আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মেহেরপুর থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তার মৃতদেহ উদ্ধার

মেহেরপুর সদর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে আজ বৃহস্পতিবার রাতে ওই থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুলিশ ব্যারাকের একটি কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তাঁর নাম সুজন সরকার (২৮), বাবার নাম তারাপদ সরকার এবং বাড়ি মাগুড়া জেলার শালিকা গ্রামে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, সুজন সম্ভবত মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ, তাঁর কক্ষটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁর হাতে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। সুজনের অন্য হাতে পিস্তলটি ধরা ছিল।
সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ছয় মাস আগে শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শক (পিএসআই) হিসেবে সুজন সরকার মেহেরপুর সদর থানায় যোগ দেন। তাঁর কথাবার্তায় কিছুটা অস্বাভাবিকতা ছিল। মেহেরপুর সদর থানা ভবনের দ্বিতীয় তলায় পুলিশ ব্যারাকের একটি কক্ষে তিনি তাঁর এক সহকর্মীসহ থাকতেন।

আজ দুপুরের বিশ্রামের পর সন্ধ্যায় তাঁর সহকর্মী বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে আটটার দিকে সহকর্মীরা তাঁকে গুলিবিদ্ধ ও মৃত অবস্থায় পান।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সুজন তাঁর কক্ষে থাকা সহকর্মীর স্টিলের বাক্স ভেঙে পিস্তল বের করেন এবং ওই অস্ত্র মাথার ডান পাশে কানের ওপর ঠেকিয়ে গুলি চালান। তবে পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) তরিকুল ইসলাম জানান, সুজনের হাতে যে পিস্তলটি পাওয়া গেছে, সেটি তাঁর নিজের। ডিউটিতে (দায়িত্ব) যাওয়ার জন্য আজ বিকেলে অস্ত্রটি তাঁর নামে ইস্যু করা হয়েছিল।


মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-আইনশৃঙ্খলা) আজিজুল হক বলেন, সুজনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। আজিজুল হক দাবি করেন, সুজনের মানসিক সমস্যা ছিল। অন্য কর্মকর্তারাও আজিজুল হকের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সুজন সরকারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সুজন সরকারের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে ঘটনার তদন্তকাজ শুরু হবে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.