আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আয়নার সামনে পর্ব-৩

আমি সত্য বলতে ও শুনতে ভালবাসি।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম অনেক আশঙ্কা আর দিধা নিয়ে আপনাদের স্বাগতম পর্ব -৩ এ। আশঙ্কা এই কারনে যে,আমার দৃশটিকোন আপনাদের সামনে ঠিক মতো তুলে ধরতে পারব কি না। দ্বিধা এই কারনে যে,অদম্য ঢেউয়ের মতো একেকটি বিষয় আমাকে ঝাপটা দিয়ে যাচ্ছে। কোথা থেকে শুরু করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।

আমি কখনো লেখালেখি করিনি। আমার লেখা অপরিপক্ক হবে এটাই স্বাভাবিক। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ সুভানা ওয়া তা'আলা আমাকে আজকের লিখার বিষয়গুলোকে সূচারুভাবে উপস্থাপন করার এবং পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

__________________________________________________________ আপনি কখনো ডুবন্ত মানুষকে দেখেছেন?ডুবন্ত মানুষ কি করে জানেন? তার আসে পাশে যা পায় (খড় কুটো হলেও) তাই আঁকড়ে ধরে ভেসে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু তখন কি হয় যখন তাকে কেউ বাঁচাতে যায়?যে মানুষটি তাকে বাচাঁতে যায় ডুবন্ত মানুষটি তাকে প্রাণের ভয়ে এমনভাবে আঁকড়ে ধরে যে রক্ষাকারীর ও ডুবে মরার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য যখন কোন ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করতে যাওয়া হয় তার ঘাড়ের কাছে কাপড় ধরে টেনে আরেক হাতে সাঁতার কাটতে হয় যেন দু'জনই ভেসে থাকতে পারে। কিন্তু যদি সাঁতার না জানা ব্যক্তি ডুবন্ত মানুষটিকে উদ্ধার করতে যায় তখন কি হবে ভেবে দেখুন তো। আমাদের সমাজের অবস্থা ডুবন্ত মানুষের মতো।

আর আমরা তথাকথিত সমাজ সংস্কারক যারা নিজেরাই সাঁতার জানিনা। _____________________________________ এই উদাহরণের উদ্দেশ্য একটাই। আমরা যেন এই কথাটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি-নিজে সুরক্ষিত না হয়ে ত্রানকর্তারূপে আবির্ভুত হলে এই ডুবন্ত সমাজ আমাদের নিয়েই ডুববে অথচ আমরা টেরও পাবনা। আমাদের যুব সমাজ ড্রাগ,ধর্ষন,অবৈধ সঙ্গম,নারী নির্যাতন এবং এই ধরনের আরও অনেক জটিল ব্যধিতে আক্রান্ত। আপনি কি সবকিছু একেবারে বন্ধ করে দিতে পারবেন? পারবেন যুগ যুগ ধরে চলে আসা নষ্ট বিশ্বাসগুলোকে নিমিষেই উৎপাটন করতে? পারবেন ড্রাগের চক্রগুলোকে এক রাতে গায়েব করে দিতে? সমস্ত পর্ন সাইটের access block করে দিতে? সব পুরুষকে বোঝাতে কোন নারীর দিকে কুদৃষ্টি না দিতে? পতিতালয়ে না যেতে? বউ না পেটাতে? ইভ টিজিং বন্ধ করতে? আমি এই সবগুলো প্রশ্নের মধ্যে থেকে আজ ইভ টিজিং কে বেছে নিলাম।

বাকিগুলোর উত্তরও খুঁজব ইনশাআল্লাহ। তবে আজ নয়। আমার আগের লেখাগউলো পড়ে অনেকেরই হয়তো মনে হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরাই ইভ টিজিং এর পেছেনে দায়ী। কথাটা পুরপুরি সত্য না। তবে এটা সত্য যে নারীরা এই ভয়াবহ সমস্যা রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করতে পারে।

আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে, যে সব ভাইদের মধ্যে মূল্যবোধের ছিঁটেফোঁটাও অবষিষ্ট আছে তারা কোন অবস্থাতেই এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারেননা। তারা আত্নসংবরণ করতে পারেন। আলহামদুলিল্লাহ। তাদেরকে আমার সাধুবাদ। ________________________________________________ আল-কুর'আনে সূরা আহযাব এ স্পষ্ট করেই বলা আছে যে পর্দা মেয়েদের রক্ষা করে সেই সব পুরুষদের থেকে যাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত।

