আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাওলানা সাইদুর রহমানের শ্বশুরবাড়িসহ সম্ভাব্য এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা জঙ্গি সাইদুরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন শাস্তি দাবী করেছেন

চিঁউচিঁউ ডট কম

জেএমবি সংগঠনের ব্যানারে জঙ্গী সংগঠন সারাদেশে নাশকতামুলক বোমা হামলা চালিয়ে দেশের অবকাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। ফলে সরকার জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষনা করে এবং সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করতে সারাদেশে অভিযান চালানো হয়। জেএমবি’র প্রধান নেতা হিসেবে শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইএর নাম জানতো। পরে তাদের সহকর্মী আতাউর রহমান সানি, আবদুল আউয়াল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সালাহউদ্দিন ও ইফতেখার আল-মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর মুলত জেমএমবি অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।

ভেঙে যায় তাদের নেটওয়ার্ক। ঠিক এসময় জেএমরি’র প্রধানের দায়িত্বে চলে আসেন মাওলানা সাইদুর রহমান জাফর। তিনি জেএমবি’র প্রধান হলে ফের কার্যক্রম সক্রিয় করতে কার্যক্রম শুরু করেন। গত ২৩ মে মাওলানা সাইদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর সারাদেশ ব্যাপি চলছে গোয়েন্দা তৎপরতা। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় সাইদুর রহমানের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

কে এই সাইদুর রহমান ঃ মাওলানা সাইদুর রহমান ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের খোঁজার-গাঁওয়ে জন্ম গ্রহণ করেন। হবিগঞ্জ শহরের রেল কলোনি এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। তার পিতার নাম মৃত মৌলভী আব্দুল মতিন। ৩ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে সাইদুর রহমান সবার বড়। তিনি বাহুবল উপজেলার মিরপুর জামেয়া হোছাইনিয়া মাদ্রাসা থেকে (১ম-৫ম) মক্তব পাস করেন।

এরপর চুনারুঘাট উপজেলার শাহপুর কওমি মাদ্রাসা থেকে দাখিল (এসএসসি) পাস করে মৌলভীবাজার দারুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। তবে সেখানে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। পরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনা আনোয়ার উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করার কথা শুনা গেলেও বরুনা মাদ্রাসায় সাইদুরের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৯৮০ সালে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের তারিকুন্নেসাকে তিনি ১ম বিয়ে করেন। এ ঘরে তার শামীম (২৫), শিরিন (২৩), নাসিম (১৯) ও নাইম (৯) চার সন্তান রয়েছে।

১৯৭৭ সালে সাইদুর রহমান মৌলভীবাজারে ছাত্র শিবিরে যোগ দেন। ১৯৭৮-৮০ সালে পর্যন্ত তিনি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে মৌলভীবাজার দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে তিনি তাফসির পাস করেন। ১৯৮০ সালে সিলেট দরগাহ মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেন। ১৯৮৩ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের হবিগঞ্জ শাখার আমীর নির্বাচিত হন।

এ পদে তিনি ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপরেই তিনি জেএমবিতে যোগ দেন। ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ জেএমবির প্রধান শায়খ আব্দুর রহমানসহ ৬ শীর্ষ জঙ্গির ফাঁসি হলে মাওলানা সাইদুর রহমান জেএমবির প্রধানের দায়িত্ব নেন। ২০০৭ সালে দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে তিনি কামরুন নাহার হিমুকে ২য় বিয়ে করেন। হিমু গত বছরের নভেম্বরে রাজধানীর মধ্য বাসাবোর একটি বাড়ি থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।

২০০৯ সালেই মাওলানা সাইদুর রহমান ৩য় স্ত্রী হিসেবে নাইমা আক্তারকে বিয়ে করেন। গত ২৩ মে অভিযানে সাইদুর রহমান তার তৃতীয় স্ত্রীসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সাইদুর রহমানের উত্থান ঃ জেএমবি প্রধান মাওলানা সাইদুর রহমানের উত্থান জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে। ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি ও পরে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন সাজাপ্রাপ্ত এ জেএমবি নেতা। ৮০-র দশকে তিনি হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীরের দায়িত্ব পালন করেন।

এক পর্যায়ে তিনি জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি দীর্ঘদিন মৌলভীবাজারে অবস্থান করেন। মৌলভীবাজারে থাকাকালে প্রথমে তিনি ছাত্রশিবির ও পরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর এলাকার তাহেরুন্নেছার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর তিনি চলে যান হবিগঞ্জে।

