আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অর্থহীন প্রশ্নের অর্থহীন উত্তর

সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর সেখান থেকে এ পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সহস্রাধিক, জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁরা ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে জর্জরিত সাংবাদিকদের প্রশ্নবাণে। ব্রেকিং নিউজ আর এক্সক্লুসিভের নেশায় আমরা প্রায় ভুলেই গেছি উদ্ধার হওয়া মানুষকে এখন প্রশ্ন করা কিংবা উদ্ধারকারীকে জেরা করা মোটেও সমীচীন নয়। ১০ মে রেশমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা সাংবাদিকেরা ছুটে গেছি হাসপাতালের আইসিইউ পর্যন্ত।

সরাসরি সম্প্রচার করেছি সেখান থেকেও। সাংবাদিকতার নীতিমালার মধ্যে এসব পড়ে কিনা, এটাই প্রশ্ন। যাই হোক, ৩৯১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর উদ্ধার হওয়া রেশমাকে নিয়ে সাংবাদিকদের অনেকগুলো প্রশ্ন অনলাইনসহ সব জায়গায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। তো সেই প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো কী রকম হওয়া উচিত ছিল
তা-ই ভেবেছে রস+আলো—

প্রশ্ন: ধ্বংসস্তূপের নিচে ১৭ দিন আটকে ছিলেন, আপনার অনুভূতি কী?
উত্তর: অত্যন্ত ভালো! এই ১৭ দিন আমার অনুভূতি অক্ষত আছে, মোটেও আঘাত লাগেনি।
প্রশ্ন: হ্যাঁ, সেটা আপনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে! আপনাকে এত ফ্রেশ লাগছে কেন, বলুন তো?
উত্তর: দেখেন, আপনারা যে মুখে নামীদামি ব্র্যান্ডের এত কিছু মাখেন, তার সবই ভুয়া! এই ১৭ দিন আমি মুখে নিয়মিত ধ্বংসস্তূপের ধুলাবালু মেখেছি।

ফলাফল তো দেখতেই পাচ্ছেন। চিন্তা করছি, কদিন পরে ‘রানা ক্রিম’-এর বিজনেস শুরু করব। কাঁচামাল হবে রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের ধুলাবালু। আর এই দেশে এমন ধ্বংসস্তূপ নিশ্চয়ই অনেক পাওয়া যাবে সামনে।
প্রশ্ন: আপনার ত্বকের মতো পোশাকও তো বেশ ঝকঝকে! রহস্য কী?
উত্তর: ধ্বংসস্তূপের নিচে একটা ‘ফটোশপ’ ছিল! বাইরে বের হওয়ার আগে ফটোশপ থেকে জামার ব্রাইটনেসটা বাড়িয়ে নিয়েছি, আর যে ডাস্টগুলো ছিল, সেগুলোও এডিট করে ঠিক করে নিয়েছি।


প্রশ্ন: সেটা নাহয় হলো, এই ১৭ দিন কী খেলেন আপনি?
উত্তর: আপনার মাথায় দেখি গোবরও নেই! এই ১৭ দিন যে চাপা খেয়ে থাকলাম, সেটা কি কোনো খাবার না!
প্রশ্ন: স্যরি স্যরি, বুঝতে পারিনি। তাহলে বলতে চাচ্ছেন চাপায় ভিটামিন আছে?
উত্তর: অবশ্যই আছে। তবে অনেকে যে মুখের চাপার জোরে চলেন, সেই চাপাতেও ‘ভাইটামিন’ আছে! দেখেন না কিছু কিছু মানুষ চাপার জোরেই সবকিছু করছে!
 মাহফুজ রহমান।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।