আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রশাসনে সুশাসন নেই:আমলা-কামলার দ্বন্দ্ব



দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর মরি মরি দশা। সেকালে রাজার সাথে সেনাপতি আর উজিরের সাথে নাজিরের দ্বন্ধের বহুত কেচছা আমরা কেতাবে পড়েছি,আর এখন দেখছি আমলাদের সাথে কামলাদের (নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি) সাপ-বেজির লড়াই। প্রশাসনে নেই কোন সমন্বয়,সচিবরা যে যার মত কাজ করছেন, উপর্ওয়ালাদের কোন নসিয়ত্ই এরা শুনছেন না। কারন, ক্ষমতার পালাবদলে এরাও এখন আওয়ামীলীগার,যে কয়টা ভিন্নমতের মনে হয়েছে ওদেরকে আগেই ওএসডি করে বৃন্দাবনে পাঠানো হয়েছে,তাই ওখানে মেধার খরা চলছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন এমপিদের তদ্বিরের ভারে আমলাদের নতজানু অবস্থা।

কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের অনুগত আমলাদের ই বা দাপট কম কিসে?অসহ্য হয়ে তারা ও দিচ্ছেন সবগুলো ফাইল আটকে, আর যায় কোথায়? প্রশাসনের গতি যাচ্ছে থেমে,উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পড়ে থাকছে ঐ টেবিলের উপর ই। আর এ পাটা-পুতায় ঘষাঘষি লেগে মরিচের মত হতভাগা জনগণের হয় মরণ। বিচিএ এ দেশ, বিচিএ তার সবকিছুই। এমন কি বিচিএতা আছে আমাদের উপরওয়ালাদের কাজ-কর্ম,কথা-বার্তা আর চিন্তা-চেতনায় ও! সিদ্ধান্ত যিনি নিচ্ছেন তিনি জানেননা আসলেই কী হতে পারে তার ফল? আর যার উপর দায়িত্বটা চাপিয়ে দেওয়া হচেছ তিনি বুঝতেই পারছেন না তার কাজটা আসলে কী। সবমিলে প্রশাসনে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা।

নেই যেন তার কোন সফল উত্তরণ! জনপ্রতিনিধিরা ভাবছেন তাদের কর্মীরা আহারে কত কষ্ট করে তাদের জিতিয়েছেন , সুতরাং তাদের দু-চারটা আবদার তো মানতেই হয়,তাছাড়া ভবিষ্যত বলে একখান কথা আছেনা! তাই এসব বাবুজিরা মেতে উঠেন কর্মী পুনর্বাসনের কাজে। নিয়োগের বন্যা ব্ইয়ে দেন সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে। তাদের তদ্বির এর ভারে আর অসহনীয় চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েন আমলারা,আর তাই চুলও বাধা হয়না, ভাত ও রাধা হয়না। পুরো সিস্টেমটাই পড়ছে ভেঙ্গে। জানিনা এ জাতির কপালে কী আছে??


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.