".........যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে পর পুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলোনা যে,যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। বরং তোমরা সম্মানজনক ভাবে কথা বলবে। " (----লক্ষ্য করুন যে,যাদের মনটা কলুষিত মেয়েদের কোমলভাবে কথা বলাও কতটা বিপদজনক হতে পারে সে ক্ষেত্রে। অর্থাৎ মেয়েদের জন্য কন্ঠ স্বরের পর্দা করাও কতোটা জরুরী। ) কিন্তু আমার প্রশ্ন হল কাদের অন্তর ব্যাধিগ্রস্ত এটা আমরা কিভাবে বুঝব? কোন যন্ত্র আবিষ্কার হয়েছে কি এই নারীলিপ্সা পরিমাপ করার জন্য? এ জন্যই সার্বজনীন ভাবে সকল না-মাহরাম(যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক সম্ভব)দের সামনে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে।

আপনি নিশ্চই ভাবছেন এটা শুধু নারীদের জন্য প্রযোজ্য। না , একদম না । আল্লাহ সু্বহানা ওয়া তা'আলা কার সাথে কখনোই অন্যায় করেন না। কুর'আনে প্রথমে পুরুষদের পর্দার আয়াত নাযিল হয়েছে। সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে।

"বিশ্বাসী পুরুষদের বল তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সমূহকে হেফাযত করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম;ওরা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবহিত। " কত জন পুরুষ একজন নারীর দিকে চোখ পড়লে ফিরিয়ে নেয়? আমদের দেশে এমন কোন আইন আছে কি যাতে এর শাস্তির বিধান রয়েছে? এমন কোন আইন হবার সম্ভাবনাও কি আছে? যাই হোক ৩১ নম্বর আয়তে এর পর নাযিল হয় মেয়েদের পর্দার কথা। "বিশ্বাসী নারীদের বল,তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান রক্ষা করে;তারা যা সাধারনত প্রকাশ করে থাকে(মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি পর্যন্ত,মতান্তরে চোখ আর হাতের কব্জি পর্যন্ত) তা ছাড়া তাদের আভরণ প্রদর্শন না করে,তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দ্বারা আবৃত করে,তারা যেন তাদের স্বামী ,পিতা,শ্বশুর,পুত্র,স্বামীর পুত্র(অন্য বিবাহের),ভ্রাতা,ভ্রাতুষ্পুত্র,ভগিনীপুত্র,সেবিকা(দাসী) যারা তাদের অধিকারভুক্ত,যৌনকামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে আজ্ঞ বালক ব্যতীত কারও নিকট তাদের আভরণ প্রকাশ না করে,তারা যেন তাদের সাজসজ্জা ও আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে; হে বিশ্বাসীগণ ! তোমরা সকলে আল্লাহর সামনে তওবা কর,যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। " একবার ভেবে দেখুন সকল জ্ঞানীর চাইতে বড় জ্ঞানী আল্লাহ সুভানা ওয়া তা'আলা কেন মেয়েদের পর্দার আয়াতে এতগুলো কথা বল্লেন। আর এগুলোর সাথে আগের আয়াতের সম্পর্কই বা কি।

লক্ষ্য করে দেখুন আমাদের সৃষ্টিকর্তা ,যিনি আমাদের মনস্তত্ব সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাত তিনি পুরুষদের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলার পর পরই এই আয়াত নাযিল করছেন যাতে সর্বসম্মখে নারীর সৌন্দর্য প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কারন নারীর সৌন্দর্য পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষন করে(যাতে আল্লাহর বারন আছে)। অর্থাৎ একজন নারী যখন সর্বসম্মখে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করে তখন সে দু'টি গুনাহ করল। ১। আল্লাহর আদেশ অমান্য করল।

(নিজে গুনাহগার হল) ২। পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষন করল। (আল্লাহ পুরুষদের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলেছেন। তা পরোক্ষভাবে ব্যহত করে তার পাপেরও ভাগীদার হল) __________________________________________________________________________ এবার একটু ফ্ল্যাশ ব্যাক হয়ে যাক। আমরা আগেই জেনেছি যে মিডিয়া,ইন্টারনেট জগত বেশিরভাগ মানুষের মন কে কলুষিত করেছে।

