আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আচার আচরণে হিটলার ছিলেন অতিশয় ভদ্র এবং নম্র



ডিজিটাল দিনাজপুর : নাৎসি একনায়ক এডলফ হিটলার লোকের সঙ্গে আচার-ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছিলেন নম্র। কিন্তু সভা-বৈঠকে অন্য চেহারা দেখা যেত তার। মতের উল্টো হলেই রেগে টেবিল চাপড়ে কথা বলতেন। তার দিকে কেউ বেশি তাকাক, সেটাও অপছন্দ করতেন হিটলার। নাৎসি নেতা সম্পর্কে প্রকাশিত নতুন কিছু নথিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় মহাফেজখানা শুক্রবার এসব নথি প্রকাশ করে। শুয়েটজ ওবারনিগ নামের এক তরুণ যুদ্ধবন্দীর বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ১৯৪৩ ও ১৯৪৪-এর মধ্যে জার্মানির ব্যাভারিয়ান আল্পসের ওবারসালজবার্গে অবস্থিত হিটলারের এক গোপন আস্তানায় থাকার সময় শুয়েটজ ওবারনিগ এ ধারণা পান। তখন তার বয়স ছিল ১৯। নতুন প্রকাশিত নথিপত্রে হিটলারের দৈনন্দিন কাজের একটা ফিরিস্তি দেয়া হয়েছে।

তাতে দেখা গেছে, সকাল ১০টার দিকে ঘুম থেকে উঠতেন তিনি। নাশতায় মারমালেড মাখিয়ে রুটি খেতেন। সঙ্গে থাকত কফি। ওবারনিগ জানান, বিকেলে দর্শনার্থী ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতেন হিটলার। গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতেন।

অনেক সময় বিছানায় যেতেন ভোর ৪টায়। নথিতে দেখা যায়, ওবারনিগ বলেছেন, হিটলার তার দিকে কেউ নজর দিক এটা একদম সইতে পারতেন না। দেহরক্ষীদের বলা ছিল নিরাপত্তার কাজ ঠিক ঠিক মতো করতে কিন্তু তারা নিজেরা যেন হিটলারের সামনে তেমন একটা না পড়েন। নথিপত্রে আরো দেখা গেছে, অস্ট্রিয়ার আল্পসে হিটলারের কথিত এক গোপন আস্তানার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিল মিত্রবাহিনী। বলা হতো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও (যাতে পরাজয় হয় হিটলারের নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তির) ওই আস্তানা থেকে শেষ একটা মরণ কামড় দিতে পারেন হিটলার।

এপি। সূত্র :: দিনের শেষে,http://www.deenersheshey.com/content/2010/11/06/news0932.php

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।