আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের উত্তেজনা যাতে উন্মাদনায় রূপান্তরিত না হয় ।

আমি সপ্নবিলাসী নই , নই নিয়তির কাছে নিজেকে সঁপে দেয়া কোন কাপুরুষ । ত্যাগের রঙে রাঙাবো আমার প্রত্যাশা , সোনালী সফলতার সাথে কিছু অবিমিশ্র আবেশ , তাতে মন্দ কী !...

ফুটবল নিয়ে আমাদের যে আকর্ষন আর উত্তেজনা , আশা করি তা অন্য কোন রূপ নেবে না । গতকাল যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই দুঃখজনক । এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে । আবারও আহবান থাকলো আমাদের উত্তেজনা যাতে উন্মাদনায় রূপান্তরিত না হয় ।

"কটিয়াদীতে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত শতাধিক কিশোরগঞ্জ, ৬ জুন (শীর্ষ নিউজ ডটকম): ফুটবল খেলার ব্যাপারে ছোটদের বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা এলাকায় দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকের গুলিতে এবং টেটা , রামদা, বল্লম, হলঙ্গা, সড়কি, ইটপাটকেল ইত্যাদির আঘাতে এক যুবক নিহত এবং একজন এএসপি , তিনজন এসআই, একজন এএসআই, ছয়জন পুলিশ কনস্টেবলসহ কমপক্ষে শতাধিক গ্রামবাসী আহত হয়। পুলিশ ৭৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে এবং ৯ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । সংঘর্ষে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবকের নাম আল আমিন (২৩)। সে সহশ্রাম গ্রামের হাছু মিয়ার পুত্র।

আহতদের কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল , কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে হোসেনপুর - কটিয়াদী সার্কেলের এএসপি আজবাহার , এসআই আবুল কালাম, গোলাম মোস্তফা, মলয় চক্রবর্তী, এএসআই হারুন, পুলিশ কনস্টেবল মামুদ পারভেজ , আবদুল হাই, মুকসেদুল, হারিসুল, রুমান ও আক্তারুজ্জামানকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং গ্রামবাসীর মধ্যে গুরুতর আহত আবুল কালাম (৩৫), মতি মিয়া (৫৫), ইসমাইল হোসেন (৪০), আবদুল কাইয়ুম (৪২) ও ইব্রাহিম (৫৫)- কে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুলি ও টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত আবুল কালামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে কটিয়াদীর সহশ্রাম ঢুলদিয়া ইউনিয়নের সহশ্রাম এবং দুর্গাপুর গ্রামের ছেলেদের মধ্যে স্থানীয় গচিহাটা পল্লী একাডেমি কলেজ মাঠে এক প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ খেলাকে কেন্দ্র করে এ দুই গ্রামের কতিপয় যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।

এ ঝগড়ার জের ধরে শনিবার বিকেলে সহশ্রাম গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুল মান্নানের পুত্র এবং দুর্গাপুর গ্রামের স্বপন নামে এক ব্যক্তির সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনার পর থেকে কটিয়াদী - নিকলী সড়কের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত গচিহাটার সহশ্রাম এবং দক্ষিণ পার্শ্বে অবস্থিত দুর্গাপুর , চাঁন্দপুর, নিমকপুরুরা ও পশ্চিমপুরুরা গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে এ দুপক্ষের গ্রামবাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি হলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বন্দুকের গুলি , দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলের আঘাতে আল আমিন নামে গচিহাটা বাজারের ক্যাবল ব্যবসায়ী এক যুবক নিহতসহ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। পুলিশ নিহত যুবক আল আমিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান , বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । তবে উত্তেজনা বিরাজ করায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। (শীর্ষ নিউজ ডটকম) যেমনটা হয়েছে কিশোরগন্জে । এই লিংকটি দেখুন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।