আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘সর্বদলীয় সরকারের আগে প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে না’

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের তৎপরতার মধ্যেই মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগে প্রশাসনে বড় রদবদলের সম্ভাবনা দেখি না। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাইলে রদবদল করা হবে। ”
অবশ্য সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে বলেও মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।  
বিরোধী দল বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানালেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সদস্যদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। আর এই সরকারের অধীনেই হবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।


নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে অথবা চতুর্থ সপ্তাহের শুরুতে এই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। তাদের মধ্যে যারা সর্বদলীয় সরকারে থাকবেন, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না। তাদের আর নতুন করে শপথও নিতে হবে না।
আর এখনকার মন্ত্রিপরিষদের মধ্যে যাদের সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হবে না, তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন প্রধানমন্ত্রী।

    
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি স্পষ্ট করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, জামায়াত বাদে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে।
সভায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একজন মন্ত্রী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।  
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কর্মকর্তাদের রদবদলের বিষয়টি আর সরকারের হাতে থাকবে না।
“তফসিল ঘোষণার পর যদি কোনো রদবদল করতে হয়, নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই তা হবে।

নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে চিঠি দিলে তখন উদ্যোগ নেয়া হবে। ”
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন, চলতি নভেম্বরেই দশম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
আর তফসিল ঘোষণার পর থেকে পরবর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার আগ পর্যন্ত সময়ে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তগুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদপূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকায় আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যেই ভোটের আয়োজন করতে হবে কমিশনকে।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় কোনো ‘গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ সরকার নেবে না।

ওই পরিস্থিতিতেই কাজ করতে ওইদিন সচিবদের প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর সচিব পদে রদবদল আনে সরকার। আর নয় জেলায় প্রশাসক পদে রদবদল আনা হয় ৮ অক্টোবর। এরপর আর কোনো জেলা প্রশাসককেই বদলি করা হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনে এই জেলা প্রশাসকরাই সাধারণত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।


তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মাঠ পর্যায়ে দু’একজন করে প্রায়ই বদলি করা হচ্ছে।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.