আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছু চীনা ভূত:

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/

কিছু চীনা ভূত: শিশু ভূতঃ এই ভূতগুলি একেবারে নিরিহ ভূত। শিশুরা অবশ্য নিরিহই হয়। এরা শুধু একটাই কাজ করে, নিশুতি রাতে শকুনের কান্না নকল করে কাঁদে। বোঁচা ভূতঃ বোঁচা ভূতগুলি হয় ছোট-খাটো।

এদের নাক থাকে চীনাদের চেয়েও অনেক বোঁচা, প্রায় নাই বললেই চলে। রাতের বেলা নির্জন রাস্তায় একাকী কোনো পথচারী পেলে তারা নাকিসুরে গুনগুন করে গানগায়। খুকী ভূতঃ মহিলা সম্প্রদায়ের এই ভূতেরা তরুনী বয়সের হয়। এদের সবচেয়ে লক্ষনিয় বিষয় হচ্ছে “চোখ”। এদের চোখ থাকে ট্যারা।

আর এই ট্যারা চোখে তাকিয়ে ছেলে-ছোকরাদের মাথা ঘুরিয়ে দিতে ওস্তাদ এই খুকী ভূতেরা। দেঁতো ভূতঃ নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এই ভূতদের বড় বড় দাঁত আছে। বড় বড় দাঁত থাকলে কি হবে, এরা কিন্তু মোটেও কামড়ায় না। কিছুটা বোকা এই ভূত শুধু গাছের ডালে পা লটকে নিচে মাথা ঝুলিয়ে হি হি করে হাসে দাঁত বের করে। এই দেঁতো হাসি রাতের বেলা একাএকা যে দেখেছে সে বুঝেছে- কত হাসিতে কত দাঁত।

সুড়সুড়ি ভূতঃ সুড়সুড়ি ভূত গুলি খুই আমুদে ভূত। এদের প্রধাণ কাজই হচ্ছে সুড়সুড়ি দিয়ে সকলকে আনন্দ দেয়া। এদের বিশাল লম্বা লম্বা হাত থাকে, আর তাদের শুরীর হয় তুলতুলে নরম। রাতের বেলা এই বিশাল লম্বা নরম হাতগুলি জানালা গলিয়ে সুয়ে থাকা বা ঘুমন্ত মানুষের বগলের নিচে সুড়সুড়ি দিয়ে হাসাতে চায়। এই হাসির প্রচেষ্ঠাতে যদি আপনি ভয় পান সে দোষ নিশ্চই সুড়সুড়ি ভূতের নয়।

এই অংশ টুকু অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়। যারা এখন প্রেম করছেন তাদেরও এই অংশটুকু পড়ার দরকার নেই। যারা বিয়ে করে ফেলেছেন তাদের পড়ে কোনো ফায়দা হবে না আফসোস ছাড়া। তাহলে পড়বে কারা? যারা এখনো প্রেমে পড়েননি শুধু তারা। তবে “অপ্রাপ্তবয়স্করা” ছাড়া বাকি সকলেই পড়তে পারেন নিজ দায়িত্বে।

প্রেমের ভূতঃ এরা ছেলে বা মেয়ে দু’ধরনেরই হয়ে থাকে। মোমের মত নরম মেয়ে প্রমের ভূতগুলির মাথায় থাকে কোঁকড়ানো কালো লম্বা চুল, কোমর পর্যন্ত লুটিয়ে পরে। নাভির উপরের অংশের জামা বলতে পড়ে তারা শুধু ব্রেসিয়ার, যা অনেক কষ্টে কোনো রকমে ধরে রাখে স্তনযুগল, তবুও অর্ধেক বেরিয়ে থাকে দুই স্তনের ভাঁজ। আর নাভির নিচের অংশে থাকে একটুকরো সবুজ রেশমী কাপড় জড়ানো। নাভির নিচের লজ্জা ঢাকতে গিয়ে নিজেই লজ্জা পায় রেশমী কাপড়ের ছোটো টুকরটি।

এরা একবার কারো ঘাড়ে চাপলে সারা জীবনে আর নামে না। আর সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে প্রেমের ভূত যদি আপনার ঘাড়ে চাপে তাহলে আপনি ছাড়া অন্য কেউই আপনার প্রেমের ভূতকে দেখতে পাবে না, যদিও প্রমের ভূত সদাসর্বদাই আপনার সাথেই থাকবে। ছেলে প্রেমের ভূতগুলি কেমন হয় আমার জানা নেই, আপনাদের জানা থাকলে শেয়ার করতে পারেন। সূত্রঃ “When the Ghost Loves” by পু সুং লিং। (খসরু চৌধুরীর অনুবাদ “প্রেমের ভূত” অবলম্বনে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।