এমতাবস্থায় দৃষ্টি সংযত করার কথা হয়তবা আমরা চিন্তাই করতে পারিনা । কারন আমাদের অধিকাংশেই কুর'আন এর অর্থ পড়ার চেষ্টাও করিনি কখনো। মিডিয়া কিংবা ইন্টেরনেট জগতের দুরন্ত ঘোড়ায় লাগাম দিতে পারেনি আমাদের সমাজ ব্যবস্থা বা প্রশাসন। এখন বলুন আমরা মেয়েরা যদি পর্দা না করি তবে এই সমাজ কোথায় গিয়ে ঠেকবে? আমরা যদি properly পর্দা না করি তবে আমাদের দিকে যেকোন পুরুষের চোখ পড়তে পারে। আগে এই বেপারটা বন্ধ করতে হবে।

আপনি বলতে পারেন যে,তাতে কি? virtual জগতের নারীরা তো আর পর্দা করবেনা। অর্থাৎ পাপ সমূলে উৎপাটিত হবেনা। ঠিকই বলেছেন। কিন্তু এতে পাপের বিনাশ না হলেও কমে যাবে। শুধু পুরুষের না।

পর্দা করার কারনে তাদের প্রলুব্ধ করার পাপ থেকে নারীরাও বেঁচে যাবে। অর্থাৎ আমরা সাঁতার শিখে যাব। এর পর আস্তে আস্তে একটা সামজিক আন্দোলন গড়ে তোলা যেতে পারে। তার অনেক উপায় আছে। ১।

বাড়ীতে নিয়ম থাকতে হবে যে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় ঘরে দুয়ার দেয়া যাবে না। ২। আমাদের সহপাঠীরা যারা পর্ন দেখে সুযোগ পেলেই তাদের কম্পিউটারে বসে যদি কোন অশ্লীল content থাকে তা delete করে দিতে পারি। ৩। রুম মেটরা নিয়ম করতে পারেন যে রুম এ আজে বাজে কিছু দেখা যাবেনা।

৪। যারা সাইবার ক্যাফে তে যান সময় নিয়ে একটু ফোল্ডার গুলো চেক করবেন। আপত্তিকর কিছু পেলে delete করে দেবেন এবং ইনচার্জকে বলে আসবেন ভবিষ্যতে এমন কিছু দেখলে আপনি পুলিশে জানবেন। ৫। বন্ধুরা আজে বাজে আলোচনা করলে চেষ্টা করবেন আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দিতে।

সুন্দর কোন গল্প বলতে পারেন। নবীদের এবং সাহাবাদের জীবনের অনেক চমকপ্রদ গল্প আছে। অথবা কোন joke শুনিয়ে দিতে পারেন। ৬। যাদের ছোট ভাই বা বোন আছে তারা কোথায় যায়,কাদের সাথে মেশে এসব ব্যপারে খোঁজ রাখুন।

বই-পত্র,কম্পিউটার চেক করুন তবে অবশ্যই তার/তাদের অনুপস্থিতিতে। আপত্তিকর কিছু পেলে না শাসিয়ে বুঝিয়ে বলুন। ৭। সবচেয়ে বড় কথা হল প্রত্যেক পরিবারে ধর্মীয় মূল্যবোধ পূনরুদ্ধার করতে হবে। আপনি যদি হস্টেল এ থাকেন তবে প্রতিদিন আপনার রুম মেটদের নিয়ে বশে কুর'আনের অর্থ পড়ে শোনাতে পারেন।

কেউ যদি শুনতে না চায় তবে নিজে নিজেই একটু জোরে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ কুর'আন পড়ার সময় কেউ আজে বাজে কোন কাজে engage হবে না। ৮। আপনার সহপাঠীকে অর্থ সহ কুর'আন উপহার দিতে পারেন অথবা হাদিস/আয়াতের অর্থ লিখে সুন্দন কার্ড বানিয়ে দিতে পারেন। ৯।

ঘরে দেয়ালিকা লাগাতে পারেন যাতে আয়াত/হাদিস লিখা থাকবে। ১০। ক্লাসের সবাই মিলে ফান্ড করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার বানিয়ে লাগাতে পারেন। বেছে নিন যেখানে ছেলেরা/মেয়েরা জ়টলা পাকিয়ে আড্ডা দেয় সেখানে হিজাব সম্পর্কিত হাদিস/আয়াত সম্বলিত পোস্টার লাগাতে। ১১।

আপনার(মেয়েরা) যে বান্ধবিটি পর্দা করেনা তাকে বোরকা গিফট করতে পারেন সাথে সুন্দর একটা কার্ড দিয়ে দিন । ১২। আপনার বন্ধু যদি কোন মেয়ের দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তাকে বুঝিয়ে বলুন এটা ঠিক না। সে আপনাকে বলতে পারে ,"নিজের চরকায় তেল দে/দাও। " মন খারাপ করবেননা।

