকা পয়সা আমার বাপের বাড়ি পাচার করছি ? ঘরদোর জাহান্নামে যাক। আমি আর নাই!!!” ঝমাঝম বর্ষা। বউরা যে কিভাবে তিলকে তাল বানায় জামিলের মাথায় কিছুতেই আসে না।

একটু দম নিয়ে আবার শুরু হয় “আমি ভাই বোনদের মধ্যে সবচেয়ে লক্ষ্মী ছিলাম। আর আমার কপালেই কিনা এমন জুটল। কেন যে তুমি আর সব স্বামীদের মত না , আমি কিছুই বুঝি না। অন্য স্বামীরা ঘরদোর পরিষ্কার দেখলে খুশী হয়। বাড়িতে থাকতে ভাল বাসে।

বউ বাচ্চাদের সময় দেয়। যেদিন বা একটু আগে আস। এসেই কম্পিউটার নিয়ে বসে থাক। পাশের বাসার তারিক ভাইকে দেখ। একদম জেনুইন ভদ্র লোক।

অফিস শেষ সরাসরি বাসায়। একদিনও ভুল হয় না। সারাদিন বাসায় থাকে। এমনকি ছুটির দিনও। কি সুন্দর ভাবীর সাথে বাজারে যায়, সেদিন ব্যাংকেও দেখলাম দু জন একসাথে।

সারাক্ষন বউ এর আসে পাশে থাকে। ভাবী একদিন বলল তারিক ভাই ভাবীকে সারপ্রাইজ দেবার জন্য মাঝে মাঝে হঠাৎ বাবুর স্কুলে গিয়ে হাজির হয়। কি রুমান্টিক। বউ এর সাথে কোন দিন ঝগড়া করে না। আমার বোনদের স্বামীরা সবাই কত লক্ষ্মী।

সবাই বউ এর বাধ্য । আর তুমি কেন এমন হলে???” হাউ মাউ কথার খোঁচা হজম করা সহজ কিন্তু কারো সাথে তুলনা একদম অসহ্য। আর যখন ভায়রা ভাইদের কথা আসছে এখন আর সিনে না থাকাটাই শ্রেয়। কারন একবার তাদের প্রশংসা শুরু হলে আর রক্ষা নেই। খাবার আশা বাদ দিয়ে জামিল সিগারেট এর প্যাকেট হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে যায়।

যতক্ষন বউ ঠাণ্ডা না হয় সে বারান্দাতেই থাকবে। সাধারণত সে বারান্দায় আসে না। নাগরিক যান্ত্রিকতার ছোঁয়া এখানেও আছে। পাশের বাসার তারিক সাহেবদের বারান্দাও একদম সাথে। একটু কান পাতলে ঐ বাসার সব কথা শোনা যায়।

কিন্তু আজকে আর উপায় নেই। একটি সিগারেট ধরিয়ে জামিল ভাবে, মেয়েদের মন পাওয়া দায়। এই যে আজকে একটু দেরীর জের ধরে কত কথা শুনিয়ে দিল। এমন তুচ্ছ কারণে এত উতলা হওয়া মেয়েদের পক্ষেই সম্ভব। পরিবারের জন্য তার নিজের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

সংসারের কোন ব্যাপারে সে নাক গলায় না। বউ ভাল মন্দ যা করে সে মেনে নেয়। বউ এর অনেক ফালতু/অন্যায় আবদার সে ইচ্ছে করলেই উপেক্ষা করতে পারে কিন্তু তা সে করে না পাছে বউ মনে কষ্ট পায়। হয়ত সব দোষ তার বউ এর নয় তার নিজেরও কিছু দোষ আছে। বাস্তবতা মেনে নিলে মেয়েদের জীবনটা তো একঘেয়েমি।

ঘর বাড়ি , বাচ্চা , রান্না এই নিয়ে দিনের পর দিন । এর ভিতরে কি আর কোন আনন্দ আছে। ছেলেরা তাওত প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসার মধ্যে ভাল মন্দ বৈচিত্র খুঁজে পায় কিন্তু মেয়েরা সেই একই জীবন দিনের পর দিন। তার বউ ইচ্ছে করলে বের হতে পারে। এ ব্যপারে তার কোন নিষেধ নেই।

বরং সে সব সময় বাইরে বেড়ানোর জন্য উৎসাহ দেয়। অবশ্য তার বউ যে বাইরে যায় না এটা এক দিক দিয়ে ভালই লাগে। সে রান্না বান্না , ঘর সংসার নিয়ে এক রকম সুখ অনুভব করে এই জন্য জামিল নিজেকে ধন্য মনে করে। তার পরিচিত অনেক মেয়ে আছে সারাদিন প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ায়, দিন রাত খালি ফুর্তি। স্বামী সংসার কোন দিকে খেয়াল নেই ।

মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে বেড়ায় , আড্ডা মারে , নিত্য নতুন ফ্যাশন নিয়ে পরে থাকে। স্বামীর কষ্টার্জিত টাকা উড়ান যেন তাদের একমাত্র দায়িত্ব। রান্না বান্না তো দুরের কথা বাচ্চাদের ঠিক মত দেখা শোনা করে না। বুয়ার হাতেই সব। নাহ এই দিক দিয়ে সে অনেক ভাগ্যবান।

জামিল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল “ এর পর থেকে সে বউ এর কথা মত চলবে। বউয়ের রূপের প্রশংসা করবে, রোমান্টিক হবে, এক সাথে হিন্দি সিরিয়াল দেখবে , ভাল বাসাময় কথা বার্তা বলবে, প্রতিদিন সকালে উঠে বাজারে যাবে, রাতে ঠিক সময় মত ঘুমাবে, নেট ফেট নিয়ে রাত জাগবে না। বন্ধু বান্ধব বাদ। এসব দিয়ে কি হবে । বউ হল সব চেয়ে আপন।

বউয়ের চেয়ে আপন আর কে আছে দুনিয়ায়!!” জামিল সিগারেট ফেলে দিল। বউয়ের কাছে মাফ চেয়ে লক্ষ্মী হবার শপথ নেবার প্রস্তুতি। ঠিক এই সময় পাশের বাসার কেমন যেন হৈ চৈ শুনল। আড়ি পেতে অন্যের কথা শোনা অন্যায়। তার পরও জামিল কানটা বারিয়ে দিল।

শুনতে পেলো তারিক সাহেবের স্ত্রীর রাগী কণ্ঠস্বর “ আমি অবাক হয়ে যাই তোমাকে দেখে। কিভাবে তুমি দিনের পর দিন বাড়িতে পরে থাক। পুরুষ মানুষ এমন ঘর কোনা হয় আমি আমার চৌদ্দ গুষ্টিতে দেখি নাই। পুরুষ মানুষ যদি পুরুষ মানুষের মত না হয়ে মেয়েদের মত হয় মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়। আর আমার কপালেই কিনা এই রকম একটা মেয়ে মার্কা স্বামী জুটল!! তোমার কি কোন বন্ধু বান্ধব নেই।

সন্ধ্যার পর একটু হাটা চলা না করলে হার্টের অসুখ হয়। অফিস থেকে ফিরে চিত হয়ে শুয়ে পর। আর মেয়েদের মত হিন্দি সিরিয়াল দেখো। লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে” তারিক সাহেব মিন মিন করে কিছু একটা বলল । কিন্তু তা জামিলের কান পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে পারল না।

ফ্লোর আবার ভাবীর কাছে “ বউয়ের আচল ধরে ঘুরে বেড়াও লজ্জা করে না। পাশের বাসার জামিল সাহেব কে দেখ কি ম্যানলি!! কত টা ইন্ডিপেন্ডেন্ট । তুমি মাঝে মধ্যে বাবুর স্কুলে এসে হাজির হও, সব ভাবীরা হাসাহাসি করে। সবাই বলে তুমি নাকি আমার দিকে নজর রাখছ। সেদিন পাশের বাসার ভাবীর সাথে ব্যাংকে দেখা।

ভাবী একা আর তুমি আমার আচল ধরে আছ। কিজে শরম লেগেছে। কই জামিল ভাইকে তো কোন দিন শুনলাম না ওনার বাচ্চাদের স্কুলে যেয়ে হাজির হতে। ভাবীকে উনি কত স্বাধীনতা দেয়। আর ওনাকে খুব কম দিনই দেখেছি অফিস থেকে সরাসরি বাসায় আসতে।

আর তুমি !!! উহ একদম অসহ্য” জামিল আপাতত লক্ষ্মী হবার চিন্তা বাদ দিয়ে দিল। তার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্কে মেয়েদের মন বোঝার মত গ্রে মেটার নেই বলেই সে মনে করল। আর মেয়েদের মন কেউ পায় বলেও তার মনে হল না। কারন ওরা যে কি চায় নিজেরাই জানে না। সতর্কতাঃ ১) যারা বিয়ে করেন নি কিংবা সবে মাত্র বিয়ে করেছেন তাদের জন্য নয়।

২) আপুরা নিজ দায়িত্বে পড়তে পারেন। ৩) বিবাহিত পুরুষদের পড়ার দরকার নাই। রোজকার অভিজ্ঞতা। (কপি রাইট নীরব দর্শক ) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.