আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন কাণ্ডারি চাই- পিশাচের পদতলে সোনার বাংলাকে দেখতে চাই না।

আমি অতি সাধারন ধ্রুব। নিজেকে মানুষ ভাবতে ভালবাসি। ভালবাসি কবিতাকে। কবিতা মূলত আমার নেশা , পেশা ও প্রতিশোধ গ্রহনের হিরন্ময় হাতিয়ার। যেখানে অবলীলায় অবরুদ্ধ আমার বাস্তবতা, সেখানে উপাসনায় জাগ্রত সদাই আমার কবিতা।

বেঁচে থাকতে চাই একটি পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে। ভাল শাহবাগ গন জাগরণ মঞ্চে প্রথম থেকেই বলা হচ্ছে - আমরা কোন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আন্দোলনে আসি নি। তবুও বিষয় টা এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতাদের চক্রান্তের স্বীকার এটা বলাই বাহুল্য। মানুষ কে রাজপথ থেকে তুলে দিয়ে তারা কিভাবে আন্দোলন কে জাগ্রত বলে দাবি করে আমি জানি না! রাজিব হত্যার আগেই প্রধান আহবায়ক ডাঃ ইমরান এইচ সরকার ছাত্রলীগের নেতার সাথে বৈঠক করে আন্দোলন বন্ধের নীল নকশা এঁকে ফেলেন যার প্রথম পদক্ষেপ ছিল সারাদিনের কর্মসূচি উঠিয়ে দুপুর ৩ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয়া। এর পর রাজিবের হত্যার কারনে মানুষ আবার গর্জে উঠলো- যার ফলশ্রুতিতে বেচারা ইমরান এইচ সরকারকে আবারো সারাদিনের কর্মসূচি পালন করতে হোল/(টাকা হজম করতে কষ্ট হোল)।

কিন্তু নির্বোধ মানুষ কে সাত- পাঁচ বুঝিয়ে সরকারের কাছে মিথ্যে আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি পুনরায় শাহবাগ কে খালি করে দিলেন। যার ফলাফল আমরা শুক্রবারের সংঘর্ষের মাধ্যমে পেয়েছি। ধর্মের আশ্রয় নিয়ে সেই সব নারকীয় কীট প্রজ্বলিত হয়েছিল খুনের নেশায়, তাদের এই তাণ্ডব ও আক্রোশের শিকার হতে হয়েছে আমাদের গন মাধ্যম কর্মী ও সাধারন মানুষকে। তারপরের গচিত্রটাও পরিচিত বিনা নোটিশে এক ঝাক তারুণ্য দীপ্ত যোদ্ধা সমবেত হোল শাহবাগে ,চাইল জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে ফেলার- শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলার বিচার। ঠিক সেই মুহূর্তে আবারো নায়কের মুখোশ পরে আবির্ভূত হোল ইমরান এইচ সরকার ঘোষণা দিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে 'আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদক কে গ্রেফতার করতে হবে।

এই কথা বলে তিনি আবারো রনেভঙ্গ দিলেন! ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে কিন্তু এখনও 'আমার দেশ' পত্রিকার সম্পাদককে গ্রেফতার করা হয় নি, তবুও কেন এখন ইমরান এইচ সরকার নীরব!? শাহবাগের গণআন্দোলন এখন পুরোপুরি নীরব। কথা ছিল, এক কথা এক দাবি - রাজাকারের ফাঁসি দিবি। আজ সেখান থেকে নতুন নতুন আল্টিমেটামের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রথম দাবি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে , এখন জামায়েত- শিবির নিষিদ্ধ করা বাদ দিয়ে জাগ্রত জনতা নিজেদের আস্তিক - নাস্তিক প্রমানে ব্যাস্ত। আর যেই আল্টিমেটাম গুলো দেয়া হচ্ছে তার বাস্তবায়নে সরকার কে কোন পদক্ষেপ আজ অব্দি আমি নিতে দেখি নি। লাকী আকতার,জিয়াউর রহমান আর আরিফ জেবতিক দিয়ে যদি এই গন অভ্যুত্থান চলত তাহলে আমরা ৫ ই ফেব্রুয়ারিতে কাদের মোল্লার লাশ নিয়ে বিজয় মিছিল করতে পারতাম।