সক্রিয় হন জেলা জামায়াতের রাজনীতিতে। ১৯৮৩ সালে তাকে হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মনোনীত করা হয়। ওই সময় তার পরিবারের সবাই জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৮৯ সালে সংগঠনের নিয়ম পরিপন্থি কার্যকলাপে লিপ্ত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি ব্যবসা শুরু করেন।

ইসলামী হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জেলা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন কিছুদিন। তার মেয়ে শিরিন হবিগঞ্জ জেলা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সভানেত্রী ছিলেন। সরকারি বৃন্দাবন কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় জেএমবির সাবেক সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানির সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জিহাদে যাওয়ার নামে সানির হাত ধরে নিরুদ্দেশ হয় শিরিন।

পরে বিয়ে হয় তাদের। শ্রীমঙ্গল বরুনা মাদ্রাসায় কোন তথ্য নেই ঃ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র আমির মাওলানা সাইদুর গ্রেফতার হবার পর দেশের বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয় মাওলানা সাইদুর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা আনোয়ারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে টাইটেল সম্পন্ন করেন। এ ব্যাপারে বিশদ জানতে বরুনা মাদ্রাসায় গেলে সেখানকার শিা বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ রশীদ হামিদী জানান, সাইদুর নামের কোন ছাত্র ইতোপূর্বে এ মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাশ করেছে বলে তার জানা নেই। তিনি বলেন, তার ছবি দেখে বয়স অনুমান করা যায় ৫০ থেকে ৬০ হবে। যদি তাই হয় তবে সে টাইটেল দেবার কথা সত্তরের দশকের শেষ অথবা আশির দশকের শুরুতে।

সত্তর ও আশির দশকের রেকর্ডপত্র তল্লাশী করে দেখতে হবে সে সময়ে এ নামে কোন ছাত্র ছিলো কিনা? বিভিন্ন স্থানে অভিযান ও অনুসন্ধান ঃ ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার পর হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মাওলানা সাইদুরের ছেলে এএইচএম শামীমকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে র‌্যাব-৯ সদস্যরা বোমা তৈরির কারখানা আবিষ্কার করে ঢাকার পূর্ব বাসাবোর একটি বাসায়। তখন ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর মাওলানা সাইদুর চার ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রীসহ আÍগোপন করেন। এরপর তিনি শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজারসহ সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় সহায়তা করেন।

এক পর্যায়ে ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারি সিলেট নগরীর হাতিমবাগের ৯১/বি বাসা ভাড়া নেন। বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্রে নিজে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রীমঙ্গলের রুপসপুর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দেন মাওলানা সাইদুর। একই বছরের ২৮ ফেব্র“য়ারি শায়খ আবদুর রহমান পূর্ব শাপলাবাগের সূর্যদীঘল বাড়িতে অবরুদ্ধ হলে গোপনে ওই বাসা ছেড়ে সপরিবারে গা-ঢাকা দেন সাইদুর। জেএমবি’র আমির মাওলানা সাইদুর রহমানকে আটকের পর সারা দেশে বিশেষ করে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও জামায়াত কানেকশন নিয়ে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাঠ পর্যায়ে তদন্তে নেমেছে। একাধিক বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র আমির ও হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের আদমপুরে অবস্থিত তার শ্বশুরবাড়িসহ সম্ভাব্য সব এলাকায় জেএমবি কানেকশন খোঁজা শুরু হয়েছে।

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনী শুরু করেছে তৎপরতা। ইতোমধ্যে বিস্ফোরক মামলায় ১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত স¤প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক এ শীর্ষ জঙ্গি নেতার কর্মতৎপরতার সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছেন গোয়েন্দারা। সূত্র জানায়, মাওলানা সাইদুরের ঢাকাস্থ ভাড়াটিয়া বাসায় প্রাপ্ত অসংখ্য চিঠি ও বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তিদের ঠিকানার সূত্র ধরে গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে। সূত্রটির মতে, মাওলানা সাইদুর রহমান মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট নগরীতে বসবাস করেছেন। এই তিন জেলার কতিপয় লোকজন বিশেষ করে মাওলানা সাইদুরের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে এরকম কতিপয় সন্দেহভাজন ব্যক্তির ওপর অব্যাহত রয়েছে নিবিড় নজরদারি।

