আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ এনজিওঃ এ কোন শিক্ষানীতি



ক্ষমা করবেন !!! বিশ্বকাপের এই উত্তাল মূহর্তে খেলা ফেলে বই খাতা খুলে বসছি বলে। শিক্ষানীতি নিয়ে এমনিতে দেশে অনেক হই হট্টগোল তার উপর এনজিও শিক্ষা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি বলে। বিশ্বাস করুন এই ব্লগটি লেখার আগে অন্তত ৩৫ বার ভেবেছি, লেখাটা কি ঠিক হবে....কি দরকার এই সব ব্যপারে আমার বোঁচা নাকটা ঢোকানোর.....কিন্তু বিবেক নামক নোংরা শব্দটা আমাকে বার বার তাগাদা দিল এটা সকলের সামনে প্রশ্নাকারে তুলে ধরতে। পাঠক বিনয়ের সাথে বলছি , এই ব্লগটির যাবতীয় দায় আমার এবং এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি থেকে লেখা। যদি এটি আপনাকে কোন ভাবে আঘাত করে থাকে তবে আমাকে ক্ষমা করবেন।

আর যদি আপনিও মনে করেন এটা কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা? তবে অনুরোধ সোচ্চার হোন এটার প্রতিবাদে। প্রথমেই একটা প্রশ্ন করি। আচ্ছা বলুন তো ৫ম শ্রেণী সমাপনী দেওয়ার পর ৮ম শ্রেণী সমাপনী অর্থাৎ জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দিতে কয় বছর সময় লাগবে?? -- বোকা বা ইডিয়েড ভাববেন না, আপনার মত আমিও জানি ৩ বছর। তাহলে এই অবান্তর প্রশ্ন কেন ?? -কারন একটি এনজিও শিক্ষা ব্যবস্থাতে এই বছর চালু হওয়া সমাপনীতে সময় লাগছে মাত্র ১ বছর!!! চমকে উঠলেন নিশ্চয়ই। আসলেই ২০১০ সালে য়ে শিশুটি ৫ম শ্রেণী সমাপনী দিতে যাচ্ছে , সেই শিশুটি ২০১১ সালে দেবে জেএসসি পরীক্ষা।

আশ্চর্য মনে হলেও এটাই বাস্তব এবং চরম সত্য । ঐ প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ে শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নিয়োজিত ছিল আমার এমন এক বন্ধুর (সম্প্রতি অন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত) কল্যাণে এই মহান খবরটি শুনে আমার মাথা খারাপ হওয়ার অবস্থা। ভাবতে পারিনি কিভাবে সম্ভব!! কিন্তু অনুসন্ধানে এটাই সত্য বলে প্রমানিত হলো। বন্ধুবা ' সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স" গ্রামের সুবিধা বঞ্চিত শত শত কিশোর কিশোরীর সামনে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য ( শিক্ষা-কারিগরি দক্ষতা ও জেন্ডার ক্ষমতায়নের মাধ্যমে) কাজ করে আসছে। কোন প্রকার সন্দেহ ছাড়াই আমি বলবো এর নেপথ্যে যে মহান ব্যক্তির শ্রম ও মেধা কাজ করছে , তিনি বাস্তবিক অর্থেই হাজারো অসহায়ের সহায় হয়েছেন।

তাদের কেবল শিক্ষাই নয়, অন্ন- বস্ত্রের সংকুলানও করে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ঘটনাটা এই প্রতিষ্ঠানের। সেন্টার ফর ম্যাস এডুকেশন ইন সায়েন্স নামক প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থাতে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার ১ ও ২ শ্রেণীর সমমান অঙকুর ও বিকাসের জন্য ২ বছর বরাদ্দ আর ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণীর জন্য ৬ সেমিস্টারে সর্বমোট ৩ বছর, যা এডভান্স ০১- ০২ ও ০৩ নামে পরিচিত। অর্থাৎ অগ্রসর ০১ এ প্রথম ৬ মাস ৩য় শ্রেণী এবং ২য় ৬মাস ৪র্থ শ্রেণীর পাঠদান করা হয়। এভাবে অগ্রসর ০২ এ যথাক্রমে ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেনী এবং অগ্রসর ০৩ এ ৭ম ও ৮ম শ্রেনী।

৬ মাসের কোর্স বলে পাঠদানও হয় সংক্ষিপ্ত কারিকুলামে। কোন প্রকার ২য় পত্র নেই, নেই ধর্ম, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ও। এবছর ২০১০ সালে এই প্রতিষ্ঠান থেকে যারা ৫ম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষাতে অংশ নেবে সেই সময় অর্থাৎ নভেম্ভর মাসে ঐ শিক্ষার্খী তার কারিকুলাম অনুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। খুব সহজেই পরের বছর সে প্রথম ৬ মাস ৭ম এবঙ শেষ ৬ মাস ৮ম শ্রেণীর ছাত্র আর কোন বাধা নেই ২০১১ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেওয়ার। ভাবতে পারছিনা , আমার সোনার বাংলাদেশে এ কোন শিক্ষা ব্যবস্থা !!! আপনি কি বলেন ? ? ?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।