আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পায়ের দুর্গন্ধ যাচ্ছে না!

ভালোকিছুর সন্ধানে নিরন্তর হেঁটে চলা পথের এক ক্লান্ত পথিক ... আমি।

জুতা পায়ে দিলে অনেক সময় কারও কারও পায়ে দুর্গন্ধ হয়। যার পা থেকে দুর্গন্ধটা বের হয়, সে হয়তো গন্ধটা ততটা অনুভব করে না; কিন্তু বন্ধুবান্ধব বা আশপাশে যারা থাকে, তাদের নাকে এই গন্ধটা বড় বেশিই লাগে, ঘরময় হয়ে যায় বিশ্রী গন্ধটা। জুতা বা মোজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে নাক চেপে ধরে পালাতে পারলে তারা বাঁচে। যার পায়ে দুর্গন্ধ, তাকে তখন বেশ বিব্রতই বোধ করতে হয়।

এটি তার সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, উপায় খোঁজে পরিত্রাণের। কেন এই দুর্গন্ধ আমাদের শরীরের ত্বকে আছে প্রায় ২০ লাখ থেকে ৫০ লাখ ঘর্মগ্রন্থি। এসব গ্রন্থির সংখ্যা পায়েই বেশি, প্রায় পাঁচ লাখ। পদযুগল যখন জুতার ভেতর থাকে, তখন অনেকের ক্ষেত্রেই এগুলো বেশ ঘামে। শরীরের ঘামের সঙ্গে বের হয় পানি, খনিজ লবণ, তেল বা চর্বিজাতীয় পদার্থসহ শারীরবিপাকীয় অনেক পদার্থ।

পায়ের ত্বকে থাকা হাজারো জীবাণু বেঁচে থাকা ও বংশ বৃদ্ধির জন্য ঘর্মাক্ত পায়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ঘামের এসব জিনিস খেতে ্উঠেপড়ে লেগে যায়। এর ফলে তৈরি হতে থাকে নানা উচ্ছিষ্ট। এদের মধ্যে আইসোভ্যালেরিক এসিড অন্যতম। এই আইসোভ্যালেরিক এসিডের জন্যই পায়ে দুর্গন্ধ হয়। কীভাবে দূর বা প্রতিরোধ করা যায়? পায়ের দুর্গন্ধ দূর করতে বা প্রতিরোধ করতে পা ও জুতা-মোজার পরিচ্ছন্নতাই প্রথম কথা।

সে লক্ষ্যে নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে: পা পরিষ্কার রাখুন। প্রতিদিন একাধিকবার পা ধুয়ে নিন। সাবান-পানি দিয়ে ধোয়াই ভালো। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ হলে আরও ভালো। হালকা গরমপানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন।

এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমবে। লেবুর রস বা দম দেওয়া ঠান্ডা কালো চা পানিতে মিশিয়ে সে পানিতে কয়েক মিনিট পা ভিজিয়ে রাখলে লেবুর রস বা চায়ের এসিড জীবাণু নষ্ট করবে। জুতা বা মোজা পায়ে দেওয়ার আগে পা ভালো করে শুকিয়ে নিন। দীর্ঘক্ষণ পরে থাকার কারণে জুতার ভেতর পা ভেজা ভেজা লাগলে কিছুক্ষণ জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন।

সুতির মোজা পায়ের ঘাম শোষণ করে নিতে পারে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, ফলে পা ঘামবে কম।

বাসায় ফিরে জুতা শুকাতে দিন, এক রাতে ভালোভাবে নাও শুকাতে পারে, রোদে দিন। তাই এক জোড়া জুতাই পর পর দুই দিন পায়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জুতার ভেতর ট্যালকম পাউডার, বরিক এসিড পাউডার বা দুর্গন্ধনাশক ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের নখ ছোট রাখুন। জীবাণু লুকিয়ে থাকার জায়গা যাবে কমে।

দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কমান। এসবে শরীর ঘামে বেশি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।