সাইদুরের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অভিমত ঃ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মোজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)’র আমির মাওলানা সাইদুর রহমানকে গ্রেফতারের পর মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামের বাসিন্দা তার প্রথম পরে শশুরবাড়ীর আত্মীয়রা সাইদুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত সীমান্তবর্তী মণিপুরী অধ্যুষিত ইউনিয়ন আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে অবস্থিত মাওলানা সাইদুরের প্রথম পরে শ্বশুরবাড়িতে গেলে মাওলানা সাইদুরের সমন্ধি (প্রথম পরে স্ত্রীর বড় ভাই) আব্দুস সালাম দাবি করেন, তার ভাগ্নে জেএমবি’র আইটি বিভাগের প্রধান শামীম আটকের পর থেকে বোন জামাই জেএমবি আমির মাওলানা সাইদুর রহমান, তার বোন তাহিরুন্নেছা বেগম ও অন্যান্য ভাগ্নে ও ভাগ্নীর সাথে তাদের পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। আলাপকালে মাওলানা সাইদুরের সমন্ধি আব্দুস সালাম বলেন, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে মাওলানা সাইদুর যখন মৌলভীবাজার দারুস সালাম মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে তখন তার সাথে সাইদুরের প্রথম পরিচয় ঘটে। এ পরিচয়ের সূত্রে সাইদুর তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করে। এর কিছুদিন পর সাইদুরের সাথে তার ছোট বোন তাহিরুনন্নেছাকে বিয়ে দেন।

তাহিরুন্নেছার গর্ভে জন্ম হয় ৪ ছেলে (শামীম, ফাহিম, নাছিম, নাঈম) এবং ১ মেয়ে (শিরিন)। ২০০৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সাইদুর-তাহিরুন্নেছা দম্পত্তির বড় ছেলে জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান এ. এইচ. এম শামীম ধরা পড়ার পর সাইদুরের পরিবারের সাথে তার প্রথম পরে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সব ধরনের যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলে দাবি করেন আব্দুস সালাম। তিনি জানান, বড় ভাগ্নে গ্রেফতার হয়েছে। বাকী তিন ভাগ্নে ফাহিম, নাছিম, নাঈম, একমাত্র ভাগ্নী শিরিন এবং বোন তাহিরুন্নেছা বর্তমানে কোথায় ও কি অবস্থায় আছে তা তাদের জানা নেই। মাওলানা সাইদুর জেএমবি’র আমির তা তারা পত্রিকা পড়ে জেনেছেন বলে জানান।

সাইদুরের নের্তৃত্বে দেশে সংগঠিত নানা ধরনের নাশকতা মূলক কাজ সম্পর্কে আব্দুস সালাম বলেন, এসব কাজ যারা করে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি পাওয়া উচিত। প্রথম পরে শ্বশুড় বাড়ির আত্মীয় স্বজন হওয়ার কারনে তারা বর্তমানে নানা বিড়ম্বনা ও বিব্রতকর অবস্থায় দিন যাপন করছেন বলে জানান। তিনি বোন জামাই মাওলানা সাইদুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সাইদুরের শ্বাশুরী মাহবুবুন নেছার বক্তব্য ঃ মাওলানা সাইদুরের বয়োবৃদ্ধ শ্বাশুড়ি মাহবুবুননেছা (৭৭) বলেন, তার মেয়ে তাহিরুন্নেছার জামাই মাওলানা সাইদুর যে কর্ম করেছে সেই কর্মের ফল ভোগ করা উচিত। তার মেয়ে তাহিরুন-এ সাথে তার যোগাযোগ নেই।

সে কোথায় কিভাবে আছে তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, আমার মেয়েও যদি তার জামাই এর সাথে যুক্ত হয়ে নাশকতামূলক কাজ-কর্মে লিপ্ত থেকে থাকে তবে তারও শাস্তি হওয়া উচিত। তিনি দাবি করেন, তাদের পরিবারের সদস্যরা কোন ধরনের রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার যা বলেন ঃ মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, মৌলভীবাজার জেলার বেশ কটি মাদ্রাসাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশী নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও দেশের অন্য কোন স্থান থেকে অপরাধীরা অপরাধ সংগঠিত করার পর যাতে মৌলভীবাজারে এসে পালিয়ে থাকতে না পারে সেজন্য পুলিশ মৌলভীবাজারের সকল বস্তি ও কলোনিগুলোর সমস্ত ভাড়াটে বাসিন্দাদের ছবি এবং তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।