আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলতি পথে -০১



সকালে অফিস যাবার পথে নিয়মিত ভাবেই হালকা ঘুমের আসর জমাই, অনেকটা রুটিন হয়ে গেছে উত্তরা থেকে বেরিয়ে এয়ারপোর্ট পৌছেই জামে দাড়িয়ে থাকা হকারের কাছ থেকে ২ টাকার সংবাদপত্র কেনা অতঃপর চোখ বুলাতে বুলাতে ......................। এইতো সেদিন অফিসের পথে যাবার সময় হালকা ঘুমের প্রস্তুতি পর্ব শেষ করে যেইনা নিদ্রাদেবীর কাছে সমর্পিত হবো এমন সময় জোড়াল বাঁশি ফুররররররররর... ধড়ফড় করে উঠি ব্যপার কি, আমাদের গাড়ি বিশ্বরোড-এর মোড় মাত্র ক্রস করছে একেবারে এনএফএস-২-এর অনুকরনে (ড্রাইভারকে দেখে মনে হলো মাত্র গ্রান্ডপ্রিক্স জিতেছে ট্রাফিকের হাত এড়িয়ে বের হতে পেরে) এবং পিছন ফিরে দেখতে পেলাম দ্রুতগামী এক বাসের সামনে (একেবারে সিনেমার সদ্য নায়িকা বিরহে কাতর প্রেমিকের মতো) ট্রাফিক পুলিশ সামান্য একখানা লাঠি ও ঠোটের মাঝে বাঁশি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে; ফলাফল হাতে হাতে, বাসটি কড়া ব্রেক করে থেমে গেল। পুনরায় ঠোটের বাঁশি দিয়ে বাড্ডা/রামপুরার গাড়িকে সামনে এগিয়ে যাবার ইশারা করে। অবাক হয়ে পথের দিকে তাকিয়ে থাকলাম এই আমার স্বপ্নের রাজধানীর রাস্তা তাও আবার সবচেয়ে প্রশস্ত ও ব্যস্ত জনপথ। মনটা খারাপ হয়ে গেল এই ট্রাফিক পুলিশদের কথা ভেবে, নিজেকে এক একটা যন্ত্রদানবের সামনে এভাবে তুলে ধরে থামাতে হয় এবং সারাটা দিন দুই পায়ের উপর ঠায় দাড়িয়ে থেকে ডিউটি করতে হয় এবং তারপরও আমাদের কাছ থেকে খুব সামান্যই সহমর্মিতা পেয়ে থাকে বা পেয়ে থাকে আমাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা। গাড়ি এগিয়ে চলে বনানীর দিকে, মোড় ক্রস করার সময় আরও অবাক হয়ে দেখি কি অদ্ভুত এক দৃশ্য, পথের ডিভাইডার এর প্রতিটি ফাঁকে একজন করে পুলিশ সেপাহী দাঁড়ানো সন্মানিত স্বাধীন জনতার রাস্তা দৌড়ে পার হওয়া ঠেকাতে। মোড়ে দৃশ্য ছিল সবচাইতে অভাবনীয় একজন টাই পড়া অতি স্মার্ট যুবককে পিছন থেকে জামা ধরে টেনে রেখেছে এক অতি কতব্য পরায়ন পুলিশ ফুটওভার ব্রীজ বাদ দিয়ে রাস্তার মাঝ দিয়ে পার হরার চেষ্টা করার জন্যে। আরও অবাক হবার দৃশ্য সামনের (মাত্র ৫০ গজ) ফুট ওভার ব্রীজ -এ ১০/১২ জন পথচারী উপর থেকে পথ আটকিয়ে রাস্তার সৌর্দয্য উপভোগের চেষ্টা করছে যেন এটা পর্যটনের এক নতুন চিহ্নিত স্পট। পরিস্হিতিতে শুধু অসহায় দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এল মনেহলো এই পথগুলি আসলে ঘুমিয়ে পার হয়ে এলেই ভাল হয়।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।