আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পূর্ব চীন সাগরে উত্তেজনা

পূর্ব চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে চীনের ঘোষিত ‘বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ নিয়ে সে অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চীনের উদ্যোগকে কার্যত চ্যালেঞ্জ করে পূর্বঘোষণা ছাড়াই গত মঙ্গলবার বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জের ওপর দিয়ে টহল দিয়েছে দুটি মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান। চীন প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, তারা বিমান দুটির টহল ‘পর্যবেক্ষণ করেছে’।
এদিকে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।
চীন গত শনিবার পূর্ব চীন সাগরের সেনকাকু (জাপানি নাম) বা দিয়াওউ (চীনা নাম) দ্বীপ এলাকা নিয়ে বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়।

ওই দ্বীপ এলাকা বর্তমানে জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই চীনের ওই ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় জাপান। জাপানের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়ে বলে, চীনের এ একতরফা ঘোষণা ওই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। এর দুদিন পরই ওই অঞ্চলে দুটি মার্কিন বিমানের টহলের ঘটনা ঘটল; যদিও একে পূর্বনির্ধারিত ও রুটিন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন বিমানের টহলের পুরো সময় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে চীনের বিমানবাহিনী।

ঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলের মধ্যে প্রবেশ করা সব বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই অঞ্চল যথাযথভাবে কার্যকর ও নিয়ন্ত্রণ করার সামর্থ্য চীনের রয়েছে।
এর আগে চীন বলেছিল, তার ঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল দিয়ে কোনো বিমানকে যেতে হলে অবশ্যই জানাতে হবে, বিমানটি কোন দেশের এবং তার গতিপথ কী। দ্বিমুখী বেতার যোগাযোগও রাখতে হবে। কোনো বিমান এটা করতে অস্বীকৃতি জানালে ‘জরুরি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা’ গ্রহণ করা হবে।


চীনের জনগণের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে অনেক চীনাই বিমান প্রতিরক্ষা সীমা কার্যকর করতে সরকারের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে অস্ট্রেলিয়া: চীনের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চল ঘোষণার প্রতিবাদ জানাতে ক্যানবেরায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানায়।
তবে অস্ট্রেলিয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি ভুল’ আখ্যা দিয়ে চীন বলেছে, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।


এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ুন বিয়ুং-সে গতকাল সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ক্রমবর্ধমান ভূখণ্ডগত বিরোধ উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটাতে পারে। সিউলে প্রতিরক্ষাবিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।