তাকে বুঝিয়ে বলুন যে একজন মুসলিম হিসেবে এটা আপনার দায়িত্ব। অর্থাৎ আপনি নিজের চরকাতেই তেল দিচ্ছেন। তাকে আরও বলুন আপনি যা বলছেন সেটা আপনার কথা না। আল্লাহর কথা এবং তার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিন- "তুমি/তুই কি আল্লাহর কথা অমান্য করবি/করবে?" _________________________________________________ গত পর্বে আপনাদেরকে কিছু প্রশ্নের উত্তর এ পর্বে দেব বলেছিলাম। তার মধ্যে ১ম টি ছিল -মেয়েদেরকে উত্ত্যক্তকারীরা কেন তাদের সম্মানের চোখে দেখেনা? উত্তর খুব সহজ।

কথায় বলে নিজের সম্মান নিজের কাছে। এটা কোন মেয়ের কাছেই অজানা নয় যে রাস্তাঘাটে বখাটেরা ওঁত পেতে থাকে। কি দরকার সেজেগুজে বের হয়ে তাদের চোখের খোরাক হবার? সম্মান করা তো দূরে থাক তখন তারা আমাদের চোখ দিয়ে গিলতে থাকে। আমাদের একটুও ঘেন্নাও লাগেনা। আমরা কি নিজেদেরকে এতটা সস্তা করে ফেলেছি? "রূপবানে নাচে কোমর দোলাইয়া"-এই গানের সাথে নেচে নেচে নবীন বরন করলে সহপাঠীরা তো দূরে থাক নবীনরাও আমাদের সম্মান করবেনা।

বেশিরভাগ বখাটেরা লোলুপ দৃশটিতে তাকিয়ে আর কিছু আশ্রাব্য টিপ্পনি কেটেই ক্ষান্ত হয়ে যায়। কিন্তু আমরা ততক্ষন গায়ে মাখিনা যতক্ষন না তারা পথ আগলে দাঁড়ায় অথবা জোর জবরদস্তি করে। কেউ আমাদের "hi sexy" টাইপ কথা বার্তা বললে,আপাদমস্তক পর্যবেক্ষন করলে কেন আমরা এটাকে ইভ টিজিং বলিনা বা গায়ে মাখিনা? আমি এর নাম দিয়েছি ছদ্দবেশে ইব টিজিং। Rape জন্য মৃত্যুদন্ড আছে। Eye Rape এর কোন শাস্তি দেবে এ প্রশাসন? আপনাদের কাছে এটা বন্ধ করার জন্য পর্দা করা ছাড়া কোন better option আছে কি? কেন এসব বখাটেদের চোখের খোরাক হব আমরা? এদেরকে শুধরাতে হলে আগে নিজেকে সুরক্ষিত হতে হবে।

আমার ২য় প্রশ্ন ছিল -কেন আমদের দেশে পুরুষ যৌন নিপীড়নের ঘটনা শোনা যায় না? এর উত্তরও খুব কঠিন নয়। আমাদের যুব সমাজের অনেকাংশই মূল্যবধের অবক্ষয়ে ধুঁকছে। নারীর আহবান উপেক্ষা করার মত চারিত্রিক দৃঢ়তা অনেকেরই থাকেনা। তার ফলাফল স্বরূপ আমরা আজ যত্রতত্র অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা শুনতে পাই। ৩য় প্রশ্ন ছিল -এই সব বখাটেদের সাইকোলজি কি রকম? উত্তর বোধয় গত পর্বেই দিয়েছি।

শরীর কেন্দ্রিক। আমরা মেয়েরা কিভাবে বুঝব যে আমাদের আশেপাশের ছেলেরা আমাদের কি নজরে দেখে? কুৎসিত কোন দৃষ্টি আমাদের লেহন করুক এটাই কি আমরা চাই? আমি আবারও বলছি আমি বিশ্বাস করি নারীনা এই সামাজিক ব্যাধি রোধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখতে পারে। সবচেয়ে ভাল উপায় হল নিজেদেরকে সেই দৃষ্টির গোচর না করা। এটা আমার কথা না। আপনাকে,আমাকে,পুরুষকে,নারীকে,এই বিশ্ব জগতকে যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই পবিত্র সত্তার কথা।

পারবেন তাঁর চেয়ে কোন better solution দিতে? _______________________________________________

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।