আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শহিদ ভায়ার প্রেম পিরীতি ( সিজন - ০১) [শেষ পর্ব]

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি

শহিদ ভায়া প্রেম পিরীতি ( সিজন - ০১, প্রথম পর্ব) তো কইন্যার সহিত আমরা বাতচিত তথা খাজুইরা আলাপন শুরু করিলাম। কথায় কথায় জানিতে পরিলাম সে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সমাপন করিয়া ফলের অপেক্ষা করিতেছে। তাহার নামখানি বড়ই মধুর - তুষার। শহিদ ভায়া'কে আগাইয়া দিলাম তাহার সহিত কথা কইবার লাগি। কিন্তু প্রতিটি কাজিয়ায় যাহার উচ্চবাক্য, যাহার লক্ষ কুটি সাবেক রাস্তায় ঘুরিতেছে; সে তুষারের সামনে যাইয়া জমাট হই্য়া গেলো।

শহিদ ভায়ার গলা দিয়া আওয়াজ সরিতেছিলো না। কুনুমতে ঢোঁক গিলিয়া কহিলো: ক্কে কে্ক খেমন আছো জান্নাত সরি অপু থুক্কু আঁ আঁ আঁ ত্তুষাড়। গাজী মামা আমার কানে কানে কহিলো: হালায় তো ইস্টাইল মারিতে যাইয়া আমাগো ইজ্জত মারিতেছে। পিছন ফিরিয়া দেখিলাম আমি আর গাজী মামাকে শহিদ ভায়ার সহিত রাখিয়া বাকী সকলে কাটিয়া পড়িয়াছে। এইদিকে তুষার কইন্যা শহিদ ভায়ার এই অবস্হা দেখিয়া হাসিয়া কুটি কুটি।

বিপদেই বন্ধুর আসল পরিচয় এবং স্বীয় ইজ্জত ফালুদা হইয়া যাইবার হস্ত হইতে বাচাঁইবার জইন্য আমি আর গাজীমামা পরিস্হিতি সামলাইবার শপথ করিলাম মনে মনে। সর্বদা রূপসী কইন্যাদের পটাইবার জন্য গাজী মামার স্টকে কিছু জুক্স থাকিত। শহিদ ভায়ার ইজ্জত মারা ইস্টাইল স্টপ করাইয়া গাজী মামা তাহা ছাড়িতে লাগিলো। ওই একই কারণে আমার স্টকে হামেশা কিছু মির্জা গালিবের শায়েরি থাকিত, সুযোগ বুঝিয়া আমিও তাহা ছাড়িতে লাগিলাম। এক পর্যায়ে দেখিলাম কইন্যা পটিয়া গিয়াছে।

ইতিমধ্যে আমরা কইন্যার টেলিফোন নাম্বার হাতাইয়া লইলাম। পরদিন আমাদিগের সহিত বায়স্কোপ দেখিতে যাইতে রাজি করাইয়া আমরা বিদায় লইলাম। তবে ইজ্জতের ফালুদা করিবার অপচেষ্টায় শহিদ ভায়াকে সেইদিন রাতে এতবেশী কাফ্ফারা দিতে হইয়াছিলো যে পরদিন বায়স্কোপ দেখিতে যাইবার টাকা চান্দা তুলিতে হইয়াছিলো। পরে শুনিয়াছিলাম সে নাকি টাকা জোগাড় করিবার জইন্য মায়ের কাছ হইতে চুরি করিয়া ১৫ কেজি খবরের কাগজ বিক্রয় করিয়াছিলো। যাহা হউক পরদিন আমি, গাজীমামা, রোজি মামী, মামুন হুজুর, শহিদ ভায়া আর তুষার মিলিয়া বায়স্কোপ দেখিতে গেলাম।

বায়স্কোপ দেখার চাইতে মূল উদ্দেশ্য হইলো শহিদ ভায়ার সহিত তুষারের গিট্টু জোড়ালো করা। সকলকে জোগাড় করিয়া যাইতে যাইতে সিনেমা শুরু হইয়া গেলো। অন্ধকারে হাতরাইয়া কুনুমতে সিটে বসিতেই বুঝিলাম শহিদ ভায়া আবারও মূর্খের পরিচয় দিয়াছে। কারণ সিনেমায় যাইবার পূর্বেই আমি গাজী মামা আর রোজি মামী পই পই করিয়া শিখাইয়াছিলাম যে কুনু উপায়ে হউক তাহার তুষারের পার্শ্বে আসন লইতে হইবে। কিন্তু আমাগো ভোদাই বাবা একমাথায় আর তুষার অন্যমাথায়।

কিভাবে গিট্টু লাগিবে? ইত্যবসরে গাজীমামা রোজি মামীকে লইয়া কুন চিপায় তলাইয়া গেলো কেহ হদিশ করিতে পারিল না। শহিদ ভায়া আর তুষারকে পাশাপাশি বসাইয়া মামুন হুজুর আর আমি মূত্র বিসর্জনের নাম করিয়া সটকিয়া পড়িলাম। দুই বন্ধু মিলিয়া সিনেমা দেখা বাদ দিয়া কল্পনায় রাজার ঘোটক ছুটাইতেছিলাম - শহিদ ভায়া এই করিতেছে, সেই বলিতেছে। সিনেমার শেষ দৃশ্য আসিবার পূর্বে মামুন হুজুর যাইয়া সতর্ক করিয়াছে যাহা বলিবার জলদি বল, সময় কিন্তু বিশেষ আর নাই। বায়স্কোপ শেষে যে তুষার চলিয়া যাইবার পর শহিদ ভায়াকে শুধাইলাম, কিরে কি বলিয়াছিস? শহিদ ভায়া বলিলো, বিশেষ কিছু না।

তাহার বাড়ীর খবর লইলাম আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় কি কি বিষয় লইয়া পড়িয়াছে তাহার খবর লইলাম। গাজীমামা চিক্কুর দিয়া কহিলো: ওরে তুই খবর লইয়াছিস নাকি কবর দিয়াছিস। মনে হইতেছে তোর **কি দিয়া আচাঁছা বাঁশ ভরিয়া দিই। রোজি মামি লজজা পাইয়া জ্বিব কাটিয়া হাসিতে হাসিতে পলাইলো। আর আমরা শহিদ ভায়ার মুন্ডুপাত করিতে লাগিলাম।

অবশেষে শহিদ ভায়া পিরিতের পূর্বেই পরথম হাইভোল্টেজ ছ্যাঁকার মালিক হইলো। অফটপিক: আসিতেছে মহাসমারোহে সম্পূর্ণ রংগীন শহিদ ভায়ার প্রেম পিরীতি ( সিজন - ০২)। শহিদ ভায়া প্রেম পিরীতি ( সিজন - ০১)

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.