কিন্তু তা হয় নাই। এটা সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন এটা কারো ইচ্ছা - অনিচ্ছার উপর ভিত্তি করে চলতে পারে না। কিছু প্রশ্ন রয়েই যায়- যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে সরকার ইচ্ছে করে লেন্দি করা সত্ত্বেও কেন শাহবাগের আহবায়করা চুপ করে আছেন? রাজিব কে শহীদ উপাধি দেয়ার মধ্য দিয়ে কি রাজিবের অধ্যায়ের ইতি হয়ে গেছে? কে বা কারা তাকে খুন করেছে এই বিষয়ে কেন কোন আল্টিমেটাম দেয়া হচ্ছে না ? অরাজনৈতিক আন্দোলন বলা সত্ত্বেও কেন ছাত্রলীগ শাহবাগের মূলমঞ্চে সোচ্চার? পুলিশের সামনে শহীদ মিনার ভাংচুর করা সত্ত্বেও পুলিস কেন নিরব? বিষয় টা খুব সহজ, আমরা এখন গাধা হয়ে মুলা খাচ্ছি, আর আমাদের মূলার যোগান দিচ্ছে সরকার। ৪২ বছর ধরে যা হয়ে আসছে ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি করার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করা হয়ে গেছে, এবং আমরা নিজেদের অজান্তেই তাদের সৈন্যতে পরিনত হয়েছি। এটা খুব সহজ একটা সমীকরণ যাহাতে স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে, সরকার আমাদের দেশপ্রেমের গায়ে কালিমা লেপে দিচ্ছে, এবং আমাদের সৎ সাহসের সুযোগ নিচ্ছে! প্রশ্ন কিভাবে? উত্তর টা আমরা একটু ভাবলেই দিতে পারি- পদ্মা সেতু থেকে শুরু করে, শেয়ার মার্কেটে ধস, সাগর-রুনি হত্যা, বিশ্বজিৎ হত্যা ও ডেসটিনির টাকা হাতিয়ে নেবার ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকার পুরোপুরি বেকায়দায় পরে গিয়েছিল, মানুষের এই বিস্ফুরণের মধ্য দিয়ে চাপা পরেছে সব কিছু, সামনে নির্বাচন -আছে অনেক ঠেলা।

বি। এন। পি নিজেদের অধিনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিল এবার আওয়ামীলীগ ও ঠিক তাই করতে চাইতেছে। এবং আমাদের এই দাবি টাকে অস্র করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের প্রবল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিছিয়ে দিয়েছে বিচার করছে নতুন নতুন আইন! ট্রাইব্যুনালের সেই প্রহসনের রায়ও ছিল তাদের পরিকল্পনার একটি বড় অংশ।

বি। এন। পি 'র জন্য জনগনের সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা শুন্যের কোঠায়। যারা দেশদ্রোহী হিসেবে নিজেদের লক্ষাধিক বার প্রমানিত করেছে তাদের যারা সমর্থন করবে তারাও দেশদ্রোহী। সেই দিক থেকে রাজপথে বি।

এন । পি নিতান্তই নোংরা একটি কীট যাদের একূল ও নাই অকুল ও নাই। এই রাজনৈতিক দল টি এখন পর্যন্ত জামায়েত- ইসলামী কে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে নিজেদের পাকিস্তানের দোসর হিসেবে বারবার প্রমানিত করে চলেছেন। ওদের মত নোংরা রাজনৈতিক দলের আলাপ ছেড়ে মূল বিষয়ে আসি। আওয়ামীলীগ ঠিক এই সুযোগ টাই গ্রহন করার চেষ্টা করছে।

আমাদের যেই সব সংগ্রামী বন্ধুরা বলছেন তারা মন্ত্রী / এম,পি হওয়ার লোভে ওখানে যান নি কে জানে সমাবেস বন্ধ করে হয়তো তারাই সেই দিবাস্বপ্ন দেখে চলেছেন। এবার আমার কথা বলি , সংগ্রাম টা আমার কাছে ছিল অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম, চেতনাকে ধারন করে ৪২ বছরের কলঙ্ক মুছে ফেলার সংগ্রাম, কিন্তু হায়, সেখানেও ঢুকে পরেছে কিছু ভাইরাস। রাজনীতির নামে যারা লুটে পুটে খাচ্ছে এই দেশকে। আর তাদের মদদ দিচ্ছে আমাদের সোনার সন্তান রুপী নরপিশাচ ইমরান এইচ সরকার ও তার চ্যালারা। শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ পেইজে হাজার হাজার লাইক পেলেই কিন্তু জনমত পাওয়া যায় না।

স্পষ্ট ভাবে একটা কথা বলতে চাই, যেই শকুনের দল আমার সোনার বাংলাকে কলঙ্কিত করেছে তারা বাংলাদেশে থাকতে পারবে না, বাংলার মাটিতে কোন জামায়েত- শিবির বলতে রাজনৈতিক দল থাকবে না, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অবিলম্বে রাজাকারের ফাঁসি নিশ্চিত করবেন আর যতদিন পর্যন্ত এই দাবি না মানা হবে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আর আমাদের এই সংগ্রাম কে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য এইসব ইমরান এইচ সরকার রুপী পতঙ্গ কে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এই দেশ কারো বাপের সম্পদ না, শাহবাগ কেউ গায়ের জোরে দখল করে ফেলে নি, ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই স্বাধীনতা, কারো অর্থলোলুপ মনের কাছে তাকে মাথা নত হতে দিবো না। । জয় বাংলা